শেষ উৎসবের স্মৃতি "আমার বাংলা ব্লগ" এর ৪র্থ প্রতিযোগীতা
অমূল্য এক গিতী
সেবা হোক রিতি
অটল থাক নিতী
তৈরি হোক সিঁথি
সাথেই আছি সাথী।
বন্ধুরা, সকলের হৃদয় আঙ্গিনায় অনাবিল শুভেচ্ছা ও সুস্হ্যতার পাপড়ি ছড়িয়ে দিলাম আমি সেলিনা সাথী বাংলাদেশে থেকে।
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ৪র্থ প্রতিযোগীতা আমার জীবনের "শেষ উৎসবের স্মৃতি" আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিব। আশা করি সবাই আপ্লুত হবেন। তবে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
ঈদ মানে আনন্দ খুশির মোহনায় মিলিত হওয়ার উৎসব। আমার জীবনের শেষ উৎসব ঈদুল আযহা। যা মুসুলমানদের ধর্মিয় বড় দুটি উৎসবের মধ্যে অন্যতম একটি। ঈদুল আযহা ত্যাগের মহিমায় উদভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণে আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কুরবানি করা। ঈদের আনন্দে মেতে উঠার আমেজ (ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়। এবারের ঈদে সাধারন মানুষের ঘরে কুরবানি তো দুড়ের কথা খাবারই জুটেনি অনেকের রিজিকে। করোনার করাল থাবায় শক্ত লক ডাউনে জন জীবন অতিষ্ঠ। ঈদের খুসি ভাগাভাগি করে নিতেই আমার ছোট্ট প্রচেষ্টায় কিছু অসহায় দঃখি মানুষ ও অনাথ শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে তাদের হাতে নতুন কাপর তুলে দিলাম। তাদের হাসি মাখা মুখখানি দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
ইদের দিন ভোর বেলা উঠে সবাইকে ডেকে দিয়ে, ঘর দোর গুছিয়ে রান্নার আয়োজন করি। সেমাই, নুডুলস, পায়েস চটপটি রান্না করি। তারপর গোসল করে নামায আদায় করি। সবাই নামায পড়ে আসলে তাদের খেতে দেই। খেয়ে পুরুষেরা সবাই কুরবানির কাজে অংশ নেয়। ততখনে আমি পোলাও সহ বাড়তি রান্না গুলো করি। মাংস রেডি হলে তা তিন ভাগ করে এক ভাগ ফকির মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দেই।এক ভাগ আত্মিয় স্বজনদের দেই। আর কিছুটা আমার প্রাণ প্রিয় মা খুব মজা করে ভুনা করল যা সত্যিই জিভে লেগে থাকার মত।পরিবারের সবাই মিলে খেতে গিয়ে একটা বিষাদ মনে ছুঁয়ে গেল।পাশে বাবা নেই। যাই হোক শেষ বিকেলে কবরস্হান গিয়ে বাবাসহ সকল কবরবাসির জন্য দুয়া করলাম।সব নিকট আত্মিয় বন্ধু প্রতিবেশি, আমার বাংলা ব্লগ সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম। রাতে সবাই মিলে গল্প স্বল্প করে যারা বেড়াতে এসেছে তাদের খাওয়ালাম। ছোটদের ঈদ সালামি দিলাম। পরিবারের সকলের সাথে মজা করতে আমার দারুণ লাগে।তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের প্রতি আমার দূর্বলতা একটু বেশি। সবার সাথে বেশ মজা করলাম এভাবেই কেটে গেল ঈদের দিন।
ঈদ উৎসব যেমন আনন্দ দিচ্ছে তেমনি শিক্ষা দিচ্ছে ব্যাপক। যেমন
- মহান সৃস্টিকর্তার আদেশ নিষেধ পালনে নিজেকে উৎসর্গ করা।
- নিজের মধ্যে থাকা পশুত্ব ও অমানবিকতা বিসর্জন দেওয়া।
- ন্যায়নিতী ও নিষ্ঠার পথে চলা
- অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
- সুন্দর, পবিত্র,ও সৎ মনের অধিকারি হওয়া।
প্রত্যাশা করছি পবিত্র ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও মহত্ব নিজে লালান করতে শিখি। অন্যকে শিখতে উৎসাহিত করি। এই করোনা মহামারী দূর্যোগে বেশি বেশি সহযোগীতা করি, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়াই। এটাই এবারের ঈদুল আযহা উৎসবের প্রকৃত প্রত্যায় আমার। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্হ্য থাকবেন।উৎসবকে উৎসব মুখোর করে তুলবেন।মনে রাখবেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
Subscribe My Channel on YouTube: https://youtube.com/channel/UC1lAnoejZgfsGXZaaYwNljg
যতগুলো পোস্ট পড়েছি সব চেয়ে ব্যতিক্রম লেগেছে আপনার পোস্টটি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রেয়ণা দেওয়ার জন্য। শুভ কামনা।
ঈদ মানেই খুশির আনন্দ, কিন্তু সবাইকে নিয়ে সেটা। সকল কে নিয়ে খুশি হওয়ার নামই হলো উৎসব। যদিও আমরা অনেকটা পরিবর্তন হয়েগেছি, সব কিছু নিজে একা উপভোগ করতে চাই। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। ধন্যবাদ
শ্রুতি মধুর বক্তব্য
গঠন মূলক কথা
উৎসাহ পাই এমনি করে
ঘুঁচিয়ে দিলে ব্যাথা।
শুভকামনা ভাইয়া তোমায়
থেকো হাসি খুশি
প্রতিদিনের প্রতিটি ক্ষন
নিত্য দিবা নিশি।
বাহ! দারুন ছন্দ-হৃদয় সন্তুষ্ট।
আমি ধন্য।
অসাধারণ একটাকাজ করেছেন আপনি, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন :)
আপনার মত এতোটা মহানুভাবের হতে পারবোনা দাদ ছোট পরিসরে যতোটুকু পারি তাই করি। মহান সৃস্টির্কতা সেই রকম অবস্হান তীরি করে দিলে আরো বেশি অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারবো। দুয়া করবেন দাদা।শুভ কামনা।