গল্প "মিষ্টি প্রেম" সেলিনা সাথী। (৫ম পর্ব) || 10% Beneficiaries @shy-fox
মিষ্টি প্রেমের মিষ্টি অনুভূতি ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়।আশা করি সকলেই ভাল আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।পরিবার ভালোবাসা ও প্রতিশোধের লড়াই নিয়ে এবারের পর্ব।
মিষ্টি প্রেমের পঞ্চম তম পর্ব নিয়ে আসছি আপনাদের মাঝে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
মেঘ সবাইকে ডাকতে লাগল শিলা সুমি উঠ, ফ্রেশ হয়ে নে। সবাই উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে নাস্তা খেয়ে প্রশিক্ষণ রুমে চলে গেলো। শুরু হলো ক্লাস প্রথমে পরিচয়পর্ব তারপর কাজ। এদিকে রুদ্র বারবার ফোন দিচ্ছে। মেঘ ক্লাসরুমে ওর ফোন রিসিভ করতে পারছি না। তারপর সময় হলো দুপুরের খাবারের বিরতি, এখন ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করল। মেঘ হ্যালো কোথায় তুই ফোন রিসিভ করিস না কেন? মেঘ ক্লাসে ছিলাম তাই। তুই এসেছিস রুদ্র এখনি যাবো ক্লাস শেষ হবে চারটায় তখন আয় কেমন। আচ্ছা বলেই ফোন রেখে দিল। ফোন রেখে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। কারণ রুদ্র ছিল ভীষণ গরিব ঘরে ছেলে খুব কষ্ট করে অনার্স পড়ছে ঢাকায়। তেমন কোন ভাল কাপড় নেই ওর ভালো জুতা নেই রুদ্র হিমশিম খাচ্ছে মে!ঘ যদি তাকে পছন্দ না করে তারপর সে মেঘোর দেওয়া ফতুয়া পরল আর ওর বন্ধু কবিরের জুতা পড়ে ভালো করে মাথায় চুল আঁচড়িয়ে বাসা থেকে বের হল, বাসে উঠে ভাবছে আল্লাহ ও যেন আমাকে পছন্দ করে ভাবতে ভাবতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেল রুদ্র নিচে এসে ফোন দিলে তখন বাজে ঠিক ৪টা।
মেঘঃ হ্যালো কি হলো
রুদ্রঃ আমি নিচে তোর জন্য অপেক্ষা করছি।
মেঘঃ আচ্ছা আমি আসছি বলে ফোন রেখে দিল। মেঘ শিলা সুমিকে বলছে আমার এক বন্ধু এসেছে আমার সাথে দেখা করার জন্য। শিলা আমরা ও তোর বন্ধুকে দেখব চল মেঘে জানিস আমার খুব ভয় লাগছে, সুমি কেন মেঘ প্রথম দেখা তো তাই। আমরা আছি না চল যাই, মেঘ সামনে শিলা ও সুমি পিছে পিছে 5 তলা থেকে নিচে নামছে নামতে নামতে মেঘ রুদ্রকে ফোন দিয়ে রাস্তার দিকে তাকাচ্ছে রুদ্রকে আগে থেকেই চেনার জন্য। হঠাৎ মেঘ দেখতে পায় রুদ্র তার দেওয়া ফতুয়া পড়ে হাতে বড় একটা আইসক্রিমের প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিচে দাঁড়িয়ে আছে।মেঘ নিচে নেমে দারোয়ানকে বলে গেষ্ঠ রুমে গেল।দারোয়ান বলল পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলা যাবে না রুদ্র ঠিক আছে। মেঘ মাথায় কাপড় দিয়ে চুপচাপ বসল চেয়ারে। কেমন আছিস মেঘ রুদ্র বলল।
মেঘের মুখ থেকে কোন জবাব আসছেনা। এমন সময় শিলা ও সুমি দুজনেকে উদ্দেশ্যে করে বলল দুজনকে ভারী চমৎকার লাগছে। লাজুক লাজুক ভাব। কি সুন্দর রোমান্টিক দৃশ্য আমার খুব ভালো লাগছে সুমি আমার ও ভীষণ ভালো লাগছে। সুমি রুদ্র ভাইয়ের হাত থেকে আইসক্রিমের বাক্সটার নিয়ে চল আমরা খাই আর কাবাব এর মধ্যে হার না থাকাই ভালো বলে হাত থেকে আইসক্রিম নিয়ে ওরা চলে গেল। মেঘ আমিও যাই-
রুদ্র আর একটু থাকো না। মেঘ আমার ভয় করছে আমি যাই রুদ্র একটু আমার দিকে তাকাও, মেঘ মাথা উঁচু করে রুদ্র দিকে একটু হালকা করে তাকাল, রুদ্র ওর কয়েকটি ছবি তুলে নিল এবার আমি আসি রুদ্র যাবে যাও তাড়াতাড়ি উপরে চলে যাচ্ছে,,, রুদ্র অপলক চোখে তাকিয়ে থাকল মেঘের দিকে। মেঘ উপরে রূমে গিয়ে হাপাতে লাগল রুদ্রর সেখান থেকে বের হয়ে অনেকক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে আবার ফোন দিল মেঘেকে। মেঘে,,, রুদ্র ঃতোকে আরো দেখতে ইচ্ছে করছে। মেঘঃ তখন এমন তুমি করে বলছিলি কেন?
