আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২০
- রবিবার
- ১৭জুলাই, ২০২২
সকলকে শুভেচ্ছা।আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এ বারের কনটেস্ট "শেয়ার করো তোমার প্রথম প্রেমের অনুভূতি" এই কনটেস্টটি আমার পারসোনালি অনেক ভালো লেগেছে। এজন্য প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদাকে । এতো সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য। এই কনটেস্টের মাধ্যমে আমরা এবার অনেকের প্রথম প্রেমের কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারবো। আমাদের সবার জীবনের এই রকম অনেক কিছু লুকায়িত অনুভূতি আছে, যা ভালোলাগা ভালোবাসার এই অনুভুতি সবার জীবনেই আছে।আর সেই অনুভুতি গুলো এবার প্রকাশিত হবে এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে। ভাবতেও দারুন লাগে।
প্রেম চিরদিন'ই সত্য। চিরদিনই সুন্দর।প্রেমের অনির্বাণ শিখা প্রতিটি মানুষের জীবনেই জ্বলে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।আর মানুষ সর্বত্র প্রেম পূজারী।তবে ইদানিং প্রেমের বিকৃতি ঘটছে।বিলীন হচ্ছে প্রেমের সৌন্দর্য। আর প্রেমের কোন বয়স হয় না।হয়না মনের বয়স ও। তাই অনেকের জীবনে বহুবার প্রেম আসে।তবে প্রথম প্রেমের স্মৃতি কোনদিন কখনোই নাকি ভোলা যায় না।অনেকের ছোটবেলায় প্রেমের স্মৃতি পড়লাম এবং শুনলাম প্রথম প্রেমের অনুভূতি।কিন্তু এটা সত্য যে আমার জীবনে প্রেমের ফুল ফোটার আগেই প্রেম কি এটা বোঝার আগেই,,জীবনের কঠিন বাস্তবতায় হামাগুড়ি খেয়েছি আমি।তাই সবার মত আমার প্রথম প্রেমের অনুভূতি একটু অন্যরকম।চলুন শুনে আসা যাক।
বন্ধুরা,, জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে, আমার শিক্ষা জীবন অতিবাহিত হয়।আমি খুব ছোটবেলায় অনেক চঞ্চল আর মিশুক টাইপের ছিলাম।হাসিখুশি প্রাণবন্ত ছিলাম।কাউকে কখনো গোমরা মুখে দেখলে তাকে কিভাবে হাসানো যায় এই প্রচেষ্টায় ছিল আমার ভেতরে।তবে ছোটবেলা থেকে অনেক বেশি স্বপ্ন দেখতাম জীবনে অনেক বড় হবো।সমাজের জন্য দেশের জন্য কাজ করবো।ছাত্রী হিসেবে ও মন্দ ছিলাম না।লেখাপড়ায় যথেষ্ট ভালো ছিলাম।কিন্তু আমি যখন ক্লাস ফাইভে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে ক্লাস সিক্সে উঠি।আসলে তখন প্রেম-ভালোবাসা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না।ঠিক সেই সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমার বিয়ে হয়ে যায়।এবং সেই থেকে আমার জীবনে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়।মানসিক রোগের শিকার হই আমি।তখন কোন ছেলে মানুষ পুরুষ মানুষ কাউকে সহ্য করতে পারতাম না।কোন ছেলে মানুষ কিংবা পুরুষ মানুষ এতোটুকু দুষ্টু মেয়ে বা কোনো কথা আমাকে বললে আমার সামনে যা থাকত সব ভেঙ্গে চুরে চুরমার করতাম।এবং খুব নীরব ছিলাম।ঠোঁটের কোণে এতোটুকু হাসি আসত না।তবে লেখাপড়াটা ছাড়িনি কখনোই।আমি এসএসসি পাস করার পর যখন কলেজে ভর্তি হলাম।নীলফামারী সরকারি কলেজে।এখানে ছেলেমেয়েরা একসাথে পড়াশুনা করতো।আমাদের প্রতিটি ক্লাস আলাদা আলাদা রুমে হত।
