শাকসবজি বাড়ির উঠোনে টাটকা সতেজ হবে,, চারা লাগালাম, বিজ ছিটালাম ফলবে জানি কবে,🥕🥦🍆🍅
টাটকা সতেজ হবে,,
চারা লাগালাম, বিজ ছিটালাম
ফলবে জানি কবে?
🥕🥦🍆🍅
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে ছোট্ট একটি উঠান বা আঙিনা আছে।খুবই ছোট বলতে গেলে।সেই আঙিনাতে আমরা এক পাশে ফুলের বাগান করেছি।আমাদের বাগানে গোলাপ ফুল, বেলি ফুল, সন্ধ্যামালতী সহ আরো অনেক কাজ আছে।পাশাপাশি একটি পেয়ারা গাছ, একটি আমগাছ ও বেশ কয়েকটি লেবু গাছ আছে।তাছাড়া বাড়ির আঙিনায় আমাদের একটি অনেক বড় জামরুল গাছ আছে।আর জামরুল গাছের নিচে জায়গাটুকু একটুখানি ফাঁকা আছে।তাই মনে মনে ভাবছিলাম। ওই ফাঁকা জায়গাটুকুতে আমরা যদি শীতের শাকসবজি কিছু ফেলি / লাগাই, তাহলে ও টাটকা টাটকা খাওয়া যাবে অন্তত দু একদিন তো খেতে পারব। যেই ভাবা সেই কাজ।বেশ কিছুদিন আগে সিয়াম সহ কিছু শাক সবজির বীজ কিনে এনেছিলাম।কিন্তু সিয়াম যাওয়ার পর সেগুলো আর লাগানোর কথা ভুলে গিয়েছি। তাছাড়াও যাওয়ার পর থেকেই আমি কেমন যেন অসুস্থ হয়ে পড়েছি কারণ তীব্র থেকে তীব্রতর মাথা ব্যাথা।আজ হঠাৎ মনে হল না শাকের বীজ গুলো ফেলি।তাই সবগুলো বীজ পানিতে ভিজে রাখি একটি বাটিতে।
এরপর একটি ছুরি দিয়ে মাটি গুলো ভালো করে খনন বা উর্বর করে নিলাম।মাটি খনন করার জন্য যে যন্ত্র দরকার সেগুলো তো বাসায় নেই তাই ছুরি দিয়ে এই মাটি খনন করে মাটিতে মিশে থাকা যে ময়লা গুলো ছিল সেগুলো কে আলাদা করে নিলাম।
এরপর কিছু ছাই ছিটিয়ে দিয়ে ভিজিয়ে রাখা বিভিন্ন ধরনের শাক এর -বীজ গুলো ভালভাবে ছিটিয়ে দিলাম। তার মধ্যে ছিল পালংশাক, ধনিয়া শাক সরিষা শাকের বীজ। আর বেশ কয়েকটা লাউয়ের বীজ।
সেদিন শাকের -বীজ কেনার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি টমেটোর চারা কিনে ছিলাম।টমেটোর সালাদ যেমন আমাদের অনেক বেশি প্রিয় টমেটো দিয়ে ভর্তা বানালে কিন্তু আরো বেশি খেতে মজা লাগে সেই সাথে বেশ কিছু তরকারিতে টমেটোর দিলে সেই দরকারের স্বাদ হয়ে যায় অন্যরকম।এসব কিছু চিন্তা করেই টমেটোর চারা কিনে ছিলাম এবং সেগুলো আজকে লাগিয়ে দিলাম।যেদিন আমার এই বাড়ির ছোট আঙিনায় শাক এবং সবজিগুলো ধরবে। সেদিন আবারো নতুন একটি পোস্ট করে আপনাদের দেখাবো।জানিনা কেমন হবে নাকি হবে না তার পরেও আমি আমার সাধ্যমত পরিচর্যা করব।
বন্ধুরা আজ বিভিন্ন ধরনের শাক এবং টমেটোর চারা ও লাউয়ের বীজ রোপন করলাম।পানি ছিটিয়ে দিলাম।চোখেমুখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছি।নিজের হাতে লাগানো টাটকা ফরমালিনমুক্ত শাক-সবজি খাব বলে।দেখা যাক কি হয়।সিয়াম কিন্তু আমাদের বাগানের পরিচর্যা করে।কিন্তু ও তো ঢাকায়।আজকে যখন চারা এবং বীজগুলো রোপণ করতে ছিলাম। ঠিক তখন সিয়ামের কথা খুব বেশি মনে হচ্ছিল।টাটকা টাটকা শাকসবজি তে ভরে উঠুক আমার এই ছোট্ট আঙিনা টি। আমি কিভাবে এগুলোর রপন করলাম এর বিস্তারিত ভিডিও আকারে একটি প্রতিবেদন। কোন একদিন আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করবো।ততদিন পর্যন্ত অনেক বেশি সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন আনন্দে থাকুন নিরাপদে থাকুন সেইসাথে প্রান খুলে হাসুন আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
