করলা দিয়ে আলু ভাজির মজাদার রেসিপি।।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার অতি প্রিয় করলা দিয়ে আলুর ভাজি রেসিপি শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।করলা ভাজি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে।তবে করোলা ভাজি এমনভাবে করব যেন এতোটুকু তিতা না লাগে।অন্যরকম মুখরোচক সাধতে মজাদার ও সুস্বাদু হয়ে উঠবে এই করলা ভাজি।আমাদের বাসায় সবচেয়ে বেশি করলা ভাজি পছন্দ করে সিয়াম।ও এত বেশি পছন্দ করে যে প্রতিদিন খাবার মেনুতে যদি করোল্লা ভাজি থাকে তাহলেও অনেক বেশি খুশি হয়।তো বন্ধুরা চলুন তবে দেখে আসি করলা ভাজির মজাদার রেসিপি।রেসিপিটি আপনাদের ভাল লাগলে তবেই আমার সার্থকতা।করলা ভাজি আমরা অনেকেই অনেক ভাবে করে থাকি।আমি বা আমরা কিভাবে করলা ভাজি করি সেটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
♦করলা
♦আলু
♦পেঁয়াজ কুচি
♦রসুন কুচি
♦কাঁচামরিচ
♦লবণ
♦হলুদ
♦তেল
♦প্রথমে করলা গুলো এভাবে দুই ভাগ করে কেটে বিচি গুলো ফেলে দিতে হবে।
♦এরপর করোলা গুলো ঠিক এভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
♦এবার আলুগুলো ঠিক এভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
♦এবার করোলা কুচি গুলোতে একটু লবণ এবং একটু পানি দিয়ে ভালো করে মথে নিয়ে তিতা গুলো বের করে ফেলে দিতে হবে।
♦এবার করোলা গুলো ভালভাবে ধুয়ে একটি করাই এর মধ্যে নিয়ে নেব।
♦এবার আলু কুচি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে করলার সাথে দেই।
♦এবার করোলা আলু গুলো একটু ভালোভাবে মিশিয়ে নিই।
♦কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি ও রসুন গুগলি এবার দিয়ে দেই।
♦এবার হলুদ লবণ ও তেল দিয়ে ভাল করে মেখে নেই।
♦সব উপকরণ গুলো খুব ভালোভাবে মেখে নিয়ে এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই সিদ্ধ হওয়ার জন্য মনে রাখতে হবে পানি কিন্তু দিব না।তবে তেলের পরিমাণ টা অবশ্যই একটু বেশি দিতে হবে।
♦কিছুক্ষণ পর পর নেড়েচেড়ে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে চুলার তা কিন্তু হালকা লোতে দিতে হবে।এবং 15 থেকে 20 মিনিট আস্তে আস্তে করে ভাজতে হবে।খেয়াল রাখতে হবে যেন নিজে পুড়ে না যায়।
♦ঝটপট রান্না হয়ে গেল মজাদার করোলা ভাজি।দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন সুস্বাদু বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে এই করোলা ভাজি খেতে দারুন লাগে।
বন্ধুরা তৈরি হয়ে গেল মজাদার করোলা আলুর ভাজি।এভাবে করো না আলুর ভাজি করলে একদম তিতা লাগবে না।আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছেআপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া।তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না আবার ফিরে আসবো আগামীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোন আয়োজনে।ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা সবার জন্য।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ছন্দ আপু খুব সুন্দর একটি রেসেপি তৈরি করেছেন ৷করলা আর তার সাথে আলু আসলে আপু যে করলা গুলো তিতা করে না সেটা আমার কাছে ভালো লাগে ৷আপনার করলা ভাজি টি দেখে খুব ভাল লাগলো ৷মনে হয় আপনার তৈরি করা করলা তিতা করবে না ৷যাই হোক ভালো লেগেছে আপু
ছন্দ আপু বাহ দারুন নামে ডাকছেন তো।বেশ লাগলো এই নামে।করোলা আলুর ভাজি সত্যি আমার অনেক প্রিয়।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥
আলু দিয়ে করলা ভাজির সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। করোলা ভাজি আমার অনেক পছন্দের। আজ আমিও বাসায় করলা ভাজি রান্না করেছি। তবে আপনার রেসিপিটি আরো অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনিও বাসায় করোলা ভাজি করেছেন।আমিও করোলা ভাজি করেছি বা দারুণ মিল তো।।♥♥
ওয়াও! আপু খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আলু দিয়ে করলা ভাজি। আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার তবে এই খাবারটি খুব একটা খেতে পারি না বাচ্চারা খায় না বলে। আপনার আজকের রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে তবে আরেকটু ভাজা কম করে খেতে আমার কাছে আরো বেশি দুর্দান্ত লাগে। যাক আপনারটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আলু দিয়ে করলা ভাজি আপনার যেমন খুবই প্রিয় ঠিক তেমনি আমারও খুবই প্রিয় ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য♥
করলা আলু একসাথে ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপি খেতে দারুন লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এভাবে করোলা আলু দিয়ে ভাজি করলে সত্যিই অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয় যা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে।♥♥
এই রকম করলা ভাজি রেসিপি খেতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। খুব সুন্দর করে ভিন্ন রকম ভাবে করলা ভাজি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু।
আমার করোলা ভাজি রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।শুভ কামনা আপনার জন্য♥ ♥
আপনি খুব সুন্দর করে করলা দিয়ে আলু ভাজির মজাদার রেসিপি বানিয়েছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেলো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার অসাধারণ গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছে ধন্যবাদ প্রিয় আপু ভালোবাসা অবিরাম♥♥
করলা ভাজি ব্যক্তিগতভাবে আমিও খুব পছন্দ করে থাকি।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে আলু দিয়ে করলা ভাজি করার একটা চমৎকার পদ্ধতি শেয়ার করলেন আপু। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে এমন চমৎকার একটা রেসিপি তৈরি করতে হয়।
আসলে আমাদের বাসায় সবাই করোলা আলু ভাজি খুব পছন্দ করে। তবে সিয়াম খুব বেশি পছন্দ করে। আপনার খুব পছন্দ জেনে খুশি হলাম।♥♥
আপু অসাধারন হয়েছে। হাইব্রিড করলা তো তিতা কম হয়। দেশি করলাতে তিতা বেশি লাগে। আমার এক ফ্রেন্ড করলা কাচাই খেয়ে ফেলে। আমিও করলা অনেক পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু।
করোলা আমাদের বাসায় পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে।যেদিন করোলা আলু দিয়ে ভাজি করা হয় সেদিন সবাই পরিমাণ একটু বেশি খায়।♥♥
আমি অনেক চেষ্টা করেছি করলা খাওয়ার জন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি এখন পর্যন্ত করলা খেতে পারি না কেমন জানি খুবই তিতা লাগে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমি যেভাবে তিতা বের করে ভাজি করেছি। এভাবে কোন একদিন করে দেখবেন এত টেস্ট। কখনই মনে হবে না এটা করোলা ভাজি।এতোটুকু তিতা লাগে না খেতে♥♥
আলু দিয়ে করলা ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত অসাধারণ রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আলু দিয়ে করলা ভাজি সত্যি আমারও অনেক প্রিয় আপনার চমৎকার মন্তব্যে খুশি হলাম।♥♥