তাই যখন যে ক্লাস হতো আমি স্যার কিংবা ম্যাডামের সাথে সাথে ক্লাসে যেতাম এবং ক্লাস শেষ করে আবার স্যার এবং ম্যাডামের সাথে কমন রুমে চলে আসতাম।কখনো কোন ছেলে মানুষের সাথে কথা বলতাম না।তবে রাকিব এবং তুষার নামের দুজন ছেলে খুব আমার পেছনে লাগত।যা আমি বুঝতেই পারতাম না।মজার বিষয় স্যার যখন ক্লাসে লেকচার দিত।তখন কোথা থেকে যেন একটি আওয়াজ আসতো সিক্ সিক্ সিক্,,,,,স্যার লেকচার বন্ধ করলে আওয়াজটি ও বন্ধ হয়ে যেত।স্যার ম্যাডামরা সহ অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি কোথা থেকে এই শব্দটি কে করছে।লাকি নামে আমার এক বান্ধবী ছিল।ও একদিন কমনরুমে আমাকে হাসতে হাসতে বলছিল জানিস সাথী ওই সিক্ সিক্ সিক্ আওয়াজটা কে এবং কেন করে।আমি বললাম আমি কি করে জানব।তখন ও বলল ওটি রাকিব করে।তোর মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য।কিন্তু বেচারা আজ পর্যন্ত তোর মুখে এতোটুকু হাসি ফোটাতে পারেনি।তবে আজ ও একটি চিরকুট দিয়েছে তোকে দেয়ার জন্য।চিরকুটে লেখা ছিল সাথে একটু হাসবে,,,আমি চিরকুটটি পড়ে রীতিমত রেগে গেলাম।এবং লাকিকে বললাম নেক্সটাইম কারো এরকম চিরকুট আমার কাছে নিয়ে আসলে তোর সাথে আর কখনোই কথা বলবো না।লাকি আবারো বললো রাকিব অনেক ভালো ছেলে ও তোকে অনেক ভালোবাসে।জানিস ও আমার চাচাতো ভাই।আমরা একই বাসায় ছোট থেকে বড় হয়েছি।প্রতিদিন কলেজ ছুটির পর হতে তোর কথা শুরু করে বাসায় সারাদিন রাত পর্যন্ত শুধু তোর কথাই বলে ও আমাকে।এবং ওর খুব ইচ্ছা তোর মুখে হাসি ফোটাবে।সেদিন আমি লাকিকে বলেছিলাম হাসিমুখ সবার জন্য নয়।আর রাকিবকে বলে দিবি ও যেন কোনদিন কখনো আমার বিষয়ে আমার প্রতি দুর্বল না হয়।কারণ তখন আমি শুধু বিবাহিত নই,, আমি একজন মা।রাকিব তোর সম্পর্কে সব জানে।আমার সরি বলা ছাড়া কিছুই বলার ছিল না।
/
একদিন কলেজে ক্লাস শেষে, আমি কমন রুমে আসতে ছিলাম। এমন সময় রাকিব পিছন থেকে ডাক ছিলো সাথী এই সাথী শুন একটি জরুরী কথা ছিল। এই সাথী শোননা?? আমি আরো জোরে জোরে হাঁটতে লাগলাম।রাকিব দৌড় দিয়ে আমার সামনে আসলো ও আমার সামনে আসতেই আমি মাথা নীচু করলাম।ও বলতে লাগল আমার দিকে একবার তাকা।তাকাবি না তো।আজকে যদি তোর একটু হাসিমুখ না দেখি তাহলে কিন্তু অনেক খারাপ কিছু হয়ে যাবে বলে গেলাম।আমি চুপচাপ নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।এক পর্যায়ে ও আমার হাতে থাকা বইয়ের ভেতরে একটি চিঠি ঢুকিয়ে দিল।এবং বলল এটা বাড়িতে গিয়ে পড়বি।। প্লিজ পড়বি পড়ে উত্তর দিবি।আমি কোনো কথা না বলে তারাহুরো করে কমন রুমে চলে গেলাম।বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে এরপর চিঠিটা পড়লাম।প্রিয় সাথী আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে হৃদয়ের গভীর থেকে আরো গভীরে তোমার বসবাস।আমার কলেজ জীবনের প্রথম দিন তোমাকে দেখেই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি তুমি সব সময়ে খুব চুপচাপ নিরব,থাকো এর রহস্য খুঁজতে গিয়ে তোমার জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানলাম।প্লিজ সাথী জীবনের ওই অধ্যায়টা কে একটি অ্যাক্সিডেন্ট মনে করো।আর আমি তোমাকে হাসানোর জন্য ক্লাসের নানারকম ছলচাতুরি করেছি।সত্যিই আমি অপারগ আজ পর্যন্ত তোমাকে এতোটুকু হাসাতে পারি নি।তবে আমি তোমাকে নতুন একটি জীবন দিতে চাই যে জীবনে থাকবে হাসি আর হাসি।আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমার অতীত টাকে,,অতীতের কালো অধ্যায় টাকে ঘুঁচে দিতে চাই।তোমার সিয়ামকে সহ বাকি জীবনটা আমরা একসাথে পাড়ি দিতে চাই,,,বাড়িতে আমার মাকে বলেছি তোমার কথা।আশা করি মা অমত করবেন না।আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা টুকু শুধু তোমার জন্য প্রিয় সাথী আমার।
ওর চিঠিটা পড়ে আমি দুদিন কলেজে যাইনি।সে বাইক নিয়ে আমার বাড়ির সামনে চলে এসেছিলো।এবং তৃতীয় দিন লাকিকে পাঠিয়েছিল আমার বাসায়।একটু রাস্তায় বের হওয়ার জন্য কারোর রাকিব আমাকে দেখতে চায়।রাকিব আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রায় এক ঘন্টার মতো দাঁড়িয়েছিল কিন্তু আমি বের হইনি তার সামনে।শেষ পর্যন্ত সে আমার বাড়ির সামনে এসে চিত্কার করে ভুলে যায়,,কাজটা ঠিক করলে না।রাস্তায় সাথেই আমার ঘর।ওর কন্ঠটা সুস্পষ্টভাবে শুনতে পেলাম।
যাইহোক পরদিন কলেজে গেলাম।কলেজের পরিবেশ কেমন যেন থমথমে হয়ে আছে।এর আগে কোনদিন কখনোই কলেজের পরিবেশটা এতটা ভারী হয়ে ছিল না।সবাই বলাবলি করছে রাকিবের মৃত্যুটা মেনে নেয়া যায়না।আমি এখনো বুঝতে পারছিনা কোন রাকিব কি হয়েছে কিছু বুঝতে পারছিনা।এমন সময় লাকি কানতে কানতে আমার দিকে ছুটে আসলো।এবং বলল রাকিব ভাই কালকে যখন তোর বাড়ির সামনে গিয়ে তোকে বের হতে বলছিল তুই যখন বের হইলি না তোকে না দেখতে পেয়ে সে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে।এবং হাসপাতালের বেডে একটি কাগজে তার রক্ত দিয়ে কী যেন লিখে কাগজটা তোকে দিতে বলেছে।বলে লাকি কাগজটি আমার দিকে এগিয়ে দিল।সাথী তোমাকে বুঝি আর দেখা হলো না।অনেক বেশি ভালোবাসি।সময় পেলে শেষ দেখাটা দেখতে এসো।তোমার মুখে আর হাসি ফোটানো হলোনা আমার।তোমার রাকিব।
এরপর আমি লাকির সাথে তাদের বাড়িতে যাই।সাদা কাফনে জড়িয়ে আছে রাকিব।আমি খুব সাহস করে লাকির হাত ধরে ওর লাশটি দেখতে যাই।এবং মনের অজান্তেই চিৎকার করে উঠি।ওর মাথার কাছে বসে কানে কানে বললাম,,এই দেখো রাকিব আমি এসেছি।এই দেখো আজ আমি প্রাণ খুলে হাসবো।চোখ বন্ধ করে আছো কেন চোক খোলো, দেখো আমি ফিরে এসেছি"।।এমন সময় ওর মা ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে,,সে কি কান্না।রাকিবের লাশটি যখন দাফনের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল,,তখন আমার বুকের ভেতরটা কষ্টে দাপাদাপি করতেছিল,,অসহ্য একটা যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছিল।কেন যেন সেদিন থেকে আমি ওর প্রেমে পড়ে গেছিলাম।ওর স্মৃতিচারণ করতাম।কলেজে গেলে সেই শব্দগুলো মিস করতাম।