ঝিঙ্গা দিয়ে দেশি "মুরগির" মজাদার রেসিপি//১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
সবাইকে শুভেচ্ছা।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,, আজ আমি আপনাদের সাথে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আমার খুবই প্রিয় দেশি মুরগির সাথে ঝিঙ্গা রেসিপি। আসলে আমাদের বাড়িতে আমরা সচরাচর দেশি এবং ছোট মুরগি খেয়ে থাকি।। আমাদের বাড়িতে কোন দিন কখনোই বয়লার মুরগী রান্না হয় না।কারণ আমরা কেউই বলার খাইনা।আর যেহেতু আমি মাছ খাই না তাই আমাদের বাড়িতে রোজা মাসে বেশিরভাগ ছোট মুরগি রান্না হয়ে থাকে।অভি ছোট মুরগির সাথে ঝগড়া কিন্তু অতুলনীয় স্বাদের হয়।একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে এতটাই সুস্বাদু ও মজাদার।তাই ভাবলাম রেসিপিটা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি।যত সুন্দর কালার কি হয়েছে তার চেয়ে বেশি সুন্দর হয়েছে খেতে।আমি নিজে রান্না করেছি বলে বলছি না সত্যিই অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছে যা দিয়ে তৃপ্তি সহকারে ভাত খেলাম।
তবে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক ঝিঙ্গা দিয়ে দেশি মুরগির মজাদার রেসিপি
উপকরণ সমূহঃ
♦ছোট মুরগির মাংস
♦কচি ঝিঙ্গা
♦আদা বাটা
♦ পেয়াঁজ কুচি
♦ রসুন বাটা, তেজপাতা, লং, এলাচ, গোটা জিড়া, জিড়া গুড়া, লবণ, হলুদ, লাল মরিচ গুড়া তেল। ও কাঁচা মরিচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
♦প্রথমে মুরগির মাংস গুলো ভালো করে পিস করে কেটে নিয়ে এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
♦এরপর জিন্দা গুলো কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
প্রথমে একটি করাইয়ের মধ্যে মরিচ পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো ভাল করে ভেজে নিতে হবে।তেজপাতা লং এলাচ ও এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
♦মসলাগুলো ভালো করে বাদামী রংয়ের ভাজা হয়ে গেলে তাতে মুরগির মাংস গুলো দিয়ে দেব।
♦সে মসলাগুলো সঙ্গে মাংসটা ভালোভাবে কোষে নেব।
♦এবার মাংস গুলোর মধ্যে আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ লবণ,জিরা বাটা লাল মরিচের গুঁড়ো এবং আস্ত জিরা দিয়ে মাংস টা ভালোভাবে কোষে নেব।
♦মাংসটা কষা হয়ে গেলে হালকা একটু পানি দিয়ে ঢেকে দেবো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
♦মাংসটা সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ঝিঙ্গা গুলো ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নেব।
♦এবার ঝিঙ্গা সহ মাংসগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে দেবো ঝোলের জন্য।5 মিনিটের মতো জাল দিয়ে।ভাজা জিরার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নেব।
♦খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঝিঙ্গা দিয়ে দেশি মুরগির মজাদার রেসিপি।আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে আপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া।তো বাসায় বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই আমরা এই রেসিপিটা করতে পারি। এটা দেখতেও যেমন আকর্ষণীয় খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ঝিঙা দিয়ে কখনও মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু একটি খাবার। আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
রান্না করে খাবেন। সেই মজা।এই রেসিপিটা দারুন স্বাদের। ধন্যবাদ♥♥♥
আপু আপনি আজকে চমৎকার ভাবে ঝিঙ্গা দিয়ে দেশি "মুরগির" মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার রেসিপি দেখে আপনি রান্না শিখে গেছেন বলে আগামীতে বাসায় এভাবে রান্না করে খাবেন দেখবেন অনেক মজাদার♥♥
মাংসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়
আলু। দেশি মুরগির মাংস আমার অনেক পছন্দ। তবে ঝিঙা দিয়ে দেশি মুরগির রেসিপি কখনো খাইনি। রেসিপি টা বেশ ভালো তৈরি করেছেন আপু। বেশ চমকপ্রদ ছিল এবং দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।।
