꧁:: সাথী রান্না ঘরে -উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী আলু ভাজির রেসিপি ꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆
☆꧁::উত্তরবঙ্গের আলু ভাজি::. ꧂☆
বন্ধুরা আজ আবার নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। খুবই সাধারণ একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি।যে রেসিপিটি আমাদের উত্তরবঙ্গে খুবই প্রচলিত।কারো বাসায় যদি দাওয়াত দেয়া হয় তাহলে সব ধরনের আইটেমের পাশাপাশি এই আলু ভাজিটা যেন থেকেই যায়।কারণ উত্তরাঞ্চলের মানুষের এই আলু ভাজিটা খুবই পছন্দনীয। ঠিক সেরকম আলু ভাজির রেসিপি নিয়ে আজ হাজির হলাম। উত্তরবঙ্গের ঘরে ঘরে এই আলু ভাজি করা হয়।এই আলু ভাজি পছন্দ করে না এই অঞ্চলের এমন একটি মানুষও খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। তাইতো এই অঞ্চলের সেরা আলোর ভাজির রেসিপি নিয়ে আজ আপনাদের সামনে হাজির হলাম।এই ভাজিটি আমি কি করে রান্না করলাম। চলুন দেখে আসি সাথী রান্নাঘর থেকে।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
বন্ধুরা সাথী রান্নাঘরে আপনাদেরকে আবার ও স্বাগতম। আজ আবার চমৎকার একটি ভাজির রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদেরকে আলু দিয়ে দুটো ভাজি করে দেখাবো।আর এই ঐতিহ্যবাহী আলু ভাজাটি করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ছোট ছোট আলু নিতে হবে।এই ভাজিটির জন্য ছোট আলু হচ্ছে পারফেক্ট।এই ছোট আলো নানা জাতের হয়ে থাকে।আমাদের এদিকে ছোট ছোট এই দেশি আলুটি অনেক বেশি চাষ করতে দেখেছি।এবং এই আলু কাজের স্বাদ যেন মুখে লেগেই থাকে।এই ভাই ভাজিটি রান্না করার ক্ষেত্রে কাঁচামরিচ এবং রসুনের পরিমাণটি একটু বেশি দিতে হয়। সেই সাথে তেলের পরিমাণটাও একটু বেশি লাগে।তবে এই রেসিপিটি পূর্ণাঙ্গ স্বাদ বোঝা যায়। তবে চলুন রান্নার প্রসেসটা দেখে নেই।এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো কি কি লাগবে সেটাও জেনে নেই।
☆꧁::প্রয়োজনীয় উপকরন .::. ꧂☆
আলু
কাঁচামরিচ
পেঁয়াজ
সুকনা মরিচের গুড়া
তেল
লবণ
হলুদ
জিড়া গুড়া
রসুন
- প্রথমে প্রথমে কয়েকটি আলু এভাবে ছেলে নিয়ে ছুরি দিয়ে ঠিক এভাবে ডিজাইন করে নিলাম।
- এরপর আলুগুলোতে লবণ হলুদ এবং শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে ভালোভাবে মেখে ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিলাম।
- এবার বেশ কিছু আলুছাল সহ কুচি কুচি করে কেটে নেব।এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
- এবার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসিয়ে দিয়ে তাতে তেল দিব এবং তেল গুলো গরম হয়ে গেলে ডিজাইন করে কাটা আলো গুলো তেলের মধ্যে দিয়ে হালকা তাপে ভেজে নেব।এবং এই কাজটি খুব সাবধানের সাথে করতে হবে।
- এবার চিকন করে কাটা আলো গুলো সেই তেলের মধ্যে করাইতে দিয়ে দেব। এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেব।এবং হালকা তাপে বারবার নাড়াচাড়া করে দিতে হবে। আর কিছুক্ষণ পরপর একটু ঢেকে দিতে হবে
- আর এভাবে আস্তে আস্তে বেশ ধৈর্য সহকারে ভেজে নিতে হবে আলুগুলো যতক্ষণ বাদামী রঙের না হয়ে যায়।আলুগুলো বাদামি রঙের পর্যন্ত ভাজা হয়ে গেলে এরপর নামিয়ে নেব।
*এবার চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করব।তবে এই গরম গরম আলু ভাজা দিয়ে মুড়ি খেতে কিন্তু দারুন লাগে।আর সকাল বেলা রুটির সাথে খেতে তো অসাধারণ।বন্ধুরা এবার যেমন খুশি তেমন করে পরিবেশন করতে পারব।
আমার পরিবেশন করার কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা আপনার রুচি মতো সাজিয়ে নিতে পারেন পরিবেশনের থালাটি।
♦বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। তবে যেদিন যখনই সময় পাবো আপনাদের মাঝে এরকম চমৎকার চমৎকার রেসিপি আর কবিতা নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। সকলেই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।আজকের মত এখানেই যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না। টা,টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: রেসিপি।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে।মনে রাখবেন যাচ্ছি, কিন্তু যাচ্ছি না .......
