আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে "শিপুকে" আন্তরিক অভিনন্দন♥♥
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।♥♥
বন্ধুরা লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। শিপুর জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায় এর রেজাল্ট হল আজ। আলহামদুলিল্লাহ এবার এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ 5 পেয়েছে আমাদের সোনা মনি শিপু। শিপুর এই রেজাল্টে আমি অনেক খুশি। কিন্তু, শিপু ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বলেছিল মা ইংরেজি পরীক্ষায় আমার প্লাস থাকবে। কারণ পরীক্ষা আমি খুবই ভালো দিয়েছি। মজার বিষয় হচ্ছে সেই ইংরেজি পরীক্ষায় প্লাস আসেনি। তবে অন্য দুইটা পরীক্ষা ওর খারাপ হয়েছিল বলে মন অনেক খারাপ ছিল। অথচ ওই দুটো পরীক্ষায় সহ সব বিষয়ে প্লাস এসেছে। শুধু ইংরেজি ছাড়া। বিষয়টি কেমন লাগে একবার ভেবে দেখুন।
যাক সেসব কথা। গতকাল রাতে অনেক ছটফট করে কাটিয়েছিলাম। আজ শিপুর রেজাল্ট হবে বলে। কিন্তু সকাল থেকে কেমন যেন লাগছিল। অনেক বেলা করে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে জাস্ট ভাত বসিয়েছি।আর এক কাপ চা বানিয়েছি আমি নিজে খাওয়ার জন্য।আমি যখন এ কাজগুলো করছিলাম তখন আমার ফোন চার্জে দেয়া ছিল ঘরের মধ্যে।চা বানানোর পর যখন খেতে বসবো তখন হঠাৎ মনে হল শিপুকে একটা কল দেই। ঘরে ফোন নিতে এসে দেখি শিপু কল দিচ্ছে।যেহেতু আমার ফোন সাইলেন্ট মুডে ছিল তাই বুঝতে পারি নাই। সিপু ফোন ধরেই বললো কেমন আছো মা? কতবার তোমাকে ফোন দিলাম হোয়াটসঅ্যাপে তোমাকে আমার রেজাল্ট পাঠিয়েছি দেখো,, ওকে বললাম কি রেজাল্ট করেছোএকটু বল।ও বলল তোমাকে পাঠিয়েছি তুমি দেখো। তখন দেরী না করে আমি হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে ওর রেজাল্ট শীট টা দেখলাম। ওর রেজাল্ট দেখে আমি অভিভূত হয়েছি এবং অভিনন্দন জানানোর ভাষা ঠিক সেই মুহূর্তে ভুলে গেলাম।কারন আমার বড় বোনের মেয়ে শ্যামা এবং মেজ ভাইয়ের মেয়ে তামান্না ওরাও পরীক্ষা দিয়েছিল তখন মরিয়া হয়ে উঠলাম তাদের রেজাল্ট শোনার জন্য।দুজনকে কয়েকবার করে কল দিয়ে পেলাম কিন্তু তখন পর্যন্ত তারা ওদের রেজাল্ট পাইনি।বেশ কয়েকবার ফোন দিছিলাম।
পরবর্তীতে আমি ওদের রোল নাম্বারের ছবি তুলে রেখেছিলাম। সেই ছবিগুলো সিয়াম এর কাছে পাঠিয়ে দিলাম। রেজাল্ট জানার জন্য। অতঃপর সিয়াম এর কাছে তাদের রেজাল্ট জানতে পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ তারাও বেশ ভাল রেজাল্ট করেছে। কিন্তু তারা শিপুর মত করতে না পারায় তাদের মন অনেক খারাপ। এখন একই পরিবারে তিনটি বাচ্চার মধ্যে দুইটি বাচ্চার মন খারাপ থাকলে কি আর ভালো লাগে বলুন।এক পর্যায়ে শ্যামা এবং তামান্না দুজনের সাথে দেখা করে বুঝিয়ে, শুনিয়ে এরপর বাসায়এলাম। পাড়া প্রতিবেশি সবাই ধরেছে ঝাল খাবে, কেউ মিষ্টি খাবে। এ রকম অবস্হাা যাই হোক আজ শুধু শিপু এবং ওর বন্ধুদের মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য টাকা পাঠিয়েছি। সকালে প্রতিবেশিদের মিষ্টি খাওয়াব ঠিক করেছি।
আমার খুব ইচ্ছে ছিল এক ছেলে ডাক্তার হবে আর এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে।আলহামদুলিল্লাহ সিয়াম প্রায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথে।আর শিপু হবে ডাক্তার এই ছিল আশা। কিন্ত মজার বিষয় হল শিপু ডাক্তার হতে চায়না। সে ও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।এখন আমি ওর ইচ্ছের কাছে অসহায়। কারন ওর ভালটা ও ভালই বুঝে। বায়োলজি সাবজেক্ট ওর ভালো লাগেনা।
মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কোন প্রিপারেশন না থাকলেও সে মেডিকেলে পরীক্ষা দেবে শুধু আমার জন্য। ওর খুব ইচ্ছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়বে। আপনারা সকলেই ওর জন্য দোয়া করবেন ও যেন ওর স্বপ্ন কে ছাড়িয়ে যেতে পারে।এবং নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠি করতে পারে। পরিশেষে আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আপনারা সেই পরীক্ষার আগে থেকেই শিপুর জন্য অনেক শুভকামনা, অনেক দোয়া, এবং ভালোবাসা দিয়েছেন। আসলে আপনাদের ভালবাসায় আমি অভিভূত। আমি মুগ্ধ।আর তাইতো আমার বাংলা ব্লগের একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে,,,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে শিপুকে আন্তরিক অভিনন্দন♥♥
অনেক বড় হবিরে তুই
এই দোয়াটাই করি,
সফল তোকে দেখতে পেলে
শান্তি পাব মরি,,,
আমার কষ্ট সার্থক হবে
তোদের প্রচেষ্টায়,
মনের ভিতর এই বিশ্বাস
আছে স্রষ্টায়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
শিপুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। ভালো রেজাল্ট করলে বাড়ির সব লোকজন অনেক খুশি হয় এই সিচুয়েশনগুলো আমরাও দেখেছি বাড়িতে। মা বাবার সব থেকে বড় স্বপ্ন থাকে সন্তানের ভালো রেজাল্ট দেখা । এরকম একটা ভালো রেজাল্ট বাবা মা দেখতে পারলে বাবা-মার খুশির ঠিকানা থাকে না। এরপর ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করুক সেই প্রার্থনা রইল।
এটা ঠিক বলেছেন, রেজাল্টের উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করে যদিও রেজাল্টের উপর যোগ্যতা বিবেচনা করাটা অনেক বোকামী। তারপরও সমাজটা এরকম হয়ে গেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও আপু পার্সোনালি এটা বিশ্বাস করি না রেজাল্টের উপর মানুষের যোগ্যতা বিবেচনা যায়। তারপরও আমাদের সমাজে থাকতে হয় তাই সমাজের নিয়মেই চলতে হয়।
আলহামদুলিল্লাহ 🤲
শিপুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল 🥀
ওর ভালো রেজাল্টের খবরটা শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে। সে একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে ইনশাআল্লাহ।
মিষ্টির অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু ☺️
মিষ্টি খেতে হবে,আজ হ্যাংআউটে।ইনশাআল্লাহ শিপু ভালো কোন ভার্সিটিতে চান্স পেলে আরও বেশি খুশি হব।♥♥
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা শিপুকে।। ভবিষ্যত অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল হোক তোমার।
শিপুর সুন্দর আগামীর জন্য, এত চমৎকার মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য, অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় দাদা।♥♥
অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো শিপুর জন্য।মানুষের মত মানুষ হয়ে আরো অনেক বড় হবে এটাই দোয়া রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
শিপুকে ভাল রেজাল্ট করার জন্য অনেক অভিনন্দন। দোয়া করি তার ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল হোক। শিপু পরিশ্রম করেছে বলে আজ ভাল রেজাল্ট করেছে। আপু সে যেটাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে সেটাতেই পড়তে দিন। তারা দুই ভাই আপনার সম্মান রাখবে এই শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। শিপু যেটা পড়তে চায় আমার কোনো আপত্তি থাকবেনা। তবে আমার স্বপ্ন ছিল আমার এক ছেলে ডাক্তার হবে, আর একজন ইঞ্জিনিয়ার।♥♥
সত্যি বলতে গতকাল সিয়াম ভাইয়ের পোষ্টে দেখলাম ৷ অনেক ভালো লাগলো যে শিপু ভাই অনেক ভালো একটা রেজাল্ট করেছে ৷ আসলে পরিশ্রম কখনো বৃধা যায় না ৷ যেটা শিপু করেছে ৷ আপনার মুখে তার কথা অনেক শুনেছি ৷ তাই বুঝি মায়ের অনুভুতি টা কেমন ৷
তার জন্য রইল অনেক শুভকামনা ৷
এটা ঠিক যে পরিশ্রম কোনদিন কখনো বৃথা যায় না। তবে শিপু যথেষ্ট পরিমাণে পরিশ্রম করেছে। এবং সে লেখাপড়া ছাড়া কিছুই বোঝে না। ওর রেজাল্ট আরো ভাল হওয়ার কথা ছিল। যাইহোক যা হয়েছে আমরা অনেক খুশি।♥♥
কাছের মানুষ ভালো রেজাল্ট করলে আসলেই অনেক গর্ব বোধ হয়। দোয়া করি শিপু যেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে আর ভালো কোন ভার্সিটিতে এডমিশন নিতে পারে। দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আমার ছোট ছেলের জন্য অনেক দোয়া করবেন সে যেন ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।।
জী আপু শিপু ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন রইল। শিপুর উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ছেলে মেয়েদের যে কোন সাফল্য মা-বাবাকে অনেক খুশি করে। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, সে যেন ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এই দোয়াই করবেন।