সি টি চিকলি পার্ক রংপুর ঘুরে আসার মজার অনুভূতি |||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সি টি চিকলি পার্ক ঘুরে আসার মজার অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এইতো বেশ কয়েক দিন আগে আমি রংপুর গিয়েছিলাম খুব জরুরী একটা কাজে।কাজের এক ফাঁকে আমার এক প্রিয় আপু সহ রংপুর সিটি চিকলি পার্কে ঘুরে আসলাম।এর আগেও একবার চিকলি পার্ক গিয়েছি। তবে এভাবে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়নি। চিকলি পার্ক এর অপরূপ মনোরম দৃশ্য গুলো যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায়।সেদিন সেই দৃশ্য গুলো দেখছিলাম আর দারুন ভাবে উপলব্ধি করছিলাম।
চিকলি পার্কে ঢোকার সময় এই ফটোগ্রাফি টি করেছি। শীতের প্রকোপ সেদিন খুব বেশি ছিল। সূর্য মেঘের আড়ালে ঢাকা।তারপরেও ঘোরাঘুরি করতে করতে বেশ মজা করেছি।
কবিতা লেখার জন্য খুবই চমৎকার এবং মনমুগ্ধকর পরিবেশ ছিল এখানে।সেদিন খুব ইচ্ছে করছিল সেখানে বসে বসে কবিতা লিখি অনেকগুলো লাইন মাথায় চলে এসেছিল।কিন্তু হাতে সময় ছিল অনেক কম তাই সেখানে বসে আর কবিতা লেখা হয়ে ওঠেনি।কবিতা লেখার না হলেও সেখানে ছবি তুলতে কিন্তু একটুও ভুলিনি। তবে এমন পরিবেশে ঘুরতে গেলে অবশ্যই নতুন নতুন হাজারো কবিতার সৃষ্টি হয়। চিকলি পার্ক নিয়ে মজার একটি কবিতা লিখেছিলাম যেটা এখনো প্রকাশ করিনি।
চিকলি পার্কের ভিতর শিশুদের জন্য খুবই চমৎকার বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। সেখানে শিশুরা যেমন বিনোদন করে, আনন্দে খুশিতে মেতে উঠতেপারে। ঠিক তেমনি বড়দের জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা। এখানে খুবই চমৎকার একটি লাল রঙের ট্রেন আছে। যেখানে শিশুসহ বড়রাও খুব অনায়াসে জার্নি করতে পারে।
চিকলি পার্কে খুবই চমৎকার একটি বিশাল বড় দীঘির মত রয়েছে। যেখানে সবাই স্পিড বোডে করে ঘুরে আসে। পুকুরের সাইডে খুবই চমৎকার করে ব্রাঞ্চ রয়েছে যেখানে সবাই বসে এবং হিমেল হাওয়ায় প্রাণ জুড়ায়।
চিকলি পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে রাস্তার এক ধারে পুকুর, অন্যধারে মনোরম দৃশ্য।সবমিলে রূপে অপরূপ। আর এই অপরূপ দৃশ্য যে কারোরই ভাল লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
বন্ধুরা চিকলি পার্কে গিয়ে সেদিন আমার কাছে এতটাই বেশি ভালো লেগেছিল। যে, ভাষা দিয়ে আপনাদেরকে বোঝাতে পারবোনা। আমার সময়টা সেদিন দারুন কেটেছে। তবে, সত্যিই আমার হাতে যদি আরেকটু বেশি সময় সেদিন থাকতো, তাহলে ওখানে বসে বসে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখতে পারতাম।
বন্ধুরা মনি আপুর সাথে কাটানো সেদিনের সেই বিশেষ সময়গুলো,, মনের মনিকোঠায় স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে হৃদয়ে থাকবে আজীবন। সত্যি সেদিনের সেই প্রাণবন্ত সময় গুলো আমার কাছে আজো জীবন্ত মনে হচ্ছে। মধুময় সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে কিছুটা শেয়ার করতে পেরে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে।
আমি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভালোভাবে পৌঁছাতে পারি। আগামী 18 তারিখ জাতীয় শিশু একাডেমিতে আমাদের অনেক বড় একটি প্রোগ্রাম রয়েছে। আর আগামীকাল 17 ই ফেব্রুয়ারি আমাদের সেই প্রত্যাশিত কাব্যকলি আমি হাতে পাবো আশা রাখছি। আর সেই সাথে রংপুর আসলে চিকলি পার্ক ঘুরে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।। আজকের মত এখানেই,, যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না। আবার ফিরে আসবো নতুন নতুন আয়োজন নিয়ে আপনাদের মাঝে। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
রংপুরে থেকে আসলাম প্রায় ৪ মাস অথচ এই পার্কটিতে যাওয়া হয়নি একদিনও । যাই যাই করেও কেন যেন সময় করতে পারলাম না। এত সুন্দর আগে জানলে যেকোন ভাবেই একবার যেতাম। পরেরবার গেলে অবশ্যই ঘুরে আসব। ধন্যবাদ আপু পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য।
নতুন একটি পার্ক সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। যেহেতু আজ পর্যন্ত রংপুরে যাওয়া হয়নি তাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আজকের আপনার পোস্টের মধ্য দিয়ে রংপুরের এই পার্কের দৃশ্য দেখতে পারায়। বিস্তারিত বর্ণনা পড়তে পারলাম আপনার পোষ্টের মধ্যে থেকে তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।