🇧🇩এবারের বিজয় দিবসের অনুভুতি🇧🇩||~~
🇧🇩এবারের বিজয় দিবস🇧🇩
বিজয় মাসের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।♥♥
🇧🇩এবারের বিজয় দিবস🇧🇩
বন্ধুরা, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে ১৫ ই ডিসেম্বর আমার ভাগ্নির শুভ বিবাহ হয়।বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে করতে প্রায় রাত দুইটা থেকে তিনটা বেজে গিয়েছিল।কারন আমার বড় বোন অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিল।তাই ওকে সামলিয়ে রেখে আসতে আসতে বাসায় প্রায় তিনটা ৩০ মিনিট হয়ে গিয়েছিল।এদিকে ১৬ই ডিসেম্বর ভোরবেলা সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পুষ্প মারল অর্থাৎ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে হয়।নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে এবার শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়েছিল।আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শান্তিপদ দাদাকে বলে রেখেছিলাম ভোরবেলা আমাকে একটা কল দিয়ে জেগে দেওয়ার জন্য।মেসেঞ্জারে মেসেজ করে দিয়েছিলাম।দুর্ভাগ্যের বিষয় দাদা সেটা দেখেনি।না দেখেই ভোরবেলা উঠে চলে এসেছে নীলফামারী সদর স্মৃতি অম্লান চত্বরে। এবং যখন আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আমি হাতে ফোনটা নিয়েই প্রথম দাদাকে কল করে জিজ্ঞেস করলাম দাদা আপনি কোথায় দাদা বললো আমি স্মৃতি অনলাইন চত্বরে।দাদা বললেন সবার পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়ে গেছে আপা আপনি কোথায়।আমি খুব দ্রুত আলমারি খুলে লাল সবুজ ড্রেস বের করে পড়লাম।মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ রেডি হলাম।এদিকে শীত ও ছিল পর্যাপ্ত।যাইহোক আমি যেতে যেতে আমাদের সংগঠনের প্রায় অনেকেই চলে এসেছে। এবং এখনো অনেক সংগঠন এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছে। আমরাও পুষ্প মাল্য নিয়ে সবাই একত্রিত হলাম।
এবার স্মৃতি অম্লাণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে সবাই সবার সাথে কয়েকটি সেলফি তুললাম।সেখানে অনেক পরিচিত মানুষ।সবার সাথে বিজয়ী শুভেচ্ছা বিনিময় এবং কুশল বিনিময় করতে করতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এবং সবাই সবার সাথে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা হাতে এগিয়ে আসছিল।শীতের সকালের লাল সবুজ ড্রেস পরে সবাই যেন উৎসবমুখর একটা পরিবেশ পেয়েছিল।ঈদের মতোই আনন্দ এবং খুশি লাগছিল মনে মনে।যাইহোক শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে আমরা একের পর এক সবাই মিলে একটি করে ফটোগ্রাফি করি।এবং ১৭ ই ডিসেম্বর আমাদের কাব্য বিকেল অনুষ্ঠিত হয় সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা করি সেখানে।ততখানি কোন দোকানপাট কিংবা হোটেল খোলেনি।তাই ইচ্ছে থাকা শর্তেও কাউকে নাস্তা খাওয়াতে পারলাম না।একপর্যায়ে সবাই সবার সাথে বিদায় নিলাম।এদিকে আমার মাথা ঘুরতেছিল ভীষণভাবে।কিন্তু কাউকে বুঝতে দিচ্ছিলাম না। তারপরেও দাদা মনে হয় একটু বুঝতে পেরেছিল আর সেজন্যই বলছিল আবার চলেন আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসি।অতঃপর দাদার সাথে আমি আমার বাসায় পর্যন্ত আসলাম।এসে দেখেছি আমি তখনো ঘুমাচ্ছে।খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়।বেশ কয়েকদিন ধরে বিয়ের ঝামেলায় কারোরই ঘুম হচ্ছিল না ঠিকমতো।
যাইহোক বাসায় আসতে না আসতেই আমার বড় বোন আবারো আমাকে ফোন দিয়ে ডাকে।সবাই এক সাথে নাস্তা খাওয়ার জন্য। যাহোক ভাষায় কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবারো দৌড় দিয়ে গেলাম বড় বোনের বাসায় সেখানে নাস্তা খেতে খেতেই আলোচনা হয় বউ আনতে যেতে হবে।কারা কারা যাবে কি কি নিয়ে যাবে এ নিয়ে আলোচনা হয়। যাই হোক সেখানে আবারও সিদ্ধান্ত হয় আমাকে যেতে হবে।এদিকে সন্ধ্যায় সিয়াম চলে যাবে ঢাকায়।কিরকম দৌড়ির উপরে ছিলাম বুঝতে পারছেন।ওদের বাসা থেকে বাসায় এসে গোসল করে রেডি হতে হতে।এবং সিয়ামের ব্যাগ গোছাতে গিয়ে ততক্ষণে ওরা সবাই গাড়ি নিয়ে আমার গেটের কাছে এসে দাঁড়িয়ে গেছে।কি আর করা সেই গাড়িতে করে চলে গেলাম মেয়ে আনার জন্য। সেখানে গিয়ে এদিকে রেডি করালাম।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খুব দ্রুত করে বাসায় চললে আসার জন্য রেডি হচ্ছিলাম কারণ সিয়াম ঢাকায় যাবে ওর সাথে দেখা করতে হবে।যাই হোক দ্রুত আসতে আসতে ওর গাড়ির সময় হয়ে গিয়েছিল।এরকম তাড়াহুড়া করে ওকে বিদায় দিতে গিয়ে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল।এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আরো অনেকগুলো প্রোগ্রামের ইনভাইট ছিল।কিন্তু কোথাও এটেন্ড করতে পারি নাই।বন্ধুরা এভাবে কেটে গেল এবারের বিজয় দিবস।সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানে ইতি টানছি আল্লাহ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: অনