꧁সাথী কাব্যে নতুন কবিতা ✍🏻. কর্মফল" ꧂
☆꧁:স্বরচিত কবিতা :꧂☆
꧁সাথী কাব্যে নতুন কবিতা ✍🏻. কর্মফল"
꧂
কবি আমি ছবি আমি
আমি সেলিনা সাথী
আঁধার ঘরে জ্বলে ওঠা
নিয়ন আলোর বাতি।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা, বন্ধুরা সেই ছোটবেলা থেকে আমার একটি গুড হেবিট বলেন আর ব্যাড হেবিট বলেন এটা আছে।
আর সেটা হলো পরিবার পরিজন এবং প্রতিবেশী সকলকে নিয়ে একসাথে ভালো থাকতে চাই। আর সেজন্যই মূলত নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের সবাইকে নতুন পোশাক,কিংবা অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিতে পছন্দ করি।সেই সাথে প্রতিবেশীদের কেও। এমনকি যারা আমার সহকর্মী ছিলেন তাদেরকেও।আমার এতটুক জীবনে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে আমি নতুন পোশাক পড়াতে সক্ষম হয়েছি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে। আমি হাজার চেষ্টা করেও আত্মকেন্দ্রিক হতে পারি নাই।আর এটার জন্য অনেক বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয় আমাকে।ধরুন একটি পরিবারে পাঁচ জনের জন্য পোশাক এনেছি।নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে।কষ্ট করে মার্কেটে গিয়েছি পছন্দ করেছি গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করে। এরপর সমস্ত শপিং গুলো নিজের হাতে করে বাসায় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।বলতে গেলে বোঝা টেনেছি।এরপর যখন একটু হাসি খুশি মনে উপহার সামগ্রী গুলো যার যার হাতে তুলে দেই মনে একটা প্রশান্তি নিয়ে।ঠিক সেই সময় অনেকেই আছেন,যাদের কথা ও আচরণে এমন ভাবে কষ্ট দেন যে কষ্টটি সরাসরি কলিজায় গিয়ে আঘাত করে।যেমন ধরুন পোশাকটা কম দামি,সস্তা, রং ভালো না, কোডটা বেশি ভালো, আমারটা ভালো না।এরকম হাজারো কথা এত বেশি আঘাত দেয় মনে।আমার বিশ্বাস আমার মত অনেকেই ভুক্তভোগী আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারেও।তখন নীরবে চোখের জল ফেলতে হয়।আর অবুঝ মনে প্রশ্ন জাগে এটাই বুঝি আমার কর্মফল।
বন্ধুরা তাই আজ কর্মফল শিরোনামে স্বরচিত একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম।কবিতার লাইন গুলো অনেক ছোট।এবং খুবই ছোট একটি ছড়া কবিতা বলতে পারেন এটি। কবিতার প্রতিটি লাইনে মনে হয় একটি আর্তনাদ জড়িয়ে আছে।সকলেই না। কেউ কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন।যাইহোক আমার আজকের এই কবিতাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবেই আমার সার্থকতা।
🥀সেলিনা সাথী🥀
নিজের চোখে জল,,
এই পৃথিবীর বুকে এমন
আজব কর্মফল।
পরিবারের সবাই মিলে
কাঁটাব খুশির ঈদ,
এই ভাবনায় মনটা ভিভোর
চোখে আসে না নিদ।
ভাগ্য এতই খারাপ আমার
কেউ বোঝেনা মন,
আমি নাকি সবার কাছে
শুধুই প্রয়োজন।
এই আমিটা পৃথিবী ছেড়ে
যাব যেদিন চলে,
তোমরাই আমার প্রিয়জন
তবুও যাবো বলে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
31 /03/ 2024
সময় রাত ১০:৩৫
কবিতা কুটির- নীলফামারী
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: (অনুভুতি ও কবিতা)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। জেনে ভালো লাগলো আপনি হাজার মানুষের পোশাক পড়াতে পেরেছেন। যাদেরকে একটু খুশি করাতে পেরেছেন। এই তৃপ্তি পৃথিবীর সেরা আনন্দের মুহূর্ত। সেজন্য কর্মফল সব সময় ভালো হোক সেই দোয়াই করি। বাস্তবতার বিষয়টি গল্পের মাধ্যমে এবং কবিতার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
করোনা কালীন সময় গুলোতেও আমি প্রায় 100 জনেরও বেশি লোকজনদেরকে কাপড় দিয়েছিলাম।খাবার দিয়েছিলাম প্রায় এরকমই হবে। বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে ও পোষাক খাবার এগুলো দিয়েছিলাম।আর দিতে পেরে যে তৃপ্তি পেয়েছিলাম। তা আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
