গল্প "মিষ্টি প্রেম" পর্ব ০৭।। সেলিনা সাথী।। 10% beneficially @shy-fox
ঢাকায় যে ম্যাডাম পার্লার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন হঠাৎ করে সেই ম্যাডাম মেঘকে ফোন দিলো। আসসালামুয়ালাইকুম ম্যাডাম
ওয়ালাইকুম সালাম
কেমন আছো মেঘ
ভালো ম্যাডাম তবে আপনাকে খুব মিস করছি। ম্যাডাম তোমার মাকে ফোনটা দাও তো,,
মাঃ হ্যালো বলে সালাম দিলেন সালামের উত্তর দিয়ে আপা কেমন আছেন।। ম্ভাযাডাম ভালো। মা মেঘ তো আপনার অনেক প্রশংসা করে। ম্যাডাম আমিও মেঘকে খুব পছন্দ করি। তাই বলছি ওকে কয়েকদিনের জন্য আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। ওকে পার্লারের কাজ টা ভালোভাবে শিখিয়ে দেই, অবশ্য কোন টাকা পয়সা লাগবে না কারণ ও আমার মেয়ের মত। ঠিক আছে ম্যাডাম আমি ওর ভাইদের সঙ্গে কথা বলি কেমন। ম্যাডাম ঠিক আছে বলে ফোনটা রেখে দিল। মা ছেলেদের সাথে কথা বললো ছেলেরা প্রথমে আপত্তি করলেও পরে রাজি হল মেঘ আবার ঢাকায় যাচ্ছে--
জয় ফোন দিয়ে মেঘকে বলেন মেঘ আর একবার আমার সঙ্গে দেখা করো শুধু একবার। মেঘ ঠিক আছে আমি আগামী পরশু ঢাকায় আসছি জয় সত্যিই খুব খুশি হলাম। ফোন রেখে মেঘ ভাবল আবারও দেখা হবে রুদ্রর সাথে কি যে ভালো লাগছে বোঝাতে পারবোনা রুদ্র রুদ্র আমি আবার তোকে দেখতে পাবো ভাবতে পারিস তুই একা একা কত কথা বলছে মেঘ। ঠিক এমন সময় এর রুদ্র ফোন দিল মেঘ আচ্ছা বলতো আমি যখন তোর কথা ভাবি আর ঠিক তখনই তুই আমাকে ফোন দিস কেন বলতো? রুদ্র কারণ আমি তোর ভেতরের বন্ধু যে। এটা আবার কেমন কথা ভিতরে বন্ধু আবার কেমন?? সেটা তুই বুঝবি না তোর বয়স কম তো তা।ই। মেঘ আমি পরশুদিন ঢাকায় আসছি বিকেল পাঁচটায় গাবতলীতে থাকবি বুঝলি রুদ্র সত্যি বলছিস
মেঘ হ্যাঁ সত্যি
রুদ্র ভীষণ খুশি হয়ে টিডিং টিডিং নাচতে লাগলো।
অপেক্ষার প্রহর শেষে গাড়িতে উঠলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় পৌঁছাল ঠিক পাঁচটায় মেঘ বাস থেকে নেমেই দেখে সামনে জয় দাঁড়িয়ে আছে মেঘের মনটা খারাপ হয়ে গেল। জয় মেঘকে বলল চল সামনে রেস্টুরেন্টে আগে হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নাও তারপর তোমার ম্যাডামের ওখানে আমি তোমাকে পৌছে দেব। মেঘ চারিদিকে তাকিয়ে রুদ্ধ কে খুঁজছে।। জয় তুমি কি কাউকে খুজছো? রুদ্র হঠাৎ এসে ওর সামনে দাঁড়ালো এবং বলল কেমন আছিস গাড়িতে কোন কষ্ট হয়নি তো!?
মেঘ না হয়নি। শোনো ও হচ্ছে জয় যার কথা আমি তোকে বলেছিলাম।
রুদ্রঃ আমি রুদ্র
আমি জয়
মেঘ-রুদ্র আমার বন্ধু
জয় তাই নাকি বলে মেঘ চল তো মাকে পৌঁছে দেই। বলে সে একটা সিএনজি ডাকলো মেঘ সিএনজিতে উঠে বসল পাশের জয় উঠে বসল।রুদ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে তো ঠিক আছে আবার দেখা হবে সিএনজি ছেড়ে দিলো।।
রুদ্র র মন খারাপ হয়ে গেল। মেঘ ওর সাথে কেন গেল সে কি বুঝতে পারে না আমি ওকে পছন্দ করি ইত্যাদি ইত্যাদি কথা ভেবে মন খারাপ করলো রুদ্র।
জয় সিএনজিটা ম্যাডামের বাসায় না থামিয়ে ওর বন্ধুর বাসায় নিয়ে গেল। মেঘ আরে এখানে থামালেন কেন তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে মেঘ না না ম্যাডামের ওখানে ছাড়া অন্য কোথাও আমি যাবনা। জয় দেখো ওখানে আমার বন্ধু আর ওর বউ থাকে তোমার কোন ভয় নেই। মেঘ আমাকে ম্যাডামের ওখানে নিয়ে চলো রাতে মা ভাই ম্যাডামের সাথে কথা বলবে। জয় চলো ভেতরে চলো হাতটা টেনে জোর করে বন্ধুর বাসায় নিয়ে গেল। আশ্চর্য!!
