কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "পাহাড় চূড়ায়"|| ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকঁ এর জন্য ||
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পাহাড়চূড়ায় কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করছি।আসলে আজ কদিন ধরে বৃষ্টিতে ভেজার কারণে আমার সর্দিতে নাক বন্ধ হওয়ার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।আজকের অবস্থায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করলাম যেহেতু সময় খুব কম।
কবিতার মূলভাবঃ
এই কবিতায় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর এই নিজের জীবনকে তিনটি ভাগে ভাগ করে, প্রত্যেকটা ভাগ আলাদা আলাদা ভাবে বুঝিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
প্রথমত তিনি ছেলেবেলা বা শৈশবকালের সাথে ছোট্ট একটি দ্বীপের উদাহরণ দিয়েছেন এবং সেই ছেলেবেলা বা শৈশবের ছোট ছোট শিশুদের তিনি প্রজাপতির সাথে তুলনা করেছেন।
প্রথমে তিনি শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত সেই দুরন্তপনা,আনন্দ-উল্লাস, চঞ্চলতার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দর ভাবে কবি বুঝাতে চেয়েছেন। এবং সেই সময়টা কে তিনি ছোট্ট একটি দ্বীপের সাথে নিজেকে তুলনা করেছেন।
এরপর যখন তিনি যৌবনে পা দেয় তখন সে একটা জায়গায় নিজেকে স্হীর হতে পারেনি । বা সময়ের সাথে পছন্দের একটি তারতম্য এসেছে তার জীবনে। কারণ শৈশবের দৃষ্টিশক্তি আর যৌবনের দৃষ্টিশক্তি এক নয়। সেজন্য কবি এই যৌবন কালটাকে নদীর সাথে তুলনা করেছেন।কারন নদী বহমান।
এরপর তিনি যখন আস্তে আস্তে বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হয়,, এবং তিনি তার অনেক কিছুই বুঝতে পারে। পৃথিবীতে মানুষ একটা সময় অনেক অহংকারী হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে।
শেষ বয়সটাকে তিনি একটি পাহাড়ের সাথে তুলনা করতে চেয়েছেন। যেখানে কোন অহংকার নেই যেখানে কেউ তার কোন কথা শুনবে না। শুধু সেই একা থাকবে। এখানে কারো সাথে প্রতিযোগিতা করার আর সময় নেই। নিজের মত করে বাঁচতে হয়।আর কেউ তার দিকে সেভাবে তাকাবেনা। কারণ বৃদ্ধ বয়সে বার্ধক্য সময়ে মানুষ বড় অসহায় হয়ে যায়। বড় একা হয়ে যায়। বড় নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। বার্ধক্যের সময়টা কিংবা শেষ বয়সের সময়টা এতই কঠিন যে কবি এখানে পাহাড়ের সাথে সেই সময়টাকে তুলনা করেছেন ।। কবি এখানে তার জীবনকে কে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং তিনটি ধাপের যে উচ্ছ্বলতা উচ্ছ্বাস নিঃসঙ্গতা নীরবতা একাকীত্ব সবি তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে।
ভিডিও লিংকঃ
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য কিনেছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো। প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপনার কবিতা আবৃত্তির পোস্টটি আমি খুঁজতে ছিলাম, কারণ পাহাড় চূড়ায় কবিতার আবৃতি আমি আপনার হ্যাংআউটে শুনেছিলাম। তাই আপনার পোস্ট মাঝে মাঝে খুঁজতে লাগলাম। অবশেষে আপনার পোস্টটি পেলাম। খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি খুবই সুন্দর আবৃত্তি করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। যে, আমার কবিতা আবৃতি পোস্ট আপনি খুঁজতেছিলেন সত্যি এটা আমার জন্য পরম পাওয়া। ভালোবাসা অবিরাম।,,,,
খুবই সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন ।আপনার গলায় কবিতাটি খুব সুন্দর লাগছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে♥♥
কবিতার মূলভাব তুলে ধরা আবৃত্তি সবকিছুই চমৎকার।আর আপনার মিষ্টি কন্ঠে ভারী চমৎকার হয়েছে আবৃত্তি টি।অনেক শুভকামনা রইলো আপু আপনার জন্য।🖤
আসলে আপু আমিও আপনার কবিতা আবৃত্তিটি খুজছিলাম, কালকে রাতেও আমি আপনার আবৃত্তিটি খুজতেছি আপনি এখনো আবৃত্তি পোস্টটা করেননি। যাক অবশেষে আপনার কবিতা আবৃত্তি পোস্টটি পেয়ে গেলাম। আসলে আপু আপনার গলায় কবিতা আবৃত্তি শুনতে খুবই ভালো লাগে। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আপনার কবিতা আবৃত্তির ভক্ত আমি অনেক আগে থেকে। আপনি যেমন কবিতা লেখেন তেমনি আবার কবিতা আবৃত্তি করেন। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার কবিতা আবৃতি। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। গত হ্যাংআউটে আমি এই কবিতাটি শুনেছিলাম আপনার মুখে। আজকেও শোনার সৌভাগ্য হলো আমার। খুব ভালো আবৃত্তি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে আমার অনেক ভালো লাগে। অধীর আগ্রহে ছিলাম কখন আপনি আমাদের মাঝে পাহাড়চূড়া এই কবিতাটি আবৃতি করে শেয়ার করবেন সেটার জন্য। অবশেষে আপনার কন্ঠে এই কবিতাটি শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনি অনেক সুন্দর কবিতা আবৃতি করেছেন আপু। আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে আমি মুগ্ধ হলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কবিতা আবৃত্তি করেছেন। আপনার কন্ঠে এই কবিতা আবৃত্তি শুনতে খুবই ভালো লাগছে। আপনার কবিতা আবৃত্তি গুলো শুনতে আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে। আজকের কবিতা আবৃত্তি টিও খুবই অসাধারণ হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।