আসলে যা বলেছেন যথার্থ বলেছেন ৷ আসলে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঈদ কে ঘিরে সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ৷ যারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু উপহার স্বরুপ দিয়ে থাকে ৲ যাতে সবাই আনন্দের সাথে উৎসব গুলো কে পালন করতে পারি ৷ কিন্তু আপসোস এমন কথা অনেক আসে যে কেমন কাপড় কম দামি ৷ যেটা তাদের মনে অনেক কষ্ট দেয় যারা তাদের উপার্জনের টাকায় কিনে উপহার দেয় ৷
তবে এটা কোনো মতে ঠিক না ৷ যা হোক অনেক সুন্দর বিষয় নিয়ে কবিতা লিখেছেন ৷ ভালো ছিল প্রতিটি লাইন আর গম্ভির ছিল ৷
আসলে এই অভ্যাসটা আমার খুব ছোটবেলা থেকেই।ছোটবেলায় মারা যখন দূর থেকে শুরু করে অন্যান্য কসমেটিক্স গুলো কিনে দিত। তখন আমার বান্ধবী কিংবা অন্য কেউ যদি সেগুলো পছন্দ করত আমি সাথে সাথেই বিয়ে দিতাম।আর সেজন্য মায়ের অনেক বকাও খেয়েছি।
সত্যি আপু সেই সময়টা অনেক বেদনা দায়ক। বেশ কষ্ট লাগে ভিতরে উপহার পেয়ে যদি কেউ এমন খুতখুতে কথা বলে। যাই হোক সাথী কাব্য গ্রন্থ হতে আজ কিন্তু আপনি অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়া র করা কবিতার প্রতিটি লাইন যেন মুগ্ধ করে দিল। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আসলে কাউকে উপহার দিতে পেরে যতটা আনন্দ লাগে। ঠিক ততটাই কষ্ট লাগে, যখন সেই উপহার নিয়ে কেউ কটাক্ষ করে। তারপরেও আজ পর্যন্ত উপহার দেয়া বন্ধ করতে পারি নাই।
আপনি যখন বেশি ভালো হবেন অন্যদের উপকার করবেন তখন অন্যরা আপনাকে বুঝবে ব্যাপার টা সেটা না। বরং তারা আপনাকে দুঃখ দেবে যেটা আপনার প্রাপ্যই না। কিন্তু তার অর্থ এটা না এটাই আপনার কর্মফল। আমাদের মন বুঝবে এমন মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। অধিকাংশ মানুষের কাছে আমরা শুধুই প্রয়োজন। সুন্দর লিখেছেন কবিতা টা আপু। আর লেখাটাও ভালো ছিল।
আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না। যেমন নিজে তো উপহার কাউকে দিতে পারেনা। অন্য কেউ দিলে সেখানেও সমস্যা তৈরি করে।
আপনার পোস্টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। সত্যিই এই পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত । মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এটাই স্বাভাবিক। তারপরও কিছু মানুষ এই সমাজে আছে তাদের জন্য সমাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে একটা জিনিস কি আপু জানেন আমার মনে হয় আপনি যা করবেন সেটার ফল মানুষ না দিলেও সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিবেই ভালো কিছু। আপনার কবিতা আমার বরাবরই ভালো লাগে। আজকের কবিতাটিও একদম মন
ছুঁয়ে গেছে। বেশ দারুণ লিখেছেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলে পৃথিবী যেমন অদ্ভুত।বাস্তবতা তেমনি আরো কঠিন।আর জীবন কেটে যায় এই কঠিন ও বাস্তবতার মাঝামাঝি।সব ধরনের পরিস্থিতি কে মেনে নিয়ে মানিয়ে চলতে হয়।
আসলে আমরা মানুষরাই এমন কোন কিছু দিয়েই সন্তুষ্ট করা যায় না।উপহার দিলেও ঝামেলা আবার না দিলেও ঝামেলা।উপহার দিলে নানান বদনাম শুনতে হয়,যাই হোক তারপর কি আর উপহার দেওয়া বন্ধ করা যায়।ভালো লাগলো কবিতাটা।ধন্যবাদ আপনাকে
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আমি যদি ছোটখাটো কোন উপহার পাই সেটা আমার কাছে বিশাল বড় মনে হয়।আর আনন্দ থাকে সীমাহীন।
এই বিষয়গুলোই বেশি খারাপ লাগে, আসলে মানুষের মনের মতো বা কখনোই হতে পারব না। তারপরও আমাদের যা দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে আমরা পালন করে যাব, বাদবাকিটা আর তাদের ইচ্ছা।