꧁সাংস্কৃতিক উৎসবের অনুভূতি. ꧂☆
☆꧁সাংস্কৃতিক উৎসবের অনুভূতি. ꧂☆
꧁সাথী কাব্যে অনুভুতি ✍🏻 :꧂
আমি নীলাঞ্চলের কাব্যকন্যা
বাংলাদেশে বাস
নীলকুঠিরে বসে বসে
কাব্য করি চাষ।
নামটি আমার সেলিনা সাথী
কাব্যে বলে যাই,,
ভালো থেকো তোমরা সবে
এটাই শুধু চাই।
শুভেচ্ছাটা জানিয়ে এবার
ব্লগ করি শুরু,,
বন্ধুরা আজ নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব হয়ে গেল।।উৎসবে উৎসবে মুখরিত হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন।শৈল্পীক চেতনার মানুষগুলো উজ্জীবিত হয়েছিল এই উৎসবে।
নানা রকমের সংগীত,দেশাত্মবোধক আধুনিক, ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি জারি, সারি পল্লীগীতি লোকগীতি উজ্জ্বাঙ্গ সংগীত যন্ত্র সংগীত ও ফোক সংগীত। এছাড়াও রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতির উৎসব হয়েছিল এই উৎসবে। শিল্পীরা যেমন আনন্দ উল্লাসে ভরে উঠেছিল ঠিক তেমনি।উৎসব জনতারও ভিড় ছিল। দেখলেই মনে হতো এ যেন মহা উৎসব চলছে। এছাড়াও নানা রকমের সেলফি ফ্রেমের সাথে সবাই সেলফি তুলছিল প্রিয়জনদের সাথে।সত্যিই এ এক অন্যরকম ভালোলাগা।সকলের সাথে সকলে যেন মিলেমিশে একাকার হয়েছিলাম এই উৎসবে।
সাংস্কৃতিক উৎসবের সপ্তম দিনে ছিল কবিতা উৎসব।
কবিতা উৎসবের যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক সময়টা আমার অন্যরকম ভাবে কেটেছিল।প্রোগ্রাম শুরু হবে জাস্ট বিকেল চারটায়।সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের কবি সাহিত্যিক এবং আবৃত্তি শিল্পীরা উপস্থিত হয়েছিল।সেই সাথে উপস্থিত হয়েছিল নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির কবি সাহিত্যিক বৃন্দ।৩.৩০ এর মধ্যে আমার উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল।নীলফামারীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলানয়তনে। কিন্তু মজার বিষয় হলো আমি বেলা তিনটার সময় আলমারি খুলে শাড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম কোন শাড়িটা পড়ে যাব।বিশ্বাস করুন একটার পর একটা শাড়ি দিচ্ছি কোনটাও পছন্দ হচ্ছে না।এরপর ভাবলাম নীল রঙের শাড়িটাই পড়ি।যেই ভাবা সেই কাজ নীল রঙের শাড়িটা বের করে পড়তে শুরু করলাম।কিন্তু কি আশ্চর্য একা একা বরাবরই ভালো শাড়ি পড়তে পারতাম।কিন্তু গতকাল অনেক চেষ্টা করেও শাড়ির আঁচল ঠিক করতে পারছিলাম না।
এবার নীল শাড়িটা খুলে ফেলে আবার নতুন করে পেটিকোট ব্লাউজ পড়ে, খুবই চমৎকার একটি সাদা শাড়ি পড়তে গেলাম।শাড়িটা খুবই চমৎকার করে পড়লাম।কচি এবং আঁচল টাও ঠিক করে নিলাম।এমন সময় হঠাৎ চোখে পড়লো সাদা শাড়িতে অনেক বড় একটা দাগ।যেটা আগে চোখে পড়েনি।কি আর করা এবার সাদা শাড়িটাও খুলে ফেললাম।এদিকে 3:30 পেরিয়ে গেছে।ডিজে তাড়াহুড়া করতে লাগলাম।এদিকে সব কবি সাহিত্যিকরা বারবার ফোন দিচ্ছিল।
কারণ সেখানে রেজিস্ট্রেশনের একটি বিষয় ছিল।
এবার আলমারি থেকে ঝটপট একটি লাল রঙের শাড়ি বের করলাম।এবং তাড়াহুড়া করে যেমন তেমন করেই পড়ে ফেললাম।কারণ এবার আর বদলানোর উপায় নাই।ঘড়ির কাটায় সময় দেখছি,আর তাড়াহুড়া করে শাড়ি পরছি।যাইহোক এবার খুব কম সময়ের মধ্যে শাড়িটা পড়ে ফেললাম।যদিও শাড়ি পরাটা তেমন সুন্দর হয়ে ওঠে নাই।এরপর তাড়াহুড়া করে মাথার চুল গুলো বেঁধে নিলাম।আমার খুব প্রিয় একটি মালা আছে,সেটাও গলায় পরিয়ে নিলাম।ঠোটে হালকা লিবিসটিক নিলাম। এবং বাসা থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম।বাসা থেকে শিল্পকলা যেতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগলো।শিল্পকলায় পা দিতে না দিতেই সবাই আমাকে সেই ভাবে ধরল।এত দেরি কেন এত দেরি কেন আপা আপনার এত দেরি তো হয় না কখনো।যাইহোক আসল কারণটা তাদেরকে বোঝাতে পারলাম না যে আমার শাড়ি পড়তে আজ কত কষ্ট হয়েছে। তবে অনেকেই বলছিল লাল শাড়িতে আমাকে দারুন মানিয়েছে।
যাইহোক এবার যথা নিয়মে প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেল।নীলফামারীতে যতগুলো সংগঠন আছে সবচেয়ে বেশি ছিল নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির কবি সাহিত্যিক শিল্পী বৃন্দ।এবং নীলফামারী সাহিত্য একাডেমি এই নামটি সবার মুখে মুখে।সবার মুখে এই নামটি শুনতে পেয়ে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল আমার মনে।এক অন্যরকম অনুভূতি যা বলে বোঝানো যাবে না। তবে একে একে সব সংগঠনের। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল সবাই একে একে কবিতা পাঠ করলেন।সকলের কবিতা প্রায় অনেক ভালো ছিল।শিশু থেকে বৃদ্ধ এ যেন মহা উৎসব। সবার মুখে কবিতা শুনতে আমার কাছে সত্যিই খুব বেশি ভালো লাগছিল।
আসলে এই অনুভূতিগুলো এমন এক অনুভূতি যার হৃদয়ে দোল খায় বারবার।উৎসব গতকাল শেষ হয়ে গেছে।।শেষ হওয়ার পরেও আমার মনের ভেতর যে অনুভূতি কাজ করছিল সেটা নিয়েই খুবই চমৎকার একটি ছড়া লিখে ফেললাম ঝটপট।আর এই ছড়াটির সাথে সাথেই আমার আজকের অনুভূতি এখানেই শেষ করছি।তবে এই উৎসবের নানা আয়োজন নিয়ে আবারো ফিরে আসব আগামী পর্বে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানে আল্লাহ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: অনুভুতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......