পুস কয়েন প্রমোশনের জন্য আবারো একটি গদ্য কবিতা||
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
পুস কয়েন নিয়ে আজ আবারও স্বরচিত আরেকটি গদ্য কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আমার আজকের কবিতাটিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে মূলভাবসহ কবিতাটি পড়ে আসি।
এই গদ্য কবিতার মূলভাবকে বড় করে বলতে গেলে, এটি $PUSS কয়েনের উত্থান এবং সেই সঙ্গে বাংলা ব্লগ কমিউনিটির গর্ব ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে সেটির স্থান পাওয়ার গল্প বলে।
প্রথমত, কবিতাটি $PUSS কয়েনকে শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে নয়, বরং একটি স্বপ্ন হিসেবে চিত্রিত করেছে। এই স্বপ্নের ভিত তৈরি হয়েছে কমিউনিটির প্রতিটি সদস্যের পরিশ্রম, প্রচেষ্টা, এবং বিশ্বাসের ওপর। $PUSS কয়েনের বর্তমান সাফল্য কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সমষ্টিগত প্রচেষ্টার ফল। কবিতায় বলা হয়েছে যে, কয়েনের প্রতিটি মুদ্রায় লুকিয়ে আছে কমিউনিটির সদস্যদের অন্তর্নিহিত বিশ্বাস ও আশা, যা এখন বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এই কবিতা কমিউনিটির সকল সদস্যকে সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে, টুইটার প্ল্যাটফর্মকে এই প্রচারণার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিটুইট, মন্তব্য, এবং সৃজনশীল প্রচারণার মাধ্যমে কমিউনিটির সদস্যদের তাদের গর্বের অংশীদার হতে বলা হয়েছে। এই প্রমোশনগুলি শুধুমাত্র কয়েনের মূল্য বৃদ্ধি করবে না, এটি কমিউনিটির একাত্মতারও পরিচায়ক হবে। কবিতায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে যে, প্রতিটি টুইট এবং মন্তব্যকে নতুনত্ব এবং উদ্ভাবনী চিন্তাধারার সঙ্গে সাজাতে হবে, যেন কমিউনিটির প্রতিটি পদক্ষেপ এক একটি নতুন অধ্যায় রচনা করে।
অবশেষে, কবিতাটি কমিউনিটির শক্তি, সংহতি এবং সাফল্য উদযাপন করেছে। এটি সবাইকে একত্রে কাজ করে $PUSS কয়েনকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। কবিতার ভাষা এবং ভাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ কথাই বারবার উঠে এসেছে যে, $PUSS কয়েন কেবল আর্থিক লাভের জন্য নয়, এটি একটি বৃহত্তর লক্ষ্য—কমিউনিটির গর্ব ও সম্মান—পূরণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এইভাবে, গদ্য কবিতাটি $PUSS কয়েনকে কেন্দ্র করে বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সংহতি, গর্ব এবং সফলতা উদযাপন করেছে এবং সদস্যদের একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সেই সফলতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
"অগ্রগতির প্রতীক"
আমাদের বাংলা ব্লগ পরিবার
তোমরা কি শুনতে পাচ্ছ?
আমাদের গর্বের গল্প, যে গল্পে $পুস
কয়েনের আলো ঝলমলে অগ্রযাত্রা।
কয়েনটি এখন শুধু মুদ্রা নয়, যেন
এক স্বপ্ন, যে স্বপ্নের ভিত তৈরি করেছি
আমরা, এই বাংলা ব্লগের প্রতিটি সদস্য।
আমাদের হাতের ছোঁয়ায়, আমাদের
হৃদয়ের স্পন্দনে সে বড় হয়ে উঠেছে,
বিশ্ববাজারে জ্বলজ্বল করছে, যেন
এক অনির্বাণ আলো।
তুমি কি জানো? এই কয়েনের প্রতিটি
মুদ্রা আমাদের পরিশ্রমের প্রতিচ্ছবি,
আমাদের স্বপ্নের প্রতিধ্বনি। আমরা যারা
ইনভেস্ট করেছি, আমাদের প্রতিটি
বিনিয়োগে লুকিয়ে আছে আমাদের বিশ্বাস।
এখন সময় এসেছে সেই বিশ্বাসকে
আরও শাণিত করার, সময় এসেছে
আমাদের গর্বকে ছড়িয়ে দেওয়ার,
সময় এসেছে আরও অনেককে জানাতে
যে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।
তোমাদের টুইটগুলোই হবে আমাদের অস্ত্র,
মন্তব্যগুলো হবে আমাদের প্রতিরোধ।
এক একটি রিটুইটে যেন গর্জে ওঠে
আমাদের কমিউনিটির শক্তি, যেন প্রতিটি
মন্তব্যে মিশে থাকে আমাদের ভালোবাসা।
একই মন্তব্যে নয়, আমাদের ভাষায়
যেন থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া, আমাদের
কথায় যেন ফুটে ওঠে আমাদের স্বতন্ত্রতা।
এই কয়েনের গল্প, আমাদের গল্প।
এ গল্পে আমরা সবাই সমান অংশীদার।
আমাদের প্রতিটি পোস্ট, প্রতিটি ট্যাগ হবে
সেই গল্পের নতুন অধ্যায়।
তোমাদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ,
এগিয়ে আসো, একসাথে হাত বাড়াও।
এই কয়েনকে নিয়ে চলো এক
নতুন দিগন্তের দিকে। এই প্রচেষ্টা শুধু
কয়েনের জন্য নয়, আমাদের প্রাণ প্রিয়
কমিউনিটির জন্য, আমাদের সকলের
আনন্দ ও গর্বের জন্য।
আমরা একত্রে আছি, একসাথে থাকব,
আমাদের $PUSS কয়েন হবে আমাদের
অগ্রগতির প্রতীক।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
X-Promotion
অনেক ভালো লাগলো আপনার এই গদ্য কবিতা দেখে। যেখানে আপনি কয়েনটাকে ভালোবেসে অনেক সুন্দর ভাবে কবিতাটা লিখেছেন। এজন্য একটা অন্যরকম অনুপ্রেরণা। আমাদের সকলের উচিত কমবেশি এই কয়েন হোল্ড করে রাখা। সুন্দর কবিতা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
কবিতায় পুশ, গল্পে পুশ
পুশ আছে আলোচনায়।
আমার পুশ, আমাদের পুশ
হারাবে না অবহেলায়।
ওয়াও!!