ডিম, আলু ও ডালের বড়ার মজাদার রেসিপি♥ ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাাহ্ আমিও ভাল আছি।
বন্ধুরা,,, আজ আমি আপনাদের জন্য আর একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে এসেছি।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তবে একদম ভিন্ন রকমের ভিন্ন স্বাদের এই মুখরোচক রেসিপিটি আমার খুবই প্রিয়। ডিম, আলু ও ডালের বড়ার মজাদার রেসিপি যা সত্যিই অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। এই রেসিপিটা আমরা একসময় খুবই করতাম।অনেকদিন হলো এই রেসিপিটা করা হয়নি এবং খাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম আজ করে ফেলি। এ মজাদার রেসিপি কেক খেতে দারুন স্বাদের।তো বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।♥♥
উপকরন সমুহঃ
♦ডিম
♦আলু
♦ডাল বাটা
♦আদা বাটা
♦টমেটো
♦পেয়াঁজ কুচি
♦ কাঁচা মরিচ
♦ লাল মরিচের গুড়া
♦লবণ
♦ হলুদ
♦জিড়া গুড়া
♦তেল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
♦প্রথমে ডালগুলো কেটে নিয়ে এরপর সব মসলার উপকরণ গুলো দিয়ে ভালো করে ডালটি মেখে নিতে হবে
♦এরপর একটি তাওয়ার মধ্যে তেল গরম করে এবার বড়াগুলো ভেজে নিতে হবে ঠিক এভাবে।
♦পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়ে এরপর ডিম দিয়ে মেখে নিতে হবে।
♦ঠিক এভাবে একটি কাটা চামচের সাহায্যে ডিমগুলো মেখে নিলাম।
♦এবার ডিমগুলো ঠিক এভাবে ভেজে নিলাম।
♦ভাজা ডিম গুলো ঠিক এভাবে পিস পিস করে কেটে নিলাম।
♦ এবার একটি করার মধ্যে কাঁচামরিচ পেঁয়াজ গুলো ঠিক লাল লাল করে ভেজে নিন এরপর হালকা একটু পানি ঢেলে দেবো।
♦এরপর লবণ হলুদ আদা বাটা জিরা বাটা রসুন বাটা সবগুলো উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মসলাগুলো কোষে নিবো।
♦মসলাগুলো কষা হয়ে গেলে এবার আলু গুলো ঢেলে দিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে ঢেকে দেবো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
♦আলু গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে ভালোভাবে কোষের নিয়ে এরপর ঝোলের জন্য পানি দিয়ে দিব।
♦এবার ঝোল গুলো একটু গরম হয়ে আসলে তাতে টমেটো ভাজা পড়া এবং ভাজা ডিম গুলো ছেড়ে দিতে হবে
♦এবার 5 থেকে 7 মিনিট খুব ভালো করে জ্বাল দিয়ে এরপরে জিরার গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নেব।
ঝটপট রান্না হয়ে গেল মজাদার ডিম আলু ও ডালের বড়া রেসিপি।এটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় খেতেও তেমনি সুস্বাদু ও মজাদার।যারা এখনো এই রেসিপিটি খেয়ে দেখেনি তাদেরকে অনুরোধ করবো আজি বাসায় ট্রাই করুন।অনেক মজাদার রেসিপি স্বাদ নিতে।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বাহ আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। সত্যিই এগুলো খেতে অনেক মজা লাগে। বাড়িতে মাঝেমাঝে আমার মা ও এসব তৈরি করে। খেতে অনেক মজা হয় সেগুলো। আর অনেক সুন্দর ভাবে সব কিছু উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এই রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয় যে কেউ যে ভাবে রান্না করবো কেন অনেক বেশি মজা লাগে কোন একদিন করে খাবেন।ভাল থাকুন সব সময়♥♥
আপু নিত্য নতুন রেসিপির সাথে পরিচিত হতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর আজ আপনি যে রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সেই রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন একটি রেসিপি। আপু আপনি যে রেসিপি তৈরি করেছেন তা আমার কাছে ইউনিক রেসিপি বলে মনে হচ্ছে। কারন এতো সুস্বাদু রেসিপি আমি এর আগে কখনো খাইনি। তাই আপনার ইউনিক রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। বাসায় অবশ্যই একদিন তৈরি করে খাব। ভালো থাকবেন।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সত্যিই এটি একটি ইউনিক রেসিপি এটা সচরাচর সবাই করে না তবে আমাদের বাসায় এটা নিয়মিত হয় কারণ এটা খেতে অনেক সুস্বাদু♥♥
রেসিপি টি নতুন আমার কাছে । আলুর বড়া খেয়েছি। ডিমের চপ খেয়েছি । ডালের বড়া খেয়েছি। কিন্তু তিনটে এক করে এভাবে তৈরী করে কখনও খাই নি। তাই নতুন আমার কাছে রেসিপি টি। আসলে কত ভাবেই তো রান্না করা যায়। আজকের রেসিপি টি কিন্তু লোভনীয় । একটা রসালো ভাব রয়েছে। যাই হোক আপু ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যি আমার হৃদয়টা রসে ভরে গেল আপনার সুন্দর মন্তব্যের আমি সবসময় অনুপ্রাণিত হই ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য♥♥♥
বাহ চমৎকার ইউনিক এক রেসিপি এটি। খুবই ভালো লাগলো এমন এক ইউনিক রেসিপি দেখে। আমি শুধু ডিম এর টা খেয়েছিলাম। কিন্তু বড়া দিয়ে খাওয়া হয়নি কখনো। মনে হচ্ছে খুবই স্বাদের হয়েছে। চেস্টা করে দেখতে হবে।
কেন নয় অবশ্যই চেষ্টা করে বাসায় রান্না করে খাবে দেখবেন এতটাই মজা যে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
♥♥
আপু এই রেসিপিটি কিন্তু দারুণ মজাদার আমি অনেকবার খেয়েছি। বড়াগুলো বেশ নরম হয় রেসিপিটি তৈরীর পর আর খেতেও বেশ মজাই লাগে আমার। যাইহোক আমার পছন্দের একটি সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন এটি রান্নার পর বড়া গুলো অনেক নরম হয়। এবং অনেক মজাদার হ।য় খেতে। সেইরকম লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
টাইটেলটা বেশ ইউনিট ছিল, ডিম আলুর ডালের বড়ার মজাদার রেসিপি, আপনি একজন ভালো রাঁধুনি এবং কবি আপনার কাজ সবসময় আমার ভালো লাগে, দোয়া করি সামনের দিকে এগিয়ে যান আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
রেসিপি টাইটেলটা আপনার অনেক ভাল লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগলো এভাবে শুধু মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা♥♥
আপু রেসিপিটি আমার কাছে একবারেই ইউনিক লেগেছে, এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি, আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আপু, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি যে আমার থেকে আপনি নতুন কোনো রেসিপি শিখতে পেরেছেন সত্যিই এটা বাসায় করবেন অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়।♥♥
আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রেসেন্টেশন গুলো। রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার রেসিপি আপনি
মন দিয়ে পড়েছেন/ দেখেছেন এজন্য।♥♥
শুধু ডালের বড়া খেয়েছি কিন্তু ডিম আলু ও ডাল দিয়ে একসঙ্গে করে খাওয়া হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার তৈরি ডালের রেসিপি অনেক মজা হয়েছে। মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বলেন কি, আমাদের তো সপ্তাহে তিন চার দিন এই রান্নাই খাওয়া হয়।
আমার কাছে একেবারেই নতুন একটি রেসিপি। আইডিয়া টা বেশ ইউনিক। খেতেও মনে হয় সুস্বাদু হবে। ইউনিক একটি রেসিপি ধাপে ধাপে গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে তবে এই রেসিপিটি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন অনেক মজাদার কিন্তু।