ঢাকা শহরে সিয়ামের জন্য মেস খোঁজার অনুভূতি //
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা,, আজ বিকেলের পর থেকে ঢাকা শহরে সিয়ামের জন্য মেস খোঁজার অনুভূতি ;আপনাদের সামনে ব্যক্ত করব।আসলে আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে মা এবং সন্তানের সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে কোন কিছু দিয়ে এর তুলনা করা যায় না। আগামী 10 তারিখের পর থেকে সিয়ামের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।কিন্তু এখন পর্যন্ত থাকার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।তাই ছেলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে,, আজ আমার একটি স্পেশাল ট্রেনিং শেষ করার পর বিকেলে ওর জন্য মেস খোঁজার উদ্দেশ্যে রওনা হই।সিয়ামের খুব ইচ্ছে রামপুরা এবং বাড্ডার মধ্যে থাকার।সেখান থেকে ওর ভার্সিটি বেশ কাছেই হয় তাই।তাই প্রথমে বাড্ডার দিকে মেস খোঁজার জন্য বের হই।প্রথমে বাড্ডার সুপার হোস্টেল এ যাই।সেখানকার নিয়মকানুনগুলো জেনে নেই।এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে সিয়ামের সাথে শেয়ার করি।সব জেনেশুনে সিয়াম আরো কিছু মেস দেখার জন্য আমাকে বলে।কারণ সুপার হোস্টেল গুলোতে অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।তাছাড়া অগ্রিম জামানত হিসেবে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়।যা পরবর্তীতে ফেরত যোগ্য।সব কথা বিবেচনা করেই মূলত সিয়াম আরো অন্যত্র দেখার জন্য বলে।
সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাসা খুঁজতে খুঁজতে আরেকটি বাসায় সন্ধান পাই দক্ষিণ বাড্ডায়। সেখানে খুবই ছোট একটি রুম বলতে গেলে কবরের মতো।সেই রুমের ভাড়া শুনে আমি তো হতবাক হয়ে গেলাম। মনে হয় আকাশ থেকে পড়ে গেলাম। যেখানে একটি খাট বসাবার ও জায়গা নেই। যেহেতু সিয়াম নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে চেয়েছিল তাই অনেক ভালো করে রুমটি দেখলাম।এখান থেকে ওর ভার্সিটি খুব কাছেই হবে। যাই হোক সে রুমটি ও পছন্দ হলো না। আবারও হাঁটা শুরু করলাম। তাছাড়া ঢাকা শহরে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া পাওয়া খুবই কষ্টকর।সেই বিকেল 5 টা থেকে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত শুধু হেঁটে হেঁটে বাসা এবং মেস খুজতেছিলাম।এক পর্যায়ে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।কারণ গতকাল সারাদিন প্রায় সাড়ে 11 ঘণ্টা জার্নি করে,,সকাল থেকে ট্রেনিং করার পর এভাবেই হেঁটে হেঁটে বাসায় যা খুবই কষ্টকর তাছাড়া মাসের 4 তারিখ বলে আরো বেশী কষ্টকর।যাইহোক দক্ষিণ বাড্ডা কোনভাবেই বাসা খুঁজে পেলাম না।এবার গুদারাঘাট এসে ট্রলারে করে রামপুরা হাতিরঝিলে আসি।
ট্রলারে বসে হাতিরঝিল দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।তবে তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। সন্ধ্যেবেলায় হাতিরঝিল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।বেশ অনুভব করলাম।সেই সাথে বেশ উপভোগ্ করলাম।
তাছাড়া বোটে বসে হাতিরঝিলের ব্রিজ গুলো দেখতে ভারী চমৎকার লাগছিলো।সত্যিই আলাদা একটা ফিলিংস মনের ভিতর কাজ করতেছিল।আরে মনে মনে ভাবছিলাম যদি হাতিরঝিলের পাশে সুন্দর একটা বাড়ি পেতাম তাহলে সিয়াম খুব সুন্দর পরিবেশে থাকতে পারতো।
এরপর বোর্ড থেকে নেমে বেশ কয়েকটি বাড়ি দেখলাম তার মধ্যে একটি টু লেট চোখে পড়লে to-let এ ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে বাসার ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং সেই বাসায় সব ব্যাচেলর থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে সবাই আমাদের রংপুর দিনাজপুর এলাকার।সেখানে তিন রুমের প্রায় পাঁচ জন থাকে।একজন চলে যাওয়ার কারণেই টুলেট দেয়া।সেখানে সবার সাথে আলাপ করে খুব ভালো লাগলো।অবশেষে টাকা বুকিং দিয়ে আসলাম।বাশাটি নিরিবিলি এবং আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।মজার বিষয় ওখানে অভিভাবক তুল্য এক দাদাকে পেয়েছি।যিনি বাকি ছেলেদের মনিটরিং করে।অনেক খোঁজা খুঁজির পর অবশেষে হাতিরঝিলের সাথেই খুবই সুন্দর একটি বাসা পেয়ে গেলাম।খুবই মনোরম পরিবেশে।আপনারা সকলেই সিয়াম এর জন্য দোয়া করবেন ও যেন লেখাপড়া শিখে ভালো মানুষ হতে পারে।আর মা হিসেবে আমি আমার চেষ্টার ত্রুটি করছি না। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সবসময় প্রার্থনা করি আল্লাহ তুমি আমার সন্তানদের নেক ইচ্ছে গুলো পূরণ করো।
পরিশেষে সকল মেস মেম্বাারদের শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত এখানেই""
তবে আমার হাজারো কষ্টের সার্থকতা হবে সেদিন,, যেদিন- সিয়াম আমার স্বপ্নের মত হয়ে উঠতে পারবে
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু ব্যাচেলরদের ঢাকা শহরে থাকা খুবই কষ্টকর।ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালা রা কেউ মানুষি মনে করে না ব্যাচেলরদের । কারণ আমিও এর ভুক্তভোগী ছিলাম। হাতিরঝিল পরিবেশটা অনেক সুন্দর আপনার সারাদিনের কষ্ট সার্থক যে অবশেষে বাসা খুঁজে পেয়েছেন। আর সিয়ামের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ব্যাচেলর বাসা খোঁজা সত্যি অনেক কষ্টে তারপরও সন্তানের জন্য এততোটুকু কষ্ট করতেই হয়।।
Hi, @selinasathi1,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP