"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ || শেয়ার করো তোমার প্রিয় শীতের পিঠার রেসিপি || ~~
তীব্র শীতে উষ্ণতার পাপড়ি ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়। আশা রাখছি সকলেই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও কিছুটা ভালো আছি। অসুস্থ পরিবেশে থেকেও সকলের সুস্থতা প্রত্যাশা করছি সব সময়।
ভিন্ন স্বাদের ভাপা পিঠা
বন্ধুরা আজ আমি আজ আমি সাথী রান্নাঘরে খুবই চমৎকার একটি শীতের ইউনিক পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ || শেয়ার করো তোমার প্রিয়, শীতের পিঠার রেসিপি। আর তাই আজ আমি ভিন্ন স্বাদের একটি ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। কেন না সবচেয়ে আশ্চর্য এবং মজার বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়ে এসেবিশেষ করে তেল এবং মসলাযুক্ত খাবারগুলো আমাদের দেহের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। আর তাই সকলের সুস্থতা ভেবে মুখরোচক নতুন আইটেমের একটি পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। এই পিঠার রেসিপিটি কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যসম্মত। মজাদার সুস্বাদু ও মুখরোচক। শুধু তাই নয় লোভনীয় যথেষ্ট।এই প্রতিযোগিতার আয়োজনকারীদেরকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর আয়োজনের জন্য। আমার বাংলা ব্লগ এর সম্মানিত ফাউন্ডার সম্মানিত এডমিন সম্মানিত মডারেটর বৃন্দদের। চলুন তাহলে শীতের পিঠার রেসিপি দেখতে সাথে রান্নাঘরে যাই।
☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆
☆প্রতিযোগিতা - ৪৯।শীতের পিঠার রেসিপি ☆
সাথী রান্নাঘরে,
গরম গরম না খেলে যে
পাবে না আর পরে।
আটা ছাড়া ভাপা পিঠা
যায় কি ভাবা বল,
দেখতে চাইলে তাড়াতাড়ি
সাথী রান্না ঘরে চলো।
সুজি নারকেল গুঁড়া দুধের
দারুন সমন্বয়ে,
আখের গুড় ও লং এলাচ
দিয়েছি ক্রমান্বয়ে।
তেল ছাড়া এই ভাপা পিঠা
পুষ্টিগুণে ভরা
স্বাস্থ্যসম্মত এই পিঠা খেলে
খাবে না আর ধরা।
শীতকালটা পিঠা ছাড়া
জমে ওঠেনা,
নারকেল ছাড়া ভাপার যেন
হয় না তুলনা।
সাথী রান্নাঘরে তাই
পিঠার আয়োজন,,
গরম গরম খেলে সবার
জুড়িয়ে যাবে মন।♥♥
......................................
৬ ডিসেম্বর ২০২৩
সময় সকাল ৯:৫৫
কবিতা কুটির-নীলফামারী
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
☆꧁::প্রয়োজনীয় উপকরন .::. ꧂☆
সুজি
নারকেল
গুর
চিনি
ঘি
লবণ
এলাচ
গুল মরিচের গুড়া
গুড়া দুধ
- প্রথমে নারকেলের পানি বের করে নারকেলটি দুইভাগ করে এরপর ভালোভাবে কুড়ে নিলাম।
- এরপর একটি কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়ে তাতে গুড় গুলো দিয়ে দিলাম। এবং সামান্য পানি দিয়ে গরুগুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে।এবং গুড় গুলো আঠালো হয়ে গেলে তাতে নারকেল গুলো দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে।
- এবার গুড়া দুধ ও লবং এলাচ গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে নারকেলগুলো। সাথে গোলমরিচের গুড়ো দিতে হবে।
- এবার সব উপকরণ গুলো সহ খুব ভালোভাবে নারকেলটি ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে করায় থেকে একটি পাত্রে তুলে দিতে হবে। এবং নারকেল গুলো একটু ঠান্ডা হলে তা এভাবে নাড়ুর মতো করে গোল গোল করে নিতে হবে।
- এবার অন্য আরেকটি কড়াই এর মধ্যে সামান্য ঘি দিয়ে খুব ভালো করে সুজিগুলো ভেজে নিতে হবে।
- সুজি গুলো ভাজা হয়ে গেলে এবার একটি পাত্রের মধ্যে ঢেলে নিব এবং।এবং সেই করার মধ্যেই পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেব।পানির মধ্যে হালকা ঘি এবং লবণ দিয়ে দেব।পানিগুলো গরম হয়ে গেলে তাতে সুজি গুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নেব।
- সুজিগুলো হালকা নরম অবস্থায় চুলা থেকে নামিয়ে নেব। এবং দুই হাতের সাহায্যে সুজিগুলো খুব সুন্দর গোল গোল লেচার মত করে নেব।ঠিক এভাবে,,,,
যেখানে আমি নারকেলগুলো ঢুকিয়ে দেব।
এবার লাথি গুলোর ভিতরে আমি নারকেল গুলো ঢুকিয়ে সেট করে দেবো।নারকেলগুলো ঢোকানোর সাথে সাথেই দেখবেন কি অদ্ভুত লাগছে পিঠাগুলো।পিঠাগুলো দেখতে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত।
*এবার একটি রাইস কুকারের মধ্যে ১ লিটার পরিমাণ পানি ফুটিয়ে নেব।এবং রাইস কুকারের ছিদ্র ওয়ালা ঢাকনার উপরে সব পিঠাগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে বসিয়ে দেব। সেদ্ধ হওয়ার জন্য। ঠিক এভাবে ১০ মিনিট আমরা সিদ্ধ করে নেব। অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করতে হবে। আর এভাবেই তৈরি করে ফেললাম স্বাস্থ্য সম্মত আটা এবং তেল ছাড়াই ভিন্ন স্বাদের ভাপা পিঠা।দেখতে যতটা আকর্ষণীয় এবং লোভনীয় খেতে ততটাই সুস্বাদু এবং মজাদার।
আশা করি আমার তৈরি করা শীতের পিঠার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আর আপনাদের ভালো লাগাই আমার গরম পাওয়া।এই ভিন্ন স্বাদের ভাপা পিঠাটা বাসায় করে খেয়ে দেখবেন অনেক মজাদার।শীতকালে শীতের পিঠা ছাড়া জমে উঠে না।এই শীতকাল জোরে সকলের বাসায় নানা ধরনের পিঠা তৈরি হয় মনে হয় পিঠা উৎসব চলছে।বন্ধুরা সকলে ভালো থাকবেন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।মনে রাখবেন যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না আবারো ফিরে আসব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। টা টা,,
♦এটা আপনার জন্য,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: রেসিপি।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে।মনে রাখবেন যাচ্ছি, কিন্তু যাচ্ছি না .......
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার ইউনিক ভাপা পিঠা রেসিপি দেখে আপনার মুখে জল চলে এসেছে জেনে আমার আরো বেশি ভালো লাগছে।তবে আরও বেশি ভালো লাগতো যদি আমি আপনাকে এই পিঠাটি খাওয়াতে পারতাম।সময় করে একদিন চলে আসবেন নিশ্চয়ই বানিয়ে খাওয়াবো।♥♥
ভাপা পিঠা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। ভাপা পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার উপস্থাপন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। পিঠা নিয়ে মনের অনুভূতি গুলো কবিতার ছন্দে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার দুর্দান্ত উপস্থাপনা আপনার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে জন্যই বেশি ভালো লাগছে।দুর্দান্ত মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
♥♥
বেশ লোভনীয় ও ইউনিক একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। বেশ ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে রেসিপিটি।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা আপু।ওহ কবিতাও বেশ সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে রেসিপিটি ইউনিক করার চেষ্টা করেছি।আর এই ইউনিক পিঠার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ♥♥
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। বাহ্! বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো আপু। ভাপা পিঠা তো অনেক খেয়েছি,তবে ভিন্ন ধরনের এমন ভাপা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। পিঠা গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। চমৎকার রেসিপির সাথে দারুণ একটি কবিতাও শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে একটি ইউনিক ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করতে।পিঠাটি যেমন আকর্ষণীয় হয়েছে তেমনি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত।♥♥
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার পিঠা দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। শীত মানেই হলো পিঠা পুলির সমাহার। ধন্যবাদ আপু মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু অনেকদিন হয়ে গেল শারীরিক অসুস্থতা এবং আরো নানা কারণে আমি কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারছিলাম না।যাই হোক এবার কষ্ট করে হলেও অংশগ্রহণ করতে পেরেছি এজন্য অনেক ভালো লাগছে।
উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ♥♥♥
আপু আপনার রেসিপিটি অনেক ভালো লেগেছে। আমার কাছে রেসিপিটি ভিন্ন ধরনের ভাল লেগেছে। বেশ মজার করে নারকেল পুর তৈরি করেছেন। আবার সুজি দিয়ে আপনি সুন্দর করে পিঠা গুলো তৈরি করলেন। নিশ্চয় খেতে অনেক ভালো লাগবে পিঠার কালার দেখে বুঝা যাচ্ছে। অনেক সুস্বাদু একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন ধন্যবাদ।
পিঠা সাধারণত আমরা আটা বা চালের গুড়া দিয়ে করে থাকি। আমি একটু ব্যতিক্রম করে সুজি দিয়ে করার চেষ্টা করেছি।সুজি এভাবে রান্না করে খেতে এমনিতেও আমাদের অনেক ভালো লাগে। আর সেটা পিঠা হলে তো মন্দ হয় না।বেশ মজা হয়েছিল খেতে।।আর দেখতেও হয়েছিল আকর্ষণীয়।♥♥
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই রেসিপিটি আমি অবশ্যই ট্রাই করে দেখব। বেশ সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। আমার কাছে নারকেল এভাবে ভেজে পুর তৈরি করে সেগুলো দিয়ে পিঠা তৈরি করলে খুবই ভালো লাগে খেতে। তবে এভাবে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। সুন্দর রেসিপির সাথে এত সুন্দর কবিতাও শেয়ার করেছেন। দুটোই ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
খেতে অবশ্যই সুস্বাদু হয়েছিল।আর নারকেল এভাবে খেতে কার না ভালো লাগে। এভাবে করেই আমার নাড়ু তৈরি করি।খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল পিঠাটি খেতে।♥♥
প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন।ভাপাপিঠা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আর আপনার এই ভাপাটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন হয়ে গেল কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারি না নানাবিধো কারণে। এবার অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যি আমারও ভালো লাগছে।সুন্দর মন্তব্য করি উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ♥♥
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একদম ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই রেসিপি আপনি যেভাবে শেয়ার করেছেন এর দিকে তাকিয়ে থাকার পর মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ ইচ্ছে করছে এখনি এখান থেকে এটিকে নিয়ে খেয়ে ফেলি। যেভাবে আপনি এটি তৈরি করেছেন এবং ডেকোরেশন করেছেন তা একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে৷
সত্যি কথা বলতে এই পিঠাটি আমি প্রথম করেছি। এবং এতটা টেস্টি হবে আগে থেকে জানা ছিল না। খেয়ে প্রচুর তৃপ্তি পেয়েছি।আপনাকে খাওয়াতে পারলেও আমার খুব ভালো লাগতো।♥♥