꧁"ভ্রমণ"নীলফামারী থেকে পাবনা ꧂
দুই বাংলা
একরাশ রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা সবাইকে।আশা করি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি।আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
꧁"ভ্রমণ"নীলফামারী থেকে পাবনা ꧂
নানা রকম ভাবনায়
এসেছি পাবনায়🥀
মজার ভ্রমণ
বন্ধুরা গত ১২ ই নভেম্বর ২০২৩ আমরা নীলফামারী থেকে নীলফামারীর সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে উত্তরণ পাবনার সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ শে অংশগ্রহণ করার জন্য নীলফামারী থেকে তিনজন রওনা দেই বাই ট্রেনে।আর মজাটা হলো সেখানেই।আমরা তিনজন ছিলাম।আমাদের শান্তিপদ দাদা।ফাতেমা ম্যাডাম আর আমি আপনাদের সকলের পরিচিত ছেলেদের সাথী। আমাদের ট্রেন ছিল সন্ধ্যা ৭:২০ মিনিটে। আর সেদিন বাসায় অনেক কাজ ছিল।সব কাজ গুছিয়ে নেয়ার পর, তাড়াতাড়ি রওনা দিলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে।আমার আগেই দাদা গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল।এরপর ফাতেমা আপু আর আমি প্রায় একই সময়ে গিয়েছি। ফাতেমা আপু যেহেতু একজন সরকারি কর্মকর্তা।উনিও সারাদিন নানারকম কাজের ব্যস্ততা সম্পন্ন করে,এরপর স্টেশনে এসেছিল যথা সময়ে। এরপর আমরা দুজনে মিলে বেশ কিছু সেলফি তুলি। আর ফাতেমা আপু বেশ হাসুক এবং মিশুক।ওনার কিছু কিছু কথায় আমরা সবাই মিলে প্রচুর হাসলাম।স্টেশনে আমাদের দলে যোগ দিলো আরো কয়েকজন নারী।এরপর সবাই মিলে আবারও প্রচুর হাসাহাসি করলাম।আর গল্পগুজব হলো প্রচুর।মজার বিষয় এভাবে প্রায় রাত আটটা বেজে গেল কিন্তু ট্রেনের কোন খবর নেই।এরপর আমরা পায়চারি করছি আর গল্প করছি।আটটা পেরিয়ে প্রায় নয়টা বেজে গেল।তারপরেও ট্রেন আসার নাম নেই।তারপর অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে অবশেষে ট্রেনের পুঁউ শব্দ শুনতে পেলাম।যাই হোক যথারীতি ট্রেন চলে এলো।আমরা ট্রেনের বগিতে উঠলাম।এবং আমাদের নির্ধারিত সিটে বসলাম।
꧁ট্রেন ভ্রমন :꧂
ট্রেনে উঠে বসার পর ফাতেমা আপু যা দেখছে তাই কিনছে।কখনো দাদাকে বলতেছে টাকা দিন।কখনো আমাকে বলতেছে আপু টাকাটা দিয়ে দিন।এভাবে তিনি বাদাম পেয়ারা, পাপন, চিপস বিস্কিট কলা কেক
।একে একে খাওয়া শুরু করল।আমিও তার সাথে দুই একটি জিনিস খেলাম।খেতে খেতে শুরু হলো তার বিয়ের গল্প।বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে।কিন্তু আজও বিয়ে হচ্ছে না। তার বিয়ে নিয়ে এমন কিছু কথা বলল।যেকোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ না হেসে পারবে না।তাইতো দাদা এবং আমি প্রচুর পরিমাণে হাসলাম।মাঝখানে অবশ্য চোখ বন্ধ করেছিলাম একটু ঘুমানোর জন্য।কিন্তু ফাতেমা আপুর অত্যাচারে আর ঘুম হলো না।পরিশেষে তার সাথে আবারো গল্প করতে হলো।এমনি করেই আমরা ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছে গেলাম।তখন বাজে রাত প্রায় 2:30 মিনিট।এরপর আমরা একটি সিএনজি নিয়ে চলে আসি পাবনায়।পাবনা অটোস্টানে উত্তরণ পাবনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কবীর হৃদয় ভাইয়া ও আমার ছোট ভাই এর মত রাফিদ আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রিসিভ করলেন।এরপর খাওয়া দাওয়া নানা আয়োজন।মিলিয়ে বেজে গেল রাত প্রায় চারটা।ভোর পাঁচটার দিকে আমি একটু ঘুমোতে গেলাম।
ঘুম থেকে উঠেই দেখে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ওপার বাংলার কবি সাহিত্যিকরা ইতিমধ্যে চলে এসেছে।আমরা একই হোটেলে উঠেছিলাম।যাই হোক তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার পর,ফ্রেশ হয়ে একসাথে নাস্তা খেতে গেলাম।এরপর সোনালী ব্যাংকে গেলাম।আরো একটু ঘোরাফেরা করে আবার আমরা রুমে চলে এলাম।এরপর রেডি হওয়ার পালা।কারণ তিনটায় আমাদের মূল প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে।যথারীতি সবাই দুপুরবেলা আবারও লাঞ্চ করে এলো কিন্তু আমি আর দুপুর বেলা খেলাম না।এরপর সুন্দর একটা শাড়ি পড়ে নিলাম।গোলাপি শাড়ি পড়ার জন্য আমাকে বেশ কয়েকজন অনুরোধ করেছিল। পাবনার দুষ্টু মিষ্ট বোনেরা।এখানে একটুখানি বলে নেই।পাবনা আমার খুব প্রিয় একটি শহর।এই শহরের জেলা প্রশাসক এমপি মহোদয়সহ সকলের সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক আছে।সেই সাথে আরো যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাদের সবার সাথে।এক কথায় বলতে গেলে অনেক আপন এবং প্রিয়জন রয়েছে এই পাবনা শহরে।
