আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৫ ||"রসুন- জলপাইয়ের" স্বাস্থ্যসম্মত মুখরোচক আচারের রেসিপি- ~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
প্রিয় আচার প্রেমী বন্ধুরা। আমার বাংলা ব্লগের আচার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনাদেরকে আচারিয়ান ঝাল টক মিষ্টি শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজকের আচার প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য রসুন ও জলপাইয়ের সুস্বাস্থ্য কর মজাদার মুখরোচক আচারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।শুরুতেই অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই,, আমাদের সকলের অতি প্রিয় @hafizullah ভাইকে। তিনি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের মুখে রুচি ফিরিয়ে আনার জন্য পছন্দের আচারের রেসিপি এর কনটেস্টের আয়োজন করেছেন। সত্যিই এই চমৎকার কনটেস্টের কথা শোনার পর থেকেই ভাবছিলাম এমন একটি আচারের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যেটা থাকবে ঔষধি গুণসম্পন্ন, লোভনীয় ও মুখরোচক।
তাই তো বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য অত্যন্ত উপাদিও এবং সুস্বাস্থ্যকর ঔষধি গুণসম্পন্ন রসুন এবং জলপাইয়ের লোভনীয় ও মুখরোচক আচারের রেসিপি- নিয়ে এলাম।বন্ধুরা আমরা প্রত্যেকেই প্রায় রসুনের গুনাগুন এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবগত আছি।তবে আমি বিশ্বাস করি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে দেখে এবং পড়ে থাকেন তাহলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। খুবই চমৎকার স্বাস্থ্যকর একটি আচারের রেসিপি।আজকের আয়োজন আপনাদের জন্য।আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এই অ্যান্টিবায়োটিক রসুনে আছে -রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।যক্ষা প্রতিরোধক উপাদান।হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করন।।কফ জমে যাওয়া থেকে মুক্তি।রক্ত পরিষ্কার রাখার উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান।ত্বকের যত্নে বিশেষ উপকারিতা।হৃদরোগের জন্য ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন করে এই রসুন।কাটা ঘা সারাতে ও বেশ ভূমিকা পালন করে রসুন। সেইসাথে জলপাই এর মধ্যেও কিন্তু পুষ্টিগুণ ক্ষমতা অনেক।তাইতো পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ 2 টি উপকরণ দিয়ে আজকের এই আচার আমি তৈরি করেছি সকলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তো চলুন শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।
♦রসুন
♦জলপাই
♦কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, সরিষা, কালো জিরা, পাঁচ ফোড়ন, লং,ধনিয়া।
♦লেবুর রস
♦তেঁতুলের রস
♦ ভিনেগার
♦আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, লবণ, সরিষার গুঁড়া, জিরাগুড়া, বিট লবণ, লাল মরিচের গুড়া সরিষার তেল।
♦প্রথমে রসূল গুলোকে এভাবে ছিলে নেই। এবং জলপাইগুলো ঠিক এভাবে কেটে নেই।এবার জলপাই এবং রসুন গুলো খুব ভালোভাবে ধুয়ে একটা পরিষ্কার পাত্রে পানি নিংড়ে নেই।
♦এবার জলপাইগুলো একটি পাত্রে করে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে হালকা সিদ্ধ করে নিই।হালকা সিদ্ধ হয়ে গেলে এরপর একটি ঝগড়ার মধ্যে পানি নিংড়ে নেই।
♦এবার পাঁচফোড়ন, ধনিয়া, কালোজিরা,শুকনা মরিচ এগুলো একটু ভালভাবে ভিজিয়ে নিয়ে গুড়ো করে নেব।
♦এবার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসে তাতে সরিষার তেল ঢেলে দেই।
♦এবার তেল গুলো একটু গরম হয়ে গেলে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দেই।
♦এবার শুকনো মরিচ দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট মসলাগুলো একটু তেলে ভেজে নেব।
♦এরপর রসুন গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে ভেজে নেই দুই মিনিট।
♦একে একে এই সবগুলো উপকরণ ঢেলে দিয়ে ভাল করে মেখে নেই।।
♦সবগুলো উপকরণ দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ভেজে নেওয়ার পরে,,,,,
♦এবার সেদ্ধ করে জলপাইগুলো দিয়ে একটু ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নেই।
♦এক কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নেই। যাদের চিনি খাওয়া বারণ সেক্ষেত্রে তাদের চিনি স্কিপ করলে ভালো হয়।
♦এ পর্যায়ে তেঁতুলের রস এবং লেবুর রস দিয়ে দেবো।
♦এরপর আর চারদিকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ভিনেগার দিয়ে দেব।এবং আর দুই থেকে তিন মিনিট ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে দেব এবং লক্ষ্য রাখবো নিচে যেন পুড়ে না যায়।
♦দেখুন আমার আচার কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে রসুন গুলো সিদ্ধ হয়েছে কিন্তু গোটা গোটা আছে দেখতে দারুণ লাগছে তাইনা।
♦এবার আচারগুলি চার থেকে পাঁচ দিন রোদে শুকিয়ে। কাচের বইযমে করে সংরক্ষণ করতে হবে। এই আচারটি এক বছর পর্যন্ত খাওয়া যাবে নির্দ্বিধায়।তবে মাঝে মাঝে আচার রোদে দিলে আচার গুলো খুবই ভালো থাকে।
বন্ধুরা রান্না শেষ করেই কিছুক্ষণ পর আমি এবং আমার মা একসাথে এই আচার টেস্ট করেছিলাম। খেতে দারুন হয়েছে। রসুনের আচার এত টেস্ট। আগে কখনো বুঝি নাই। এত চমৎকার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। আমার মা তো সেই প্রশংসা করল আমার। সেই সাথে আমার বড় দুলাভাই ও আমার যে তারিফ করল। যে প্রশংসা করল,, তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। সত্যিই এই রেসিপিটি বাসায় করে খাবেন। অনেক মজা পাবেন। অনেক মুখরোচক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তবে এই আচারটা করতে আমার বেশ সময় লেগে গেছে বুঝতেই পারছেন।রসুনের সাল ছেলা মসলা বাটা অনেক কাজ।এত কাজ করেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম এটাই আমার কাছে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ওয়াও অসাধারণ এক নতুন ইউনিক রেসিপি ৷ রসূন ও জলপাই একসাথে আসলেই রসূন তো শরীরের জন্য প্রধান বলে মনে করি ৷ রসূন শরীরকে সবসময় ভালো থাকতে সতেজ ও রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে ৷ আর আচার আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকার ৷ টক হলো ভিটামিন সি ৷
