নান্দনিকতার বাগানে মূল্যবোধের ফুল📘📙
থেকো আমার মনে,,
আগামী টা ভরে উঠুক
সমৃদ্ধির সনে,,
পূর্ণতা পাক সকল হৃদয়
নতুনের আগমনে*♥
বছরের অন্তহীন শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। নতুনত্বের বন্ধন দৃঢ় হোক আমার বাংলা ব্লগে নতুনত্বের মোহনায়।
বন্ধুরা আমার আজকের আয়োজনে থাকছে,, রাজশাহীতে শব্দকলা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার অনুভুতি। আমরা দুই বাংলার কবি সাহিত্যিক মিলে মোট 18 জন একসাথে করে পাবনা রেল স্টেশনে সকাল ৮ টায় উপস্থিত হই।এবং ট্রেনে আমরা খুব বেশি মজা করেছি।অনেক বেশি হইচই করেছি।ট্রেনের পুরো বগির লোকজন বিনোদন পেয়েছে।মজার বিষয় এই বিনোদন দেয়ার জন্য ট্রেন থেকে নামার সময় অনেকেই আমাকে দোয়া দিয়েছেন।আর সবাইকে হাসাতে পেরে আমিও কিন্তু খুব বেশি মজা পেয়েছিলাম।
রাজশাহীতে ট্রেন থেকে নামার পর, শব্দকলা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্যে আমাদের কে বরণ করতে স্টেশনে উপস্থিত ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শব্দকলা সংগঠন এর ছাত্রবৃন্দ। তারা আমাদের সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।এরপর আমাদের থাকা-খাওয়ার জন্য খুবই চমৎকার ব্যবস্থাপনা করে রেখেছিলেন।আমরা সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, রেডি হয়ে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিলাম।এর পর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। এরপর আমরা রাজশাহী ভার্সিটিতে প্রোগ্রামের জন্য উপস্থিত হলাম।
সেই বর্ণিল দিনটি ছিলো ৩১ ডিসেম্বর শনিবার। ২০২২ সালের শেষ দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শীতকালীন ছুটি থাকলেও উৎসবে রমরমা ছিলো ডক্টর মুহাম্ম শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন চত্বর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের এবিএম হোসেন গ্যালারিতে ‘শব্দকলা আন্তর্জাতিক লেখক উৎসব’ এর জাকজমকপূর্ণ আয়োজন ছিলো। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালবাম সম্পাদক ও সত্তর দশকের অন্যতম কবি মনজু রহমান। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন কথাশিল্পী দেওয়ান শামসুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজচিন্তক প্রফেসর ড. আবদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইতিহাসচিন্তক প্রফেসর ড. মঞ্জুর কাদির, প্রফেসর ডাক্তার সুকুমার মাইতি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শব্দকলা সম্পাদক ও রাবি প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ। এবারের উৎসবের শ্লোগান ছিলো ‘নান্দনিকতার বাগানে মূল্যবোধের ফুল’।♥♥
একে একে দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।আমি নিজেও আমার একটি স্বরচিত মজার কবিতা পাঠ করলাম। কবিতার শিরোনাম "কলাগাছ"।আসলে ঠিক সেই সময় আমি কবিতা পড়ার মুডে ছিলাম না। আর তাই আমি সাধারণত যেমন করে কবিতা আবৃত্তি করি,, ঠিক তেমনটি সেদিন করতে পারেনি।তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই যে কবিতাটি পাঠ করার পর থেকে, দুই বাংলার লিখিয়ে বন্ধুরা সবাই আমাকে শুধু কলাগাছ বলে ডাকছে। ঠিক যেমনটি 2019 সালে আমি এই সম্মেলনে আর একটি কবিতা পাঠ করেছিলাম। যে কবিতাটির শিরোনাম ছিল "বউ" তখনো প্রায় দীর্ঘদিন অনেক কবি সাহিত্যিক রাই আমাকে বউ বলে ক্ষাপাতো এখনো ক্ষ্যাপায় অনেকেই।যাই হোক সেদিনের সেই কবিতাটির ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।জানি ভাল না লাগলেও, মন্দ লাগবে না।তবে চলুন শুনে আসি স্বরচিত কবিতা টি। কবিতার শিরোনাম কলাগাছ।
ভিডিও লিংক
বন্ধুরা আমার আজকের আয়োজন যদি আপনাদের এতোটুকু ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা।আপনাদের চমৎকার মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহ যোগায়।এবং আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হই।আর সেই সাথে প্রত্যাশা রেখে গেলাম নান্দনিকতার বাগানে মূল্যবোধের ফুল ফুটুক সকলের অন্তরে অন্তরে।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপনার পোষ্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকদের সঙ্গে এবং বছরের শেষ দিন টা খুব ভালোভাবে কেটেছে আপনার। ট্রেনে সবাইকে বিনোদন দিয়েছেন এজন্য দোয়া পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু।
নতুন বছরের অনাবিল শুভেচ্ছা আপনাকেও।সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।♥♥
ট্রেনে আনন্দ করার বিষয়টা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে, আপনাদের আনন্দ করা দেখে মানুষরা আপনাদেরকে দোয়া করছে এবং তারাও ইনজয় করেছে বিষয়গুলো, এটা ও ভালো লাগলো আপনার কবিতার শিরোনামের মাধ্যমে আপনাকে খ্যাপানো হত, আমি নিজেও প্রস্তুত ছিলাম না আজকের কবিতার শিরোনাম কলাগাছ হবে, তবে কবিতাটা কিন্তু চমৎকার ছিল।
আসলে ট্রেনের আনন্দটা ছিল একেবারে আনন্দমুখর একটা পরিবেশ। যা আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না।♥♥