♥☆꧁::.🌷উপহার স্বরূপ বই 🌷 .::. ꧂☆♥
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা।
বন্ধুরা আমরা জানি বই কিনে কিংবা বই পড়ে মানুষ দেউলিয়া হয়ে যায় না। বর্তমান প্রজন্মরা বই থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। কোনরকমে তারা শুধু ক্লাসের বইগুলোই পড়ে।এখনকার ছেলেমেয়েদেরকে পাঠাগার মুখী করে তোলা অনেক কষ্টের। আমি ছোটবেলা থেকেই আমাদের নীলফামারীতে জেলা গ্রন্থাগারের নিয়মিত গিয়ে বই পড়তাম।।বইয়ের প্রতি আমার যথেষ্ট টান।বলতে পারেন নিত্যদিনের সঙ্গী আমার বই। বই পড়তে যেমন ভালোবাসি। তেমনি বই উপহার পেতেও ভালোবাসি। আমার ছোট উপলব্ধি থেকে মনে হয়েছে, প্রত্যেকটা পরিবারের পারিবারিক পাঠাগার থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এবং বইয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা উচিত। সেই উপলব্ধি থেকেই ২০০৯ সালে আমি সাথী পাঠাগার নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করি। এবং সেই পাঠাগার বসে নিজে বই পড়তে যেমন ভালো লাগে, তেমনি অন্যদেরকে বই পড়ার সুযোগ করে দিতেও ভালো লাগে।
বন্ধুরা আজ কয়েক দিন আগে ফেসবুকে নতুন দুজন বন্ধু পেয়েছি। একজন হচ্ছেন অতি শ্রদ্ধাভাজন শেখ সিরাজ। তিনি সুদূর আমেরিকা প্রবাসী। তিনি নিজেও বই পড়তে অনেক ভালবাসেন। ইতিমধ্যে তিনি বাংলাদেশের প্রায় অনেক গুলো পাঠাগারে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন পাঠাগারে তিনি বই দিয়ে সহযোগিতা করেন। সহযোগিতা করেন আসবাবপত্র দিয়ে। চেয়ার টেবিল বুক সেলফ ইত্যাদি।
এই বইয়ের সূত্র ধরেই তার সাথে আমার আলাপ হয়ে যায়। এবং তিনি তার পছন্দের প্রিয় লেখক এর দুটি বই আমাকে উপহারস্বরূপ পাঠিয়ে দেন, সাথী পাঠাগারের উদ্দেশ্যে। ওনার প্রিয় লেখক হাবিব রহমান এর ঘুরে দেখা ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশে দেশে।ভ্রমণ কাহিনীর এই বই দুটি পাঠিয়ে দেন। এবং আমাকে পড়ার জন্য অনেক বেশি উৎসাহ প্রদান করেন। ওনার উপহার পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক বেশি খুশি হয়েছি।ভ্রমণ কাহিনীর এই বই দুটি পড়ে, বাড়িতে থেকেই আমরা ইউরোপ আফ্রিকার ঘুরে আসতে পারবো। অনেক অনেক শ্রদ্ধা,
অনেক অনেক ভালোবাসা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, শেখ সিরাজ আপনার প্রতি। এভাবে উৎসাহ দিয়ে পাঠক তৈরি করতে আপনার সক্রিয় ভূমিকা মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
একই দিনে আরেকজন শ্রদ্ধাভাজন ফেসবুক ফ্রেন্ড কাজী ইমদাদুল হক। ওনার সাথেও বই নিয়ে একদিনের আলাপচারিতায় উনি প্রায় ৩০ টি বই পাঠিয়েছে সাথী পাঠাগারে। সাথী পাঠাগারে উনি যেভাবে অবদান রাখলেন। তা অনেক প্রশংসনীয়। সারা জীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে সাথী পাঠাগার এর কর্তৃপক্ষবৃন্দ। বিভিন্ন কোয়ালিটির বই উনি পাঠিয়েছেন।অলরেডি ওনার পাঠানো একটি কবিতার বই আমি পড়া শুরু করে দিয়েছি। আপনারা অনেকেই অবগত আছেন যে আমি একজন কবিতা প্রেমি মানুষ।কবিতার সাথে প্রাণের স্পন্দন মিশে আছে আমার। তাইতো কাজী ইমদাদুল হক ভাইয়ের পাঠানো বইগুলো থেকে সবার আগে কবিতার বইটি পড়ার জন্য হাতে নিয়েছি।কাজী ইমদাদুল হক ভাইয়েরা যেভাবে সারা বাংলাদেশে পাঠাগার গুলোতে বই দিয়ে, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে ভূমিকা রাখছেন। তা আসলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, পাঠাগার গুলোতে । পাঠাগার গুলোতে এভাবে ভূমিকা রাখলে
নির্জীব পাঠাগার গুলো প্রাণ ফিরে পাবে। তৈরি হবে নতুন নতুন পাঠক। বই পড়া আন্দোলনে তাদের এই ভূমিকা মনে রাখার মত। তবে, তাদের এই প্রচেষ্টা তখনই সার্থক হবে, যখন পাঠাগার গুলোতে এসে পাঠকেরা এই বইগুলো পড়ে জ্ঞান অর্জন করবেন।আলোর পথের সন্ধান পাবেন। আলোকিত মানুষ হবেন। সভ্যতার ফুল ফুটবে পাঠকের অন্তরে অন্তরে। তৃণমূল পর্যায়ের এই পাঠাগার গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দিলে এক একটি পাঠাগার হবে, আলোকিত মানুষ হওয়ার বাতিঘর। অনেক অনেক ধন্যবাদ।অনেক অনেক ভালোবাসা।অনেক অনেক দোয়া। কাজী ইমদাদুল হক আপনার প্রতি। এভাবেই বাতিঘর গুলোর বাতি জ্বালিয়ে রাখাতে আপনার ভূমিকা অপরিসীম।অব্যাহত থাকুক আপনাদের এই ধারা। আপনাদের মত গুণীজনেরা যদি আমাদেরকে এভাবে সহযোগিতা করেন, তাহলে আমরা নতুন নতুন বই পড়ার সুযোগ যেমন পাব। তেমনি আরো অনেককেই সুযোগ করে দিতে পারব। আপনাদের দুজনকেই অন্তরের অন্তস্থল ও সাথী পাঠাগারের পক্ষ থেকে একরাশ শুভেচ্ছা।♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু বই পড়তে আমার কাছেও অনেক ভাল লাগে। পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তে মজাই লাগে। কারন সেখানে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। কাজী ইমদাদুল হক আর শেখ সিরাজ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানায় সাথী পাঠাগারে বই গিফট করার জন্য্।
বই পড়া আমার নিত্য দিনের একটি অভ্যাস আর এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারি না কোনদিনও।এতগুলো বই উপহার পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি।♥♥
আপনি বই উপহার পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। এক সাথে এতো গুলো বই পেয়ে সত্যি খুব আনন্দিত হয়েছেন নিশ্চয়। আসলে আমার কাছে বই
পড়তে ভালো লাগে। বই পড়লে অনেক আনন্দ উপভোগ এবং জ্ঞান আহরণ করা যায়। বই উপহার পাওয়ার অনুভূতি সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন বই হচ্ছে জ্ঞানের প্রতীক।আর এতগুলো বই উপহার পেলে কার না ভালো লাগে।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ♥♥
আপনার দুজন ফেসবুকের ফ্রেন্ড খুবই সুন্দর সুন্দর এবং স্পেশাল বই আপনার লাইবের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনার বন্ধুর নিকট থেকে পাওয়া বইগুলো নিশ্চয়ই আপনার লাইব্রেরীকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলবে। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।