রে সি পি মজাদার সুজির হালুয়া।।10% beneficially @shy-fox
আশাকরি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও অনেক ভালো আছি। আজ সকাল বেলা থেকেই একটু ভিন্ন রকম অনুভূতি কাটছিলো সারাদিন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠিই শুনি পাশের বাড়ির বড় ভাবি হঠাৎ করে মারা গেছেন।
শুনেই কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে ছিলাম কিছুই যেন ভাল লাগছিল না অনুভূতি গুলো যেন শিথিল হয়ে যাচ্ছিল।
সারাদিন তাদের বাড়িতেই প্রায় অনেক ছুটোছুটি করছিলাম।আছর বাদ জানাজার পর মাটি হয়।
তাই আজ সারাদিন অন্যরকম একটি পরিবেশের খুব ছুটো ছুটির মধ্যেই কেটে গেল।পোস্ট করার সময় হলো না।কি পোস্ট করব ভেবে পাচ্ছিলাম না।
হঠাৎ করেই মনে হলো আজ একটু সুজির হালু্য়া করে সন্ধ্যার নাস্তা টা তৈরি করি।
সুজির হালুয়া রেসিপি টা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলে কেমন হয়?যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু করলাম সুজির হালুয়া রেসিপি।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
সুজির হালুয়া
উপকরন সমুহ
১. সুজি ১ কাপ
২. চিনি ১ কাপ
৩. তেজপাতা ১ টি
৪. সাদা এলাচ ৩টি
৫. লং ৪টি
৬. কিসমিস কয়েকটি
৭. সয়াবিন তেল ২টেবিল চামুচ
৮. দুধ ২কাপ
প্রথমে আমরা চুলার মধ্যে একটি কড়াই বসিয়ে নেই। এবং করাই এর মধ্যে 2 টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে নেই। চুলার আঁচ কমিয়ে নেব।
এবার সুজি গুলো দিয়ে দেই। সেই সাথে এলাচ তেজপাতা ও লং একসাথে দিয়ে ভালো করে আস্তে আস্তে ভেজে নেই।
সুজি গুলো ভাজা হয়ে গেলে দুধগুলো ঢেলে দেবো এই দুধগুলো আমি আগেই গরম করে রেখেছিলাম।
মনে রাখতে হবে দুধ গুলো দিয়ে অনবরত নাড়াচাড়া করে দিতে হবে। যেন সুজি গুলো শক্ত বা দলা দলা হয়ে না যায়।।
সুজি সিদ্ধ হওয়ার পর সেখানে চিনি দিয়ে দিব। এবং ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে দেবো। সেই সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে রান্না করতে হবে।।
রান্না হয়ে গেলে একটি পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিব তার আগে পরিবেশন পাত্রে একটু তেল মেখে নিব।
ও এভাবে সুন্দর করে মেলে দিব।
এবার কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাসে রেখে দেবো হালুয়ার টি ঠান্ডা হওয়ার জন্য। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি ছুরির সাহায্যে কেটে কেটে ডিজাইন করে নিব বরফির মত।
এবার হালুয়া গুলির উপরে কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে নেব ঠিক এভাবে
তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুজির হালুয়া।দারুন টেস্টি।
অল্প সময়ে খুব সহজেই এই মজাদার সুজির হালুয়া তৈরি করে নিলাম।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আপনাদের যদি ভালো লাগে তবেই আমার সার্থকতা।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে.।আপনাদের ভাল লাগাই আমার অনুপ্রেরণা আমার উৎসাহ। চমৎকার মন্তব্য করার মাধ্যমে আমার উৎসাহ-উদ্দীপনা কে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
আজকের মত এখানেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন শুভকামনা সবসময় আল্লাহ হাফেজ
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
খুব সুন্দর একটি রেসিপি শিখলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুজির হালুয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
জ্বি আপু অনেক মজা হয়েছে!♥
বাহ্! মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। সুজির হালুয়া শুনেই রুটির কথা মনে পড়ে গেল। সুজির হালুয়া দিয়ে আমি চাউলের তৈরি রুটি খুবই খেতাম। সুজির হালুয়া খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে সুজির হালুয়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমরাও চালের রুটি দিয়ে সুজির হালু্য়া বুটের হালুয়া খেয়ে থাকি।দারুন মজা।
খুব সুন্দর সুজির হালুয়া রেসিপি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে । উপস্থাপনা টাও খুব সুন্দর করে করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপু মনি♥ সত্যিই অনেক মজা হয়েছে।
সুজি খেতে খুবই ভালো লাগে ছোটবেলায় খুব সুজি খেতাম কিন্তু বড় হয়ে আর খেয়ে হওয়া ওঠে না কিন্তু আপনি সুজি দিয়ে হালুয়া করেছেন খুবই ভালো লাগছে। অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন যা দেখার মত ছিল। আমরা চেষ্টা করব এটি বাড়িতে তৈরি করা এবং আপনি খুব সুন্দরভাবে মার্জিত ভাষায় এটি পরিবেশন করেছেন। আমাদের বুঝতে সক্ষম হয়েছে খুবই ভালভাবে আপনার জন্য শুভকামনা রইল। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যকাদ ভাইয়া উৎসাহ দেওয়ার জন্য♥
আমাদের শরীরের জন্য এটি একটি আদর্শ খাদ্য। ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ♥
সুজির হালুয়া খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।এটি আমাদের দেহের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার। ধন্যবাদ আপু আপনাকে ক্রিয়েটিভ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপু।
শুভ কামনা♥ ভাইয়া
আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। সুজির হালুয়া, এর সাথে যদি রুটি থাকতো জমে যেত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রুটি আর একদিন করবো কেমন।আজ হলুয়া টাই হোক। শুভ কামনা♥ ভাইয়া
ধন্যবাদ আপু।
এই ধরনের একটা হালুয়া শবেবরাতের সময় আমার আম্মা বানাতো। কয়েক রকমের হালুয়া বানালেও আমি সবচাইতে পছন্দ করতাম সুজির তৈরি হালুয়া। আপনার হালুয়াটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই বলেছেন ভাইয়া অন্যরকম স্বাদ হয়েছে আজকের হালুয়া!♥
আপু আপনার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। সুজির হালু্য়া দেখেই আমার খেতে মন চাইছে ।খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন। যা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ভালোই লাগে আপনার এই রেসিপি দেখতে।
আপনার কতো গুণ আপু।
আপনার গুণ দেখতে দেখতে তো আমিই অবাক।
আমার আম্মু প্রায় এই সুজির হালুয়াটি করে। খুব ভালো লাগে আমার।