কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা "বনলতা সেন" এর আবৃত্তি//
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য কবি জীবনানন্দ দাশ এর বিখ্যাত কবিতা নাটোরের বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করেছি।অনন্ত প্রেমের কবিতা।প্রেমের এই কবিতার নাটোরের বনলতা সেন এর নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে।কবি জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা।কি গভীর প্রেম সে কবিতায়।আমার বাংলা ব্লগে সকল বন্ধুদের সাথে কবিতাটি শেয়ার করার ইচ্ছে করছিলো মনে মনে।। যেই ভাবা সেই কাজ। ইচ্ছেটা পূরণ করে ফেললাম।এত চমৎকার একটি প্রেমের কবিতা ঠিক যেভাবে আবৃত্তি করতে হয় আমার আবৃত্তিটা ঠিক সেরকম টি হয়ে ওঠেনি আমি চেষ্টা করেছি মাত্র।তাছাড়া আমার বাংলা ব্লগে অনেক কবিতাপ্রেমী ভাই-বোন বন্ধুরা আছেন।যারা আমার কবিতা আবৃত্তি সোনার প্রত্যাশায় থাকেন।কবিতাপ্রেমী বন্ধুদের জন্য আমার আজকের এই ছোট আয়োজন।আশা করি খুব ভাল না লাগলেও খুব মন্দ লাগবে না।বনলতা সেন কবিতাটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি কবিতা।এই কবিতাটি আবৃত্তি করে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি কিন্তু মনে মনে অন্যরকম একটি অনুভূতি অনুভূত হচ্ছে।যা লিখে কাউকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।তো বন্ধুরা চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি।আমার আবৃত্তি টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবেই আমার সার্থকতা আমার পরম পাওয়া আমার আত্মতৃপ্তি।ত্রুটি মার্জনীয়।
" বনলতা সেন"
কবি- জীবনানন্দ দাশ
আবৃত্তি- সেলিনা সাথী
ভিডিও লিংক
কবিতার লিরিক্স
হাজার বছর ধরে
আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে
নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে,
অনেক ঘুরেছি আমি
বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে,
সেখানে ছিলাম আমি
আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে,
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক
চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো
নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য,
অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা,
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে
দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে
বলেছে সে, এতদিন কোথায় ছিলেন?
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে
নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে
শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল,
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে
পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন,
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল
সব পাখি ঘরে আসে
সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন,
থাকে শুধু অন্ধকার
মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ভুল করে বেনিফিশিয়ারি দেয়ার আগেই পোস্টে ক্লিক হয়ে গেছে।অনিচ্ছাকৃত।কি করবো বুঝতে পারছিনা।
আপু এই পোষ্ট টি ডিলিট করে বেনিফিশিয়ারি দিয়ে আবার পোষ্ট করুন।আশা করি অ্যাডমিন প্যানেল কিছু মনে করবে না।
আপনার কবিতা আবৃত্তি মানে ওয়াও অসাধারণ আপনার কবিতা আবৃতি।আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে মনটা জুড়িয়ে গেল। এত সুন্দর কবিতা আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু, আমি চেস্টা করে যাচ্ছি।
আপু দোয়া করে দিন যাতে একদিন আপনার মত আবৃত্তি করতে পারি।
অবস্বই ভাই, সব সময় দোয়া থাকবে।
খুব খুব পছন্দের কবিতা, প্রিয় কবি। ওনাকে প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাই। আর জীবনানন্দ না পড়লে বাঙালি হওয়া বৃথা,
দিদি আপনার আবৃত্তি খুব ভালো হয়েছে। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন আপু, জীবনানন্দ দাশ মহৎ একজন কবি ছিলেন।
সত্যি বলতে অনেক শুনেছি এই নাটোরের বনলতা সেনের কথা। কিন্তু এই কবিতা টা কখনো পড়ে দেখা হয়নি। আহ কবি জীবনানন্দ দাসের কী অপরুপ সৃষ্টি কী ভাষা। দারুণ আবৃত্তি করেছেন আপু। আপনার আবৃত্তিতে যেন কবিতা টা পূর্ণতা পেয়েছে। চমৎকার
আপু।।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমি চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি।।
চমৎকার একটি আবৃতি শুনলাম আমরা প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর সুন্দর আবৃত্তি শুনছি বিশেষ করে হ্যাংআউটের আবৃত্তি আমার কাছে এতটা বেশি ভালো লেগেছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর আবৃতি আপনার থেকে আশা করব আপু।
আতি প্রতিনিয়ত আবৃত্তি করার চেস্টা করি।