নীলফামারী লেখক অঙ্গনে //সাহিত্য আড্ডা//১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা নীলফামারী লেখক অঙ্গনে সাহিত্য আড্ডা আমরা প্রতি মাসেই করে থাকি।এখানে নীলফামারী লেখক, কবি, সাহিত্যিক সবাই থাকেন।আমাদের সাহিত্য আড্ডা গুলোয় স্বরচিত কবিতাপাঠ, কিংবা গল্প, ছড়া, গান ইত্যাদি পরিবেশন করে থাকি।এভাবে প্রতি আড্ডায় বিশেষ একজনের লেখা সমালোচনা করা হয়।কবিতার ব্যাকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।কবিতার ছন্দ ও মাত্রাবৃত্ত এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।আমাদের আড্ডা গুলোতে মজা মাস্তি সবই হয়।দারুণ সময় কাটে আমাদের।
আজকে আমার লেখা "একুশের বুকে প্রেম" বই থেকে স্বরচিত কবিতা রোকসানা বলছি-পাঠ করলাম।সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনে ছিল।এবং আমার কবিতায় সবার হৃদয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে।সবার হাতে তালি এবং সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত এবং আরো বেশি উজ্জীবিত করেছে।আমি মূলত বাস্তবভিত্তিক লেখার চেষ্টা করি।এবং অন্তমিলের কবিতা আমি নতুন এক ধারায় শুধু আমার মত করেই আমি লেখার চেষ্টা করি।খুবই সহজ সরল এবং সাবলীল ভাষায় যেন আমার কবিতার ভাষা সর্বস্তরের মানুষ স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারে।
আজকের আড্ডায় অনেকেই সুন্দর সুন্দর স্বরচিত কবিতা ছড়া গান পরিবেশন করেছেন। এবং প্রায় প্রত্যেকেরই পরিবেশনা ছিল অসাধারণ এবং মনমুগ্ধকর।যাদের কবিতা এবং আলোচনা শুনে আমি নিজেও অনেক কিছু নেয়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত এবং খুবই চমৎকার একটি ভালো নয় মনের মধ্যে দোলা দেয়।যা আমার লেখনি শক্তি কে আরো তীব্রতর করে।
এই কথাটি সত্য যে লেখকের সুলিখনি হোক সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার।আমাদের লেখনি শক্তি দিয়ে অনেক মানুষকেই সৃজনশীলতার দিকে ধাবিত করতে পারি।মানবতাবোধকে জাগ্রত করার চেষ্টা করতে পারি।মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারি।তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রতিটা মানুষেরই সাহিত্যচর্চা শিল্পচর্চা করা অতীব জরুরী।আমি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চা করে আসছি।এবং বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছি। তাই সাহিত্যচর্চা এবং কবিতার প্রতি আমার আলাদা একটি মমত্ব, একটি ভালোবাসা কাজ করে হৃদয় থেকে।সাহিত্যচর্চা মানুষের মন ও মননে খোরাক হতে পারে।তাই আসুন আমরা বেশি বেশি সাহিত্য চর্চা করি।নিজেকে আরও বেশি সমৃদ্ধিশালী করি।অন্য কেও আরো বেশি উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
সব কবিদের আড্ডা দেখছি।আর সব কবি মানুষকে একই ফ্রেমে দেখতে ভালই লাগছে।আর আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা আবৃত্তি করছেন।
একদম ঠিক ধরেছেন। আমি স্বরচিত কবিতাপাঠ করছিলাম। এবং আমার কবিতায় সকলকে বিমোহিত করেছে।♥♥
যেমন করে আমাদেরকে বিমোহিত করে😍।আপনি যে ভালো আবৃত্তি করেন সেটা তো আমরা জানিয়ে,নতুন করে বলার কিছু নেই।🖤🖤🤟
আসলে আপনাদের সাহিত্যচর্চা দেখে আমি বেশ খুশি হয়েছি। আসলে মানুষ ঈদ উপলক্ষে কত রকম আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত আছে। আপনার উদ্যোগ অনেক ভালো লেগেছে আপু আমার কাছে। আসলে এরকম সময়ে এরকম উদ্যোগ দেখাই যায়না। সব কবিদের যেন মিলন মেলা। ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর একটি মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মনের ভেতরের কবি ভাবটা হঠাৎ করেই জেগে উঠলো। ইচ্ছে হচ্ছে আমিও যেন এমন আড্ডায় নিয়মিত যোগদান করি।
আপনার সাহিত্যে চর্চা আরো অগ্রগামী হইয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা রইলো।
নীলফামারী লেখক অঙ্গনে সাহিত্য আড্ডা দেখে অনেক ভালো লাগল। যেখানে কবিরা মিলিত হয়েছেন। আপনি সাহিত্যচর্চা ভালোবাসেন জেনে খুশি হলাম।আপনার লেখা কবিতা গুলো ভালো লাগে সত্য তবে তা চেয়ে আপনার আবৃতি অসাধারন হয়। সব সময় শুভকামনা রইল
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।সাহিত্যচর্চা সেই অনেক আগে থেকেই করে আসছি।♥♥
যেহেতু দীর্ঘদিন অনার্স-মাস্টার্স বাংলায় করেছি তাই সাহিত্যের প্রতি বিশাল টান রয়েছে আমার মনের মধ্যে। এজন্য আমি আপনার সাহিত্যকর্মকে খুব শ্রদ্ধা করি। দোয়া করব যেন আপনি আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।
সাহিত্য অঙ্গনে আড্ডা এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপু, আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি জেলায় প্রতিটি থানায় থানায় এরকম ব্যবস্থা করলে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সুশীল মূলক বই এর বহিঃপ্রকাশ ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বই পড়ার প্রাঞ্জলতা তৈরি হবে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য♥♥
আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে সকলেই মুগ্ধ হয়েছে। মাসুদ রানার কবিতা আবৃত্তি শুনে আমি ও খুব মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনি বাস্তবমুখী বিষয়গুলোকে খুব সুন্দর এবং সহজ ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।