"স্বাধীনতা এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো" কবি নির্মলেন্দু গুণ।। আবৃত্তি সেলিনা সাথী।।
বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম আশাকরি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আজ আমি আমার অতি প্রিয় একটি কবিতা কবি নির্মলেন্দু গুণ "স্বাধীনতা এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো "। @shy-fox 10% Beneficiaries.
কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করছি এবং তা আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব আশাকরি সকলেই আমার কবিতাটি শুনে আপনাদের মূল্যবান মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুনে আসা যাক কবিতাটি।
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
আপুর অপূর্ব মিষ্টি গলায় খুব ভালো আবৃত্তি করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপু
বরাবরের মতই আপনার আবৃতি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভবিষ্যতে আমরা যেন আরও সুন্দর সুন্দর আবৃত্তি শুনতে পারি সেই কামনাই রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা♥
অনেক সুন্দর হয়েছে আবৃত্তিটি।ধন্যবাদ আপু।
শুভ কামনা আপু মনি♥
আপনার কবিতা আবৃত্তি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
সুরেলা সুমধুর কন্ঠে কবিতার বানিগুলো যেন মধুময়। আপু অসাধারণ হয়েছে। বলার মতো ভাষা নাই। এতোটা সুন্দর। শুভ কামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা ভাইয়া♥
প্রতিবারের ন্যায় আজকের কবিতাটিও জোড়ালো কণ্ঠে কণ্ঠিত করে আমাদের শোনালেন। খুব সুন্দর হয়েছে আপু। আপনার কবিতা বরাবরই আমার ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রকম একটি আবৃতি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
খুব ভালো হয়েছে দিদি। শুভেচ্ছা রইল ❤️🙏🏾
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা♥
😇🙏🏾
♥
আপনার ভয়েস এবং উপস্থাপনায় মুগ্ধ আমি । এত সুন্দর ভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন দিদি।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য♥
অনেক সুন্দর হয়েছে।।।।❤️
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা♥♥
আমি সত্যিই আপনার কবিতা আবৃত্তির প্রতি মুগ্ধ! দারুণ হয়েছে আপু ❤️
ধন্যবাদ