রুদ্রঃ জানিনা।মেঘঃএমন করে বললে যেন তুই আমার প্রেমিক।
রুদ্রঃ আমার সাথে আর একটু দেখা কর আর তুমি করে বলবো না কখনো। মেঘ এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে নিচে যাওয়া যাবে না।
রুদ্রঃ আমি কালকে আবার আসবো।
মেঘঃ আচ্ছা এখন এখান থেকে চলে যা।
পরদিন জয় এলো মেঘের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু কি আশ্চর্য মেঘতো এমন ভয় পাওয়ার মত মেয়ে নয়, তবে ওদেরকে দেখে ও কেন এত ভয় পাচ্ছে নিজেও জানেনা। জয় মেঘের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে কিছু বলবে আমাকে? মেঘ খুব ভয় ভয় করে কিসের এত অহংকার আপনার ?? জয় তোমাকে ভালোবাসি তাই। মেঘ কোন কথা বলতে পারলো না শুধু আকিদের কথাগুলো মনে পড়ল। সেই জিদের কথা। কিছু বলছো না যে। আমাকে তোমার পছন্দ হয় নি মেঘ? আমি উপরে গেলাম আর কোনদিন আপনার সঙ্গে আমার দেখা হবে না, কথা হবে না বলে চলে গেল মেঘ।
জয় একটু কষ্ট পেল। কারণ ও মেঘের সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের খেলা খেলার ইচ্ছে ছিল ঠিকই কিন্তু ওকে দেখার পর সবকিছু ভুলে গেছে। জয় ভাবছে কি করে তোমাকে বোঝাই আমি তোমাকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি মেঘ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
আপু খুব সুন্দর গল্পের পঞ্চম পর্বের উপস্থাপনা। আপু গল্প পড়তে পড়তে তো এখন মনে হচ্ছে যদি সব একবারে পেয়ে যেতাম তাহলে খুব ভালো হতো আকাঙ্ক্ষা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া ইনশাল্লাহ শেষ পর্যন্ত দেখলে আরো অনেক বেশী ভালো লাগবে শুভকামনা ও ধন্যবাদ♥
আপু আপনার এই মিষ্টি প্রেমের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ধন্যবাদ ভাইয়া♥
কবে যে মেঘের দেখা পাবো!!
খুব সুন্দর হয়েছে এই পর্বটি তবে ব্যাথা একটু বেশিই পেয়েছি😁
তাই বুঝি!! পরের পর্বটি আরো ভাল লাগবে।।
অপেক্ষায় রইলাম😊
গল্পটি খুব সুন্দর ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লিখেছেন আপু। শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা পড়ার অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেষ পর্যন্ত যা হবে যা এখনো ভাবতেই পারবেন না♥
অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
ঠিক তাই। ধন্যবাদ♥
গল্প কী শেষ?? পাঁচটা পর্বই ছিল খুব সুন্দর। আমার খুব ভালো লেগেছে। তবে রুদ্রের যেমন বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন গরীব অনার্স পড়ুয়া আমি যেন রুদ্রকে কল্পনা করতে পারছিলাম। খুব সুন্দর হয়েছে আপু।
এখানেই গল্প শেষ না আরও আছে ভাইয়া। যত সামনের দিকে যাবেন ততই মজা পাবেন। ধন্যবাদ।আরো দুই থেকে তিনটি পর্ব হবে আশা রাখছি♥
বাহ বাহ দারুন খবর🙂🙂🙂
গল্পটি ভীষণ ভালো লেগেছে। এভাবেই সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দিন। শুভেচ্ছা অবিরাম
ধন্যবাদ
আপু, আপনার লেখার হাত অনেক ভাল। গল্পটি অনেক চমৎকার কিন্তু লিখতে গিয়ে বানানে, দাড়ি কমায় অনেকগুলো ভুল হয়েছে। এগুলো টাইপিং মিসটেক। চেষ্টা করবেন পাবলিশ করার আগে অন্তত একবার পড়ে নিতে পুরোটা তাহলে এই ভুলগুলো আর থাকবে না। ধন্যবাদ।
অসাধারণ হয়েছে ,,, আন্টি আপনার গল্প গুলো...এখন ৫ম পর্ব চলছে... শুভ কামনা রইল...❤️❤️🥰🥰
ধন্যবাদ