যে মানুষটা আমার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও চেষ্টা করে গেছে।জীবনের প্রথম তার জন্য আমার এত মায়া এত কষ্ট এত প্রেম উদয় হয়েছিল মনের অজান্তে।হ্যাঁ আপনারা এর নাম কি দেবেন জানিনা তবে আমার জীবনের রাকিব,,রাকিবের স্মৃতি,,প্রথম প্রেমের অনুভূতি।আসলে সব অনুভূতি রোমান্টিক হয় না।জানি আমার প্রথম প্রেমের অনুভূতি আপনাদের অনেককে ব্যথিত করবে।তবে এখনো আমি রাকিবকে খুব মিস করি ওর স্মৃতিগুলো মনে হলে ডুকরে ডুকরে কাঁদি।এবং মাঝে মাঝে নিজের সাথে নিজেই কথা বলি যারা আমাকে এত ভালবাসে তারা কেন চলে যায় আমাকে ছেড়ে।রাকিব বেঁচে থাকতে কোনদিন তোর সাথে আমার কথা হয় নি। কিন্তু,, ও মারা যাওয়ার পর প্রতিদিন রাতে একা একা তার সাথে কথা বলি আমি।আর চোখের অশ্রুতে বালিশ ভিজে যায়।তাইতো এখন আমি কারণে-অকারণে শুধু হাসি।হাজারো কষ্টের মধ্যে থাকলেও মুখে হাসি থাকে আমার।আমি ছবি তুললে ও আমার মুখ থাকে হাস্যজ্জল।কারণ রাকিবের শেষ ইচ্ছেটাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করব।
হে আল্লাহ তুমি রাকিবকে বেহেস্থ নসিব কোরো।বন্ধুরা আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা সকলেই রাকিব এর জন্য দোয়া করবেন।পবিত্র প্রেমের প্রেমিক,,প্রেমে প্রেমে ভরা ছিল যার হৃদয়। যে তার জীবন দিয়ে আমার মনে প্রেমের অনুভূতি জাগ্রত করেছে, আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি তাকে ঘিরেই।আজ আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে তোমাকে জানিয়ে দিতে চাই রাকিব তুমি জিতে গেছো। তুমি হারোনি।এত বছর পরেও তোমার স্মৃতি অক্ষত রেখেছি আমার হৃদয়ে।আজ আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে তোমাকে জানিয়ে দিলাম,,জনসম্মুখে। তোমার স্মৃতি কে ধারণ করেছি সকলের অগোচরে।কতদিন কতরাত তোমাকে ভেবে হেসেছি, কেঁদেছি।আর আজ সেই অনুভূতি ব্যক্ত করলাম।প্রেমের স্বর্গীয় সুখে সুখী হও।তুমি। প্রত্যাশা রইল। হয়তো এই পৃথিবীতে আমার এখনো অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,,তাই তো এখনো বেঁচে আছি।,,,,,,,
অশ্রুসিক্ত নয়নে,,উম্মোচন করলাম প্রথম প্রেমের অনুভূতি,,,
♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আসলেই সকল প্রেমের অনুভূতি সব সময় রোমান্টিক হয়না। আসলে আমি সত্যতা জানিনা তবে রাকিবের জন্য খুবই খারাপ লাগছে৷ আর রাকিবের চিঠির একটি কথা বেশ ভালো লেগেছে।
যাইহোক রাকিবকে যেন আল্লাহ বেহেস্ত নসীব করে। আমীন।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় আপু মনি♥♥
আপনি ঠিক বলেছেন আপু সব প্রেমের অনুভূতি আসলে রোমান্টিক হয় না। তবে আমরা মাঝে মাঝে আমাদের আসল ভালোবাসাটা বুঝতে পারি না। রাকিবের জন্য দোয়া রইল আল্লাহ যেন তাকে জান্নত নসিব করেন।
ওই যে ওই গানটার মত এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয়,,,,
আপু পুরো পোস্টের প্রথম দিকে পড়ে আমার একবারো মনে শেষের দিকে এমন হবে😭😭।আসলেই অনেক খারাপ লাগছে।আল্লাহ রাকিব কে বেহেশত নসিব করুক।
