সাহিত্যচর্চার খুঁটিনাটি♥ইতিকথা রস চর্চার"/১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।।
♥♥
সকলকে শুভেচ্ছা।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে সাহিত্যচর্চার খুঁটিনাটি থেকে,, রাস চর্চার ইতিকথা স্বল্প পরিসরে তুলে ধরবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং সাহিত্যচর্চা কে আরো সমৃদ্ধিশালী করবে বলে আমার বিশ্বাস।তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।
♥♥
"ইতিকথা রস চর্চার"
অলংকার রস সৃষ্টির অন্যতম উপায়।যারা সাহিত্যচর্চার সাথে আছি,,তাদের মনে রাখা জরুরী যে,,একজন কবির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত-রস সৃষ্টি।সুন্দর ও সরস বাক্যের সাহায্যে বক্তব্যকে রসোত্তীর্ণ করে তোলা।সেই রস সৃষ্টির অনিবার্য প্রয়োজনে-সাহিত্যিক এবং শিল্পীরা অলংকারের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন।যদিও সৃষ্টিশীল সাহিত্যিক ও শিল্পীদের হাতে অলংকারের ব্যবহার সহজেই অনেক বেশি পরিমাণে রসণীয় ও রসোত্তীর্ণ হয়ে ওঠে।
অলংকার হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-তাই বক্তব্যকে সরস সুন্দর রমণীয় ও রসোত্তীর্ণ করে তোলে অলংকার।এজন্য মনে রাখা দরকার যে কাব্য দেহের রস সৃষ্টির জন্য ছন্দের মত অলংকার এর ব্যবহার ও সব সময় যথার্থ অর্থে সঠিক, সুন্দর, সুসংগত ও সার্থক হওয়া বাঞ্চনীয়।তাই সাহিত্যিক ও শিল্পীদের চিন্তাভাবনা রসোত্তীর্ণ রূপ পাওয়ার জন্য একই প্রয়াসে কাব্যের সঙ্গে অভিন্ন ভাবে অলংকারের জন্ম নিয়ে থাকে।কাব্য রসোত্তীর্ণ হলেই তা কাব্য কারে গুণান্বিত হয়ে ওঠে। সেই আদিকালে বিশ্ব সাহিত্যে রসের উৎপত্তি।
রস কথাটির ব্যাপকার্থঃ
রস আশ্রয়ী মানব জীবনের বিচিত্র এই বিষয়াদি।বলা যায় যে রসের বাইরে জীবন যাপন করা প্রায় অসাধ্য ব্যাপার।খাওয়া -পরা, চলা -বলা, দেখা-শোনা, আনন্দ-উৎসব সুখ-দুঃখ, দুর্বলতা - বীরাত্ব ভোগ-উপভোগ ইত্যাদি।যাবতীয় বিষয়ে আমরা রসাশ্রয়ী।রস নির্ভর কখনো সচেতনভাবে আবার কখনো অচেতনভাবে মনের অগোচরে রস শব্দটির আভিধানিক অর্থে ব্যাপকতার মধ্যেই এই বক্তব্যের যথার্থতা খুঁজে পাওয়া যায়।
রসের এই বিচিত্র এবং ব্যাপক পরিধির মধ্যে আমাদের আলোচ্য বিষয় কেবল অলঙ্কারশাস্ত্র তথা সাহিত্যের সীমায় সীমিত রস নিয়ে সাহিত্য বা অলংকার শাস্ত্রের রসের চর্চা এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সুদীর্ঘকালের কবে থেকেই রথযাত্রা শুরু তার সঠিক করে নির্ণয় করা দুরূহ কাজ।
রূপ ও রসঃ
শিল্প কর্ম বা সাহিত্যের বীজ নিহিত শিল্পীর সৃষ্টিশীল কল্পনায়।সৃষ্টিশীলতার মাঝেই যত কল্পনা থাকুক না কেন তার পরিধি রোগ নির্ণীত।রূপ রস এর ধারক, বাহক এবং অংশগত সঞ্চালন।রূপ ও রস এর বিরোধ নেই বটে পার্থক্য আছে।রূপ ও রস এর যথার্থ সন্নিবেশে সম্ভব হয় না যদি অন্তর্নীল বুদ্ধির সম্পর্ক উপযোগ্যতা বিচার না করে রস অন্তর্নিহিত নয়। রুপে রস প্রকাশিত।রূপ ও রস এর পার্থক্য আছে বলেই জ্যামিতিক রেখা বিন্দু কোনগুলো গোলার্ধের নানা সমন্বয় ভিন্ন ভিন্ন ভাব,অনুভাব, বিভাব ও রস সৃষ্টি করতে পারে।
রস চর্চার বিশালতা ব্যাপক।আজ সেখান থেকেই সামান্য কিছু তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।আগামীতে আরো ব্যাপক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।কারণ লম্বা লেখা কেউ পড়তে চায় না।আজ এ পর্যন্তই সাহিত্যচর্চার খুঁটিনাটি নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসব আগামীতে আমি সেলিনা সাথী।♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
সাহিত্যের মধ্যে রস না থাকলে সাহিত্য মূল্যহীন। আসলেই আপনি একজন সাহিত্যিক এবং হাস্যরসাত্মক মানুষ। আপনার লেখা কবিতাগুলোর মধ্যে সাহিত্যের রস খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি রস ও রূপ নিয়ে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন যা থেকে অনেক ধারণা পেলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
খুবই মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে আমাকে আরো বেশি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত, করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ফুলেল শুভেচ্ছা♥♥
ঠিক বলেছেন আপু সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে ভাষা সহজ সরল এবং বোধগম্য না হলে সাহিত্যচর্চা কখনো সার্থক হয়না। আপনি একাধারে কবি ও সাহিত্যিক লেখার অত কিছু আমরা বুঝিনা সাহিত্য কর্মের ভালোটা আপনি খুব ভালো করে বুঝেন। তবে আমি এতটুকু বুঝি ভাষার প্রাণচাঞ্চল্য ও বোধগম্য নাহলে সেটা আর সাহিত্য কর্ম হয়ে উঠেনা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মূল্যবান কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।সেই সাথে সব সময় ভাল থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি♥♥
খুব সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করেছেন আপু। একদম ঠিক কথাই বলেছেন সাহিত্যচর্চার মধ্যে রস না থাকলে অবশ্যই সেটা মূল্যহীন হয়ে যাবে। আমি তো আপনার কবিতার অনেক বড় ফ্যান। আপনি যে কোন সময় যে কোন বিষয় নিয়ে সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখতে পারেন এটা আমাকে সত্যি মুগ্ধ করে। শুভকামনা রইল প্রিয় আপু🥰
সাহিত্য চর্চার মধ্যে রস তো থাকতেই হবে।রস ছাড়া কি আর সাহিত্য হয়।তবে বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন সবসময় এই প্রত্যাশা♥♥
আপনার সাহিত্য চর্চা বিষয়ক পোস্টটি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন আজকে। আপনার লেখাগুলো বরাবরের মতো নি খুব সুন্দর হয় এবং আজকের লেখায় সাহিত্য চর্চা নিয়ে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যা বলা বাহুল্য। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। হোক আপনার আগামীর পথচলা এই কামনা রইল।
আপনার ওয়াজ ও আগামী আরো বেশি সমৃদ্ধশীল হোক এটাই প্রত্যাশা করি আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে♥♥
বাহ,সাহিত্যচর্চার রূপ ও রস চর্চা সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন আপু।অনেক সময় আমরা এটি ভুলে যাই ,আপনি অল্প কথায় খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।