যেথা নিয়মে প্রোগ্রাম শুরু হলো এবং প্রোগ্রামে আমার অনেকগুলো দায়িত্ব ছিল সেগুলো একে একে পালন করলাম।বক্তব্য রাখলাম।কবিতা শোনালাম।অতিথিদেরকে উত্তরীয় পড়ালাম।ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিলাম।কারণ উত্তরণ পাবনার আমি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি।আর সে কারণেই অনেকগুলো দায়িত্ব থেকে যায়।যাই হোক প্রোগ্রাম শেষ করে এসে আমরা রাতের খাবার খেলাম।এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকরা একসাথে। এরপর জমিয়ে আড্ডা দিলাম আমরা রুমে।২ বাংলা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলাম।আড্ডা কবিতা গানে।প্রায় জমজমাট একটি পরিবেশ।সব মিলিয়ে দারুন সময় উপভোগ করলাম।আর ট্রেনে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা।গতকাল আড্ডা দিতে দিতে প্রায় অনেক রাত হয়ে গেল।তাই আর পোস্ট করা হলো না।আর একদিন পোস্ট করতে না পারলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে।তাইতো সকালবেলা উঠেই পোস্টে লিখতে বসলাম।
তবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নদীপথে কুঠিবাড়ির দিকে রওনা হব।জাস্ট একটু ঘুরতে যাব আমরা সবাই মিলে।ভ্রমণটাকে আরো মধুময় করে রাখতে।তো বন্ধুরা আমার আজকের মধুময় সুন্দর একটি মজাদার ভ্রমণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগলো।সকলি সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় আজকের মতো এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: ꧁ভ্রমণ কাহিনী ꧂
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
দারুন একটা ভ্রমন করলেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনার এই ভ্রমনগুলো বরাবরই ভীষণ উপভোগ করি কারন আপনি ভীষণ সংস্কৃতি প্রেমী একজন মানুষ। আর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন যা সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের।
সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে মিশে আছি সেই ছোটবেলা থেকে।শত বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে।চোখে মুখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছি অবিরত।♥♥
শুভ হোক আপনাদের পাবনা কুষ্টিয়া ভ্রমণ।
যদি গতকালকে জানতে পারতাম যে আপনি কুষ্টিয়াতেও ভ্রমন করতে আসবেন তাহলে হয়তো আপনার সাথে দেখা করা সম্ভব হতো।
যাহোক আপনার ভ্রমণ শুভ হোক সকল হোক রবি ঠাকুরের বাড়ির অদূরে রয়েছে লালন ফকিরের মাজার সেখান থেকেও একটু ঘুরে যাবেন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
তাছাড়া আপনি তো সংগীত প্রিয় আপনার কাছে তো আরো বেশি ভালো লাগবে আর অবশ্যই কুষ্টিয়ার তিলের খাজা খেতে ভুলবেন না কুলফি মালাই কিন্তু ব্রিজের মাথায় পাবেন।
আপনার সাথে দেখা হলেও অনেক ভালো লাগতো। তবে অন্য সবার সাথে দেখা করেও কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে কুষ্টিয়াতে।♥♥
যারা আজকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য সুন্দর সুন্দর কবিতা বা সাহিত্য রচনা করে, যারা মাতৃভাষাকে উচ্চস্থানে তুলে ধরার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই তাদেরকে আমি সম্মান জানায়। এভাবেই টিকে থাকবে আমার মাতৃভাষা। সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিস্তারিত আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এতে আমার অনেক ভালো লেগেছে, আমি অনেক খুশি হয়েছি।
ঠিকই বলেছেন আমাদের এরকম বিশুদ্ধ সাহিত্য চর্চার মাঝেই আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারি।