ইতির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে আমার অনুভূতি||~~
ইতির গায়ে হলুদ
সকলকে শুভেচ্ছা আশা করি সবাই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।তবে শারীরিক দুর্বলতা এখনো কেটে উঠে নাই।আশা করছি নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং নিয়ম কানুন মেনে চললে নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবো।
ইতির হলুদ সন্ধ্যা :꧂
বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই জানেন যে আমার বড় বোনের মেয়ে এতে কিছুদিন আগে বিয়ে সম্পন্ন হল।তার আগে ছোট করে একটু বলে নেই।আমরা পাঁচ ভাইবোন এর মধ্যে আমার বড় বোন সবার চেয়ে বড়।তবে আমাদের বংশে আলোকিত হয়ে আসে সবার প্রথমে তিথি এবং ইতি।কাজেই ওরা ছিল আমাদের সকলের অনেক প্রিয়।আমি নিজেই ওদেরকে মেয়ের মত করে মানুষ করার চেষ্টা করেছি।এবং কোন এক সময় সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এগুলো আমার মেয়ে। যাই হোক সেই মেয়েদের বিয়েতে মায়েদের যতটা আনন্দ থাকে ততটাই বেদনা।সব কষ্ট এবং বেদনাগুলোকে অন্য একটা জায়গায় বন্দি করে রেখে খুব আনন্দ করার চেষ্টা করেছি।এবং সবাইকে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছি।যদিও শারীরিকভাবে অনেকটা অসুস্থ ছিলাম।কিছুক্ষণ পরপর মাথায় কেমন যেন যন্ত্রণা করে উঠত।তারপরেও কাউকে বুঝতে দিতাম না।কারণ আমি মন থেকে চেয়েছি সবাই উপভোগ করুক।
এবার কাজের কথায় আসি।ইতি টাঙ্গাইলে চাকরি করে।গায়ে হলুদের আগের দিন সিয়াম ইতি এবং ইতি দুলাভাই একটি প্রাইভেট কারে করে ঢাকা থেকে নীলফামারী আসে।আসতে আসতে তাদের সন্ধ্যায় গড়িয়ে যায়।পরদিন ইতির গায়ে হলুদ। তাইতো সকাল থেকে চলছিল নানা রকমের আয়োজন।বিয়েটা হয়েছে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে।এতটুকু বলা যায় যে বিয়েটা জোরপূর্বক করা হলো হয়েছে।কারণ যে ছেলের সাথে ইতির বিয়ে হল সেই ছেলেকে পরিবারের কেউই পছন্দ করেনি নানাবিধ কারণে।কিন্তু ইতি একটাই কথায় সে ওই ছেলেকেই বিয়ে করবে।আর তাই ওর মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে একপর্যায়ে জোরপূর্বক করবি এটা করিয়ে দেন পরিবার।ওর মা বোন দুলাভাই কেউই রাজি ছিল না বিয়েতে।তারপরেও অনেক ধুমধাম হয়েছে আয়োজনের কমতি ছিল না।যাই হোক দুপুর তিনটার দিকে আমি এদিকে নিয়ে পার্লারে গেলাম।ওকে সাজিয়ে গুজিয়ে নিয়ে আসলাম।এরপরই শুরু হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানিকতা।আমার ভূমিকাটা কেমন ছিল আমি কখনো অভিভাবক কখনো বান্ধবী।আবার কখনো বা স্বেচ্ছাসেবক।
সবার প্রথমে আমার মা তাকে হলুদ লাগিয়ে দোয়া দিয়ে দেন।পর্যায়ক্রমে ইতির মা এবং বাবা ঈদের গায়ে হলুদ লাগিয়ে দেন।পর্যায়ক্রমে আশেপাশের প্রতিবেশীরা স্বজনেরা সবাই তাকে হলুদ লাগায়।তবে সিয়াম হলুদ না লাগিয়ে শুধুমাত্র মিষ্টি খাইয়ে এবং দোয়া স্বরূপ কিছু টাকা ওর হাতে গুজিয়ে দেয়। সিয়াম এবং ইতি প্রায় দুই বছরের ছোট বড়।কিন্তু তারা দুজনে ক্লাসমেট।এবং দুজনের মধ্যে ভাল ফ্রেন্ডশিপ রয়েছে।তাইতো ওর বিয়েতে ঢাকা থেকে চলে এসেছে সিয়াম।কিন্তু শিপু আসতে পারে নাই।ইতির গায়ে হলুদের শালী বাজেটের টাকা দিয়ে আমরা বেশ কয়েকজন একই রঙের শাড়ি কিনে নিয়েছিলাম।এবং সেই শাড়িগুলো সবাই যখন একসাথে পড়েছি তখন দেখতে দারুন লাগছিল।
গায়ে হলুদ লাগানো শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই মিলে একটু নাচ গান করে বিনোদন করি।কারণ খুব ঘরোয়া পরিবেশে এখানে বাহিরের কেউ ছিলনা।
নানা রকমের মধ্য দিয়ে আমরা নানা রকমের ফটোগ্রাফি করি। এবং আস্তে আস্তে রাত যখন গভীর হতে লাগলো একটি পর্যায়ে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরে আসি।কারণ আমার বাসা থেকে আমার বোনের বাসা খুব বেশি দূরে নয়।হেঁটে গেলে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় লাগে।আর রিক্সায় গেলে দশ টাকা ভাড়া লাগে।যাইহোক সবমিলিয়ে দারুন কেটেছে সময়গুলো।সুন্দর এই অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি পরবর্তীতে আবারো ওর বিয়ের ব্লগ নিয়ে হাজির হবে ইনশাআল্লাহ।সেই সাথে ইতির নতুন জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইল।♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: অনুভুতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আপু আপনার ভাগনি ইতিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।সাথে আপনাকে দারুণ লাগছে। আয়োজন ও অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার ভাগনির ভবিষ্যত জীবনের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই ইতিকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। যখন হলুদের সাজে সেজেছিল এবং বউয়ের সাজটাও বেশ সুন্দর ছিল।♥♥
ভাইয়া পোস্টে দেখেছিলাম গায়ে হলুদের কিছু ছবি। বিয়ের ছবিও দেখেছিলাম। যাইহোক আশা করছি আপনি এখন শারীরিকভাবেই সুস্থ আছেন। সিয়াম ভাইয়া এবং ইতিমধ্যে বেশ ভালো বন্ডিং আছে। হলদে অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলের শারীর এক হওয়ায় দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। সবাই একই রঙে শাড়ি পড়াতে আরও বেশি সুন্দর লাগছিল সবাইকে। ♥♥