একদম ঠিক বলেছেন মাংস অথবা মাছে দুটোর সাথেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আলু খেয়ে থাকে। তবে ঝিঙ্গা দিয়ে কিন্তু ইলিশ মাছ, এবং গরুর মাংস,মুরগির মাংস এবং শুটকি মাছ দিয়ে ঝিঙ্গা অতুলনীয় তরকারি হয়।তাই ঝিঙ্গা আমার খুবই প্রিয়।♥♥
ঝিঙ্গা দিয়ে আমি কখনো মুরগির মাংস খাই নাই। তবে কিছু কিছু রেসিপি দেখলে মনে হয় খেয়ে মনে হয় ভালো হয়েছে আপনার রেসিপিটিও তেমন। তাই আমার মনে হচ্ছে টেস্ট করা উচিত। অনেক ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ঝিঙ্গা দিয়ে মুরগির মাংসের স্বাদ অসাধারণ হয়।একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে।♥♥
ঝিঙে দিয়ে দেশি মুরগির অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপি যেমন তেমন দেশি মুরগির মাংসের যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলেন সেগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। সাথে অসাধারণ রেসিপি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু আপনার প্রতি এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে বলে। এভাবেই সাথে থাকবে সবসময়♥♥
আপু ঝিঙ্গা দিয়ে মুরগির মাংস খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এটা আমার বেশ জানা আছে। কারণ এই রেসিপিটি আমার বাসাতেও মাঝে মাঝেই তৈরি করে খাওয়া হয়। খেতে অনেক অনেক মজাদার হয়ে থাকে এই রেসিপিটি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আর এই সুস্বাদু রেসিপি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই ঝিঙ্গা দিয়ে মাংস তরকারি অনেক বেশি টেস্টি ও মজাদার হয়ে থাকে একদম ঠিক বলেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পকেট চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য♥♥
আমাদের এলাকায় ঝিঙ্গাকে পল্লা বলে থাকি।ঝিঙ্গা আমার খুবই প্রিয়। ঝিঙ্গা দিয়ে আমি যেকোন তরকারি খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে মুরগির তরকারি।আপনার তৈরি ঝিঙ্গা দিয়ে মুরগির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিকই মনে করেছেন এটি খেতে অনেকটাই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে আর ঝিঙ্গা আমার খুবই পছন্দের একটি সবজি♥♥
ঝিঙে দিয়ে দেশি মুরগির মজাদার রেসিপি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। ঝিঙে এবং মুরগির মাংস দুইটাই আমার খুবই পছন্দের খাবার। আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বিশেষ করে তরকারির কালার টা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জেনে ভালো লাগলো যে ঝিঙ্গার এবং দেশি মুরগি দুটোই আপনার অনেক পছন্দের এবং প্রিয়।সত্যি বলতে ঝিঙ্গা এবং দেশি মুরগি আমারও অনেক পছন্দের।♥♥
সত্যি সত্যি রেসিপিটা অনেক মজাদার হয়েছিল দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও তেমনি মজা হয়েছে।♥♥
ঝিঙ্গা দিয়ে দেশি "মুরগির" মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।বাহ বেশ চমৎকার ছিল আপু আপনার উপস্থাপন। রান্নাও তো অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল। 💞💞
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ভালো থাকবেন সবসময়♥♥
মুরগির মাংসের সাথে আমি মিষ্টি কুমড়ার তরকারি খেয়েছি কিন্তু ঝিঙে দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি, নতুন একটি জিনিস শিখতে পারলাম ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে মাংস রান্না টি, বরাবরই আপনি বেশ ভাল একজন রাঁধুনি এবং কবি। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
কোন একদিন চিংড়ি দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রান্না করে খেয়ে দেখিয়েন কতটা টেস্টি হয় অনেক মজাদার একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে হয়।♥♥