ধন্যবাদ
আসলে রাকিব আমাকে হাসানোর জন্য ক্লাসে এত দুষ্টুমি করত তা তখন গুরুত্ব দেয়নি।কিন্তু এখন উপলব্ধি করলো বেশ প্রখর।রাকিব জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে ভালোবাসা কাকে বলে।সেই সাথে আমার দৃষ্টি খুলে দিয়েছে।আরো প্রমাণ করেছে সব পুরুষ এক রকম নয়।♥♥
আপু আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতি পড়ে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো। আসলে প্রতিটা প্রেম সার্থক হয় না। অনেক প্রেম সারাজীবনে স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়। রাকিব আপনাকে অনেক ভালোবাসতো এবং সে আপনাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভালবেসে গেছে। আপনার হৃদয়ে এখন রাকিব স্মৃতি হয়ে রয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবেন রাকিব আপনার হৃদয়ে থাকবে। রাকিব ওপারে সুখে থাকুক, ভালো থাকুক, এই দোয়াই করি।
আসলে একটা সময় ছিল যখন আমি কারো কথাই ভাবি নাই শুধু ছেলে মানুষ বা পুরুষ মানুষ দেখলেই রেগে যেতাম।কারণ তখন আমি মানসিক রোগী ছিলাম।রাকিবের মৃত্যুর পর আমি অনেকটা সহজ হয়েছি এখন অনেকের সাথেই কথা বলি হাসি।
♥♥
আপনার প্রেমের কথাগুলো জানতে পেরে সত্যিই আমার মন অনেক অনেক খারাপ হয়ে গেল। অনেক মানুষই এভাবেই প্রেম থেকে বঞ্চিত হয় এবং ভালোবাসার মানুষটিকে সারা জীবন মনের স্মৃতির ডায়েরীতে বয়ে নিয়ে বেড়ায়। আপনার প্রেমের কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুভূতিগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য
♥♥
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনি আপনার জীবনের প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সবার জীবনে সুখের প্রেম হয় না। কারোর আছে রোমান্টিক প্রেমের কাহিনী আবার কারো আছে এমন দুঃখ ভরা ক্লান্ত কোন ইতিহাস। আর এই নিয়ে মানুষের জীবন।
একদম ঠিক বলেছেন। কারো কারো জীবনে প্রেম কিভাবে আসে,, কিভাবে যায়, তা উপলব্ধি করার সময় পাওয়া যায় না।♥♥
আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো । খুব চমৎকারভাবে আপনি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আপনি এই প্রতিযোগিতার প্রথম সারিতে অবস্থান করবেন। এত দুর্দান্ত পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার প্রথম প্রেমের অনুভূতি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।♥♥
আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতি গুলো কষ্টে জর্জরিত। আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতি গুলো পড়ে আমার গা শিহরে উঠেছে আপু।রাকিব সত্যিি জিতে গেছে আপু আপনার ভালোবাসার কাছে।রাকিবের চিঠিতে লেখা কথা গুলো বেশ ভালো ছিলো।
আল্লাহ যেনো রাকিব কে বেহেশত নসিব করেন এই দোয়া করি।
আসলেই রাকিব একটা পাগল ছিলো।শুধুমাত্র আমাকে হাসানোর জন্য এই কলেজ ক্লাসে অনেক রকমের কমেডি করেছিল সে।মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।