এই কাজগুলো ভীষণ আনন্দ দেয়। সত্যি বলতে ঢাকা শহরের ছোট্ট বাসায় আমার ছোট্ট বারান্দায় কলমি শাক, পুঁইশাক, মরিচ, গাছ এবং এলোভেরা রয়েছে। এগুলো যখন ফলন দেয় কিংবা গাছগুলো বড় হয় সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে তখন। আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি। তাড়াতাড়ি গাছ বড় হয়ে ফলন দেক এই কামনা করছি।
একদম ঠিক বলেছেন।একটা সময় আমিও আনন্দ নিয়ে এসব কাজ করতাম। কিন্তু প্রায় কয়েক বছর ধরে এতটাই ব্যস্ত যে,, এ দিকে তাকানোর সময় ছিলনা।যাই হোক আমাদের বাসায় যেহেতু জায়গা অনেক কম তাই এই স্বল্প পরিসরে একটুও ইচ্ছে পোষন করলাম।♥♥
সত্যি আপু নিজের হাতে লাগানো টাটকা শাক সবজি খেতে অনেক মজা। কারণ এগুলো তাজা তাজা খাওয়া যায় ও ফরমালিন মুক্ত। টমেটো দিয়ে সালাদ খেতে অনেক মজা আর টমেটো যেকোন তরকারিতে দিলে আসলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম সত্য কথা। নিজের হাতে লাগানো শাকসবজি যেমন টাটকা টাটকা খেতে খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আত্মীয়-স্বজন মেহমানদের বাড়িতে বিলাতে ও বেশ আনন্দ লাগে।♥♥
নিজের হাতে লাগানো গাছের সবজি খেতে পারা অনেক আনন্দের। আমার ও সবজি গাছ লাগালোর বড্ড শখ।কিন্তু শহরে এমন জায়গা কোথায়? আপনার ধনিয়া পাতার বীজ ফেলতে দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটবে খুব শীঘ্রই, চিন্তা নেই। অনেক ধন্যবাদ।
নিজের হাতে লাগানো শাকসবজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আসলে খেতে যতটা আনন্দ লাগেনা। দেখে তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগে।আপনি ঠিকই বলেছেন আপু শহরে আসলে ইচ্ছে করলে উপায় হয় না। আমার বাড়িতেও কোন জায়গা নেই। সামনের ছোট্ট একটু জায়গা। সেখানে এই কাজটি করেছি জানিনা শাকসবজি হবে কিনা।♥♥
বাড়ির আঙ্গিনায় এমন সবজি বাগান দেখলে মনটা ভরে যায়। আপনি অনেক আশা করে শ্রম দিয়ে বীজ রোপন করেছেন। আশা করি খুব তারাতারি বীজ গুলো গাছ আর গাছ থেকে ফল পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন। বাড়ির উঠোনে এমন সবজি বাগান আসলে, হৃদয় এবং মনকে অনেক বেশি প্রসারিত করে। প্রশান্তি এনে দেয়।♥♥
নিজের হাতে লাগানো শাক সবজি খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে। পরিত্যক্ত জায়গায় বীজ বপন করে শাকসবজি ফলাবেন । খুবই ভালো উদ্যোগ। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট্ট একটি উঠোনের মধ্যে কিছু শাকের বীজ ফেলেছি। দেখা যাক হয় কিনা।আসলে আমার বাড়ির সামনে বড় জায়গা থাকলেও আমি চেষ্টা করতাম ফরমালিনমুক্ত শাক সবজি চাষাবাদ করার জন্য।♥♥
নিজের হাতে লাগানো ফরমালিন মুক্ত টাটকা শাক-সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগে নিজের হাতের লাগানো শাক-সবজি ফল ফলাতে খেতে। বেশি দিন লাগবে না আপু চারা গাছ বেড়ে উঠতে। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি আপনার লাগানো বীজের শাক সবজি ধনিয়া পাতা খেতে পারবেন।
একদম ঠিক আপু। নিজের হাতে লাগানো যে কোন ফলমূল, শাকসবজি, খাওয়ার মজাই আলাদা। এবং প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনকে বেলানোয় একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।♥♥
সত্যি বলতে নিজের হাতে গাছপালা লাগাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনি দেখছি খুব চমৎকার একটি বাগান বানিয়েছেন, আর শাক সবজির জন্য জায়গাটা কিন্তু পারফেক্ট। আমিও আমাদের ছাঁদে কিছু শাকসবজি রোপন করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপু এটা আমার বাসার ছোট্ট একটা উঠোন। এই উঠোনর একপাশে আছে অনেক বড় একটি জামরুল গাছ। অর্থাৎ ওই জায়গাটা বেশ খানিকটা ছায়া থাকে। জানিনা শাক হবে কিনা??
আপু আপনি আসলেই একজন পরিশ্রমী ও উদ্যোগী মানুষ। কি করে নতুন কিছু ফলাতে হয় তা আপনার কাছেই শেখা দরকার। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আজ। আমিও বাড়ির আঙিনায় কয়েকটি বেগুন কাঁচা মরি চ লেবু আরও কয়েক ধরনের সবজি চাষ করেছি। নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে যখন ফল পেড়ে খাব তখন যে কি আনন্দ অনুভব হবে তা ভেবেই আমি আনন্দ পাচ্ছি।
আপু অনেক বছর আগে আমি একটি লাউ চারা লাগিয়েছিলাম বাড়ির ছাদে। এবং সেই লাউ গাছে প্রায় 200 শত এর বেশি লাউ ফলেছিল।আরে অনেকদিন ধরে তো সময়ই হয়না।দেখি অনেকদিন পর আবার লাউয়ের বীজ রোপন করলাম এবার কি হয়।♥♥
আপু আপনি তো দেখছি বাড়ির উঠানে অনেক কিছুর গাছ লাগিয়েছেন। আমরা যখন গ্রামে ছিলাম তখন মাকে দেখেছি উঠানের এক পাশে শীতকালীন বিভিন্ন শাক সবজির গাছ লাগাতে। নিজের হাতে গাছ লাগিয়ে সেই সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপু চিন্তা করবেনা আপনার সবজির বাগানে কিছুদিনের মধ্যে শাকসবজিতে ভরে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আমার বাসার উঠোন কিন্তু অনেক ছোট। তারপরও চেষ্টা করছি।হয়তো কিছুদিন পর এই ছোট উঠোনন টুকুও আর থাকবে না।তবে অবশ্যই দ্রুত ফল ধরলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
♥♥
আপনার সবজি বাগান দেখে খুবই ভালো লাগলো। নিজের হাতে লাগানো ফরমালিনমুক্ত শাক সবজি খেতে খুবই ভালো লাগে। খুব অল্প কিছুদিনের ভিতরে আপনার লাগানো চারা গাছগুলো গুজে উঠবে। শুনে খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে বীজ রোপনের পদ্ধতির শিখিয়ে দিলেন আপু। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনি আপনার লাগানো বীজগুলোর মধ্য থেকে শাকসবজি খেতে পারবেন। আপনার ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। সেই সাথে অবশ্যই ভিডিও প্রতিবেদনটি শেয়ার করব। তবে একটু অপেক্ষা করতে হবে।♥♥