যা হোক আপনার করা এই নতুন ইউনিক রেসিপি রসূন ও জলপাই একসাথে অনেক সুন্দর দেখতে ৷ মনে হয় অনেক টেস্ট হয়েছে ৷
ধন্যবাদ আপু
এই আচারটি খেতে অনেক টেস্টি এবং সুস্বাদু হয়েছে। যা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।♥♥
দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আম্মু, আমার জন্য একটু রেখে দিও, বাসায় গেলে খাব। উপস্থাপনাটি ও অনেক ভালো হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। অবশ্যই তোমার জন্য রাখবো। তুমি বাসায় এসে খাবে।
♥♥
রসুনের সাথে জলপাই রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুস্বাদু আচার রেসিপি তৈরি করলেন। আচার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আচার দেখলেই জিভে জল চলে আসে বেশিরভাগ মানুষের। খেতে তো ইচ্ছে করবেই। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
আমি অনেকবার রসুনের আচার খেয়েছি। তবে কখনো রসুন জলপাইয়ের মিক্সড আচার খাইনি। আপনার রেসিপিতে রসুন জলপাইয়ের মুখরোচক আচার দেখে খুবই খাওয়ার লোভ হচ্ছে। আচার দেখলে এমনিতেই জিভে জল চলে আসে। আর আপনি তো খুবই ইউনিক একটি আচার রেসিপি শেয়ার করেছেন। সত্যিই আপু আচারের কালার দেখে লোভ সামলানো বড় দায় হয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ভিন্ন ধরনের আচার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সফল হোক এই কামনা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি বলেছেন আমি ইউনিক একটি আচার তৈরি করেছি। কারণ এর আগে কখনো রসূনের সাথে জলপাইয়ের আচার আমি করিনি। এটাই প্রথম। খেতে কিন্তু দারুন টেস্টি হয়েছে।♥♥
আমি আলাদা আলাদ আচার টেস্ট করেছি কিন্তু একসাথে কখনো এভাবে আচার খাওয়া হয়নি। আমার মনে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার আচারের কালার খুব সুন্দর এসেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। মজাদার আচার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপুমণি মিক্সড আচার আমিও এবার প্রথম করেছি। তবে খেয়ে দেখলাম দারুন টেস্টি হয়েছে। বাসায় ট্রাই করবেন কেমন।♥♥
আপু আপনার পোস্টটি যখন পড়ছি তখন বারবার জিভে পানি চলে আসছে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি তো দেখি রসুন নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন, রসুনের অনেক গুনাগুন ও কার্যকারিতা উল্লেখ করেছেন যা আসলে আমাদের সকলের উপকারে আসবে। চমৎকার ও লোভণীয় একটি আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এতটা নিখুঁতভাবে করেছেন যা সত্যি প্রশংসনীয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতটা ইউনিক একটি আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, সেই সাথে প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে রসুন আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশী কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যা আমরা অনেকেই অবগত নই। আর সে কারণেই মূলত আজকে আমি এই আয়োজনটি করেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
রসুন আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী তা আমার আগে জানা ছিল না। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং রসুনের কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আর রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। সব ধরনের আচরে রসুন ব্যবহার করি। তবে এতগুলো রসুন দিয়ে জলপাইয়ের আচার কখনো তৈরি করা হয়নি। একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপু মনি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। তবে অবশ্যই এই রকম রসুন ও জলপাই এর আচার করে খাবেন দারুণ লাগবে।♥
দেখে মনে হচ্ছে আচারটি খেতে বেশ মজা হবে। আমার আম্মাও এ আচারটি বানায় খেতে দারুন হয়। ধন্যবাদ আচারের রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মায়ের জন্য রইল অনেক ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা।♥♥
আমার দেখা একটি ইউনিক আচারের রেসিপি। অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। যেহেতু জলপাই খেতে অনেক মজা লাগে সেহেতু এই জলপাই আচার রেসিপিটা বেশ সুস্বাদু হবে। সেই সাথে রসুনের গুনাগুনের বিবরণ দিয়েছেন সবমিলিয়ে রসুন আর জলপাইয়ের কম্বিনেশন টা দেখে জিহ্বায় জল চলে আসছে।
এই ইউনিক আচারটি সত্যিই অনেক লোভনীয়। এবং অনেক মজাদার। আমি নিজের টেস্ট করে দেখেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
প্রথমে আপু, তোমাকে জানাই মন থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খুবই স্বাস্থ্যসম্মত একটি আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। জি আপু,ঠিক বলেছ রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আর জলপাইয়ে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। দুটি পুষ্টিকর উপকরণ দিয়ে খুবই সুস্বাদু আচার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো।তোমার আচার রেসিপি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে😋 ধন্যবাদ আপু ❤❤
আমার আচারের রেসিপি তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসার প্রিয় আপু। এভাবেই পাশে থেকো সব সময়।♥♥