কথাগুলো রুদ্র অন্য একটা সিএনজি করে এসে দূর থেকে সব দেখতে পেল ফলে রুদ্র ভীষণ টেনশন ফিল করছিল আর মেঘের উপর ভীষণ রেগে যাচ্ছিলে। বারবার ফোন দিচ্ছে ফোন বন্ধ সেই দিন সারারাত রুদ্র রাস্তায় কাটিয়ে দিল হেঁটে হেঁটে আর দাঁড়িয়ে থেকে নিজের মাথায় চুল ছিরছে।এমন অবস্থা।।
মেঘ জয়ের বন্ধু ও ভাবির সাথে কথা বলে ফ্রেশ হয়ে এলো। জয় দেখো মেঘ আজ আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।। আজকের এই সুযোগটা মিস করতে চাইনা।। মেঘ কৌশলের তুমি তো আমাকে ভালোবাসো তাই না?
জয় হ্যাঁ অনেক ভালোবাসি তোমাকে মেঘ। তাহলে আমাকে আগে টেনশন মুক্ত করো তারপর অনেকদিন ঢাকায় আছি ভালো একটা দিন দেখে আমরা বিয়ে করে নেব কেমন।। জয় সত্যি বলছ। হ্যাঁ সত্যি দেখো এখন আমার ঘুমাবার ব্যবস্থা করে দাও আমার মাথা ব্যথা করছে জয় তুমি ভাবির সঙ্গে ঘুমাও। আর ভাবি খাওয়া-দাওয়া করে একসাথে ঘুমালো আর ওর বন্ধু আর জয় অন্য রুমে ঘুমালো। পর দিন সকালে নাস্তা খেয়ে জয় মেঘ কে নিয়ে ওদের ম্যাডামের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলো। দূর থেকে রুদ্র দেখতে পেয়ে ওদের পিছু যেতে লাগল।।।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Cc:
বিয়ে খাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্থাটা করে ফেইলেন।😋
অনেক সুন্দর লিখেছেন।একটা গুরুতবপূর্ণ মুহূর্তে এসে থেমে গেছেন। এর জন্য পরের অংশের জন্য ক্ষুদা ভের গেলো। খুব শীগ্রই পরের পর্ব চাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইল।
অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের দাওয়াত পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ♥
গল্প টা শুনে মনে মধ্যে প্রেম জাগ্রত হচ্ছে আপু🤣🤣অতিশিঘ্রই বিয়ে হবে আশা করি
দেখা যাগ কি হয়,,,,,
আপু আমি তো আগে থেকেই আপনার গল্পের জন্য পাগল৷গল্পটা পড়ে মজা পেলাম ৷ ধন্যবাদ আপু ভালোবাসা অবিরাম
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্পটির মন দিয়ে পড়ার জন্য তবে শেষ অবধি পড়লে আরো বেশি মজা লাগবে আর বেশি না হয়তো আর দু
এক পর্ব চালাতে পারব। শুভ কামনা
বেশ ভালোই লেগেছে ।সত্যিই আপনি অনেক গুনে গুণান্বিত। শুভেচ্ছা অবিরাম আপু।
ধন্যবাদ
লিখাটি পড়ে নতুন করে প্রেমে পরার স্বধ জন্মালো মনে হয়। গোলাপ প্রেম নাম দিলাম প্রেমের সুরকে
দেখতে দেখতে সাতটা পর্ব চলে আালো। কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অনেকগুলো পর্ব পড়তে পারি নাই। তবে আজকে পর্বটা বেশ সুন্দর ছিল। মেঘ আর জয় তাহলে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বিয়েতে কিন্তু আপু আমাদেরকে দায়াত দিয়ে ফ্রি ফ্রি খাওয়াবেন। খাবারের অপেক্ষায় রইলাম। অনেক সুন্দর ভাবে আপনে পর্বগুলো লিখে যাচ্ছেন। শুভ কামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আর বিয়ের দাওয়াত তো পাবেন ই।।
আপনার কণ্ঠ ও আপনার লেখা সবার মনকে জয় করে। অনেক সুন্দর করে লেখা গুলো লিখেছেন। শুভকামনা আপনার জন্য আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য