আপু যেহেতু আমার বাড়িও উত্তরবঙ্গ। তবে বলতে গেলে আমার পছন্দের একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। ছোট ছোট আলু ভাজি করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। চমৎকার ভাবে পোস্ট টি সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আলুভাজি আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটি দেখিই জিভে জল চলে আসলো আপু। রেসিপির কালার টা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই আলু ভাজার রেসিপিটি আমাদের সিয়াম এবং শিপু অনেক বেশি পছন্দ করে।সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে আমার মেজ ভাই।রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ♥♥
আমি উত্তরবঙ্গের বউ হলেও আপনারা প্রথম যেই রেসিপিটি তা কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে আস্ত আলো এত সুন্দর ডিজাইন করে কেটে ভাজার রেসিপি প্রথম দেখলাম। শেষের রেসিপিটি অবশ্য বেশ কয়েকবার খেয়েছি। খুবই মজা লাগে খেতে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গে এই ছোট আলুগুলো আসলেই বেশ মজাদার খেতে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিগুলো দেখে।
উত্তরবঙ্গের বৌমা প্রিয় আপু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে অবশ্যই আমি খুব সুন্দর করে এই আলু ভাজি গুলি করে খাওয়াবো।ডিজাইন করা এই আস্তো আলুর ভাজি খেতে কিন্তু সত্যিই অসাধারণ এবং সুস্বাদু।♥♥
নতুন একটি ইউনিক রেসিপি আপনার আজকের পোষ্টের মাঝে দেখতে পারলাম। খুবই সুন্দরভাবে আপনি রান্নার কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন আপু। সত্যি অসাধারণ আপনার এই রান্নার কৌশল।
আমার আজকের রেসিপি, আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।খুবই গঠনমূলক মনোমুগ্ধকর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ♥♥
আলু ভাজি আমার খুব পছন্দের। গরম গরম ভাতের সাথে রুটি বা পরোটার সাথে খেতে ও খুব ভালো লাগে। তবে আপনার ডিজাইন করা আলু গুলো দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এবং পরিবেশনটাও বেশ লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। যা দেখে যে কেউ তৈরি করে নিতে পারবে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আমার রেসিপি দেখে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ♥♥
ছুরি দিয়ে যে আলুগুলো ডিজাইন করেছেন সেটা আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। প্রথমে আমি তো ছবি দেখে ভেবেছিলাম রসুন। কিন্তু পরক্ষণে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে এটা আলু ডিজাইন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী আলু ভাজির রেসিপি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছুরি দিয়ে আলু ডিজাইন করে এভাবে আমরা বরাবরই পাপড় কিংবা ভাজি করে থাকি।তবে আজকের এই ঐতিহ্যবাহী আলু ভাজি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ভাইয়াকে নিয়ে বেড়াতে এলে অবশ্যই এই আলু ভাজি করে খাওয়াবো। ভালো থেকো প্রিয় আপু ভাবি।♥♥
সিয়াম মামার বিয়ের দাওয়াত পেলে তখন যাবো ইনশাআল্লাহ 🥰🥰
কুচি কুচি করে আলু ভাজাট খেয়েছি। কিন্তু অন্য যেটা ছিল ওটা সত্যি বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আলুর ঐ রকম শেপে ভাজি করা আমি কখনো দেখিনি। দারুণ ছিল। এবং আলু ভাজা আপনাদের উওরবঙ্গের মানুষের দেখছি অনেক পছন্দের । আলু ভাজি রেসিপি টা বেশ লোভনীয় ছিল। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু ইউনিক ছিল কিছুটা।
আস্ত আলু 🥔 এত সুন্দর ডিজাইন করে ভাজি করা আমি এর আগে কখনো দেখিনি।
জেনে ভালো লাগলো যে এই আলু ভাজি আপনাদের অঞ্চলের বিখ্যাত খাবার।
আলু ভাজি এমনিতেও আমার খুব ফেভারিট বিশেষ করে সকালের নাস্তায় রুটি দিয়ে খাওয়া হয় প্রায় দিন।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই খুব লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে খেতে।
আলু ভাজি আমার খুবই প্রিয়।তবে মনে হচ্ছে আপনি লাল আলু ব্যবহার করেছেন।আর দুই ধরনের ভাজিই সুন্দর হয়েছে।গোটা আলুগুলো ডিজাইন করাতে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।কিন্তু আমার কাছে লম্বা কুচি কুচি করে ভাজি করা আলু ভাজিই খেতে বেশি স্বাদ লাগে।ধন্যবাদ আপু।