"জিকোর" বিয়েতে কিছুক্ষণ||~~♥
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমাদের পাশের বাড়ির সিয়ামের চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের সুন্দর মুহূর্তের কিছু কথা। গতকাল 23 ডিসেম্বর নীলফামারী সৈয়দপুর থানায় সিটি সেন্টারে "জিকো" এর বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে আমরা খুব মজা করেছিলাম।জিকো কে বরবেশে দেখতে দারুণ লাগছিল।আমি সম্পর্কে ওর আন্টি হলেও ঠিক বান্ধবীর মতই আচরণ করে আমার সাথে।ওরা 5 ভাই-বোন চার ভাই এক বোন সবার সাথে আমার দারুন খাতির।ছোটবেলায় সিয়ামকে ওরা খুব বেশি আদর করত।সিয়াম দূরে থাকার কারণে শিপু এবং আমি বরযাত্রী হিসেবে বিয়েতে যাই।যদিও একটা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি মনের মাঝে।সে পথ চলে গেলে আমাকে একা থাকতে হবে।এই যন্ত্রণাটা কুরে কুরে খাচ্ছে আমাকে।তথাপি অভিনয় করে সবার সাথে হাসিমুখে চলার চেষ্টা করছি।বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এরকম অনেক বড় বড় ত্যাগ করতে হয়।আসলে ত্যাগ ছাড়া ভালো কিছু অর্জন করার প্রত্যাশাটা নিছক বোকামি।তাই শিপুর সাথে বেশ কিছু সময় কাটানোর জন্য, বিয়েতে আমরা দুজন মিলে গিয়েছি।
মাশাল্লাহ জিকোকে দেখতে যত সুন্দর ওর বউ ঠিক তেমনি মিষ্টি।খুবই চমৎকার একটি জুটি হয়েছে।তাদের দাম্পত্য জীবন অনেক সুখময় হোক মধুময় হোক এটাই প্রত্যাশা করি।সৈয়দপুর শহরের সিটি সেন্টারে ওদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়।বিয়েতে অনেকেই মজা করেছে কিন্তু গতকাল প্রচন্ডরকম শীত ছিল।তার পরেও অনেকেই সেজেগুজে অনেক সুন্দর করে বর যাত্রিতে এসেছে সবাইকে দেখতে বেশ লাগছিল।দারুন একটা অনুভুতি ছুঁয়ে যাচ্ছিল হৃদয় গহীনে।তবে কনে পক্ষের লোকজন বরকে দেখে বেশ খুশি হয়েছে এবং নানা ধরনের ফটোসেশন হয়েছে।কনের চোখে এতোটুকু জল ছিল না। কিংবা এতোটুকু মন খারাপ ছিল না। দেখে অনেকটা বিস্মিত হলাম।
একদিকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছিল। অন্যদিকে বরযাত্রীর খাওয়া-দাওয়া চলছে। তবে বাড়িতে বিয়ে হলে যে আনন্দটা হয়। কমিউনিটি সেন্টারে কিন্তু ঠিক সেরকম বিনোদন হয়না।কেমন যেন আমার কাছে একটু অপূর্ণতাই লাগে।যাই হোক সব মিলিয়ে বিয়েটাকে আমরা খুব এনজয় করেছি।সবার হাসিমুখ দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। সবার সেজেগুজে হাস্যজ্জল চেহারাটা যেন জ্বলজ্বল করছিল চোখের সামনে।এই বিষয়গুলো আবে দারুণভাবে অনুভব করেছি।বিষাদের এই অনুষ্ঠানগুলোতে ভাই-বোন মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন সবাই একই সেতুতে,প্রাণবন্ত থাকে।
জিকো কাপড়ের ব্যবসা করে। সেই ছোটবেলা থেকে।যথেষ্ট ভাল ব্যবসায়ী।লেখাপড়া তেমন একটা করিনি।তবে কাপড় সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারণা রয়েছে।আমি মনেপ্রাণে চাই ওদের দাম্পত্য জীবন অনেক বেশি সুখের হোক অনেক বেশি শান্তিময় হোক।পরবর্তী জীবন সুখের ঝর্ণাধারার মতোই বহমান হোক।আজ ও আগামী সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।বন্ধুরা আপনারা সবাই দোয়া করবেন জিকোর জন্য।জিকো ভাইদের মধ্যে চার নম্বর। ইতিমধ্যে আগের দুই ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। তৃতীয় নম্বর ভাইটি এখন বিয়ে করবে না বলে, চতুর্থ নাম্বার ভাইয়ের বিয়ে হল। অর্থাৎ বড় ভাইকে রেখে ছোট ভাইয়ের বিয়ে হল।কারণ ওর বড় ভাইয়ের চোখে মুখে অনেক স্বপ্ন।সে স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত বিয়ে করবে না বলে জানিয়েছে।আর তাই ওর বাবা-মা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।কালকে শুনলাম ওর ছোট ভাইয়ের নাম জিসান ও সিয়াম এর চেয়ে বড়। ওকে ও নাকি বিয়ে দেবে কিছুদিনের মধ্যে।যাই হোক সব মিলিয়ে কালকে সময়টা দুর্দান্ত কেটেছে।বিয়ে বাড়িতে যেমন বিনোদন হয় আর কি? আর আমি যেখানে থাকি সেখানে সবাইকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি।অনেকের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে।তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই।আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা সবসময়।♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু আপনি থাকবেন,আর সেই জায়গার মানুষ মন খারাপ করে থাকবে সে কি করে হয়।সিয়াম ভাই পরীক্ষার কারনে ঢাকাতে থাকার কারনে বিয়েতে অংশগ্রহন করতে পারেনি।যাই হোক বিয়েতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো,আসলেই বর বউ দেখতে বেশ সুন্দর, কিন্তু বউ এর মুখে কোন হাসি নেই 😉।
জিকোর দম্পতি জীবনের জন্য শুভকামনা রইল। জিকোর বিয়েতে আপনি ও শিপু মিলে বেশ আনন্দ করেছেন। সিয়াম ভাই সেহেতু ঢাকায় ছিল সেহেতু আসতে পারিনি। যাইহোক আপনারা সবাই মিলে অন্য ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
ছোট ছেলেকে নিয়ে খুব দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন বিয়েতে। আর এটা ঠিক বলেছেন ভালো কিছু পেতে হলে তো ত্যাগ করতেই হবে। আর সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনি তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা।মা হিসেবে ছেলের ভালো চাওয়াই তো সব চেয়ে মুখ্য বিষয়। তবে একটা সময় তো ভালো কিছু আসবেই। সেই হিসেবে তাদের জন্য দোয়া করে যাবেন, ভালো থাকবেন সব সময়।
তাদের বিবাহিত জীবন সুখী হোক।
বিবাহ মানে দুটি আত্মার মিলন দুটি পরিবারের মিলন আত্মীয়তার বন্ধন।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন বিয়েতে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখিয়েছেন আমাদের।
তবে শেষমেষ খাবারের ফটোগ্রাফি টা দেখে বেশ থমকেই গেছি দেখেই লাভ হচ্ছিল খাওয়ার জন্য।।
নতুন কাপলের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এই দোয়া করি। ছেলেমেয়েরা দূরে যাবেই এটা মেনে নিতেই হবে আপু।তাদের জীবন গড়ার জন্য।আমিও কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে টা মেনে নিতে পারি না।কেমন একটা যেন লাগে।বাড়িতে সবাই মিলে যে মজা হয়,কমিউনিটি সেন্টারে সেখানে নিজেকে মেহমান মনে হয়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই তাদের নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। তারা সুখি হোক এই কামনা করছি।
বিয়েতে বেশ আনন্দ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।
বড় ভাই নিজে বিয়ে না করে ছোট ভাই আগে বিয়ে করেছেন। আসলে বড়দের দায়িত্ব সত্যিই অনেক বেশি হয়ে থাকে। যাক সবার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই অন্যরকম আনন্দ। কেননা বিয়ে বাড়ির মত কোন আনন্দই হতে পারে না। সিয়াম ভাইয়ার চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে বেশ আনন্দই করেছেন মনে হচ্ছে। বর এবং কনেকে খুব দারুণ লাগছে বেশ ভালই মানিয়েছে। তবে এটা ঠিক কমিউনিটি সেন্টার থেকে বাড়িতে বিয়েতে বেশি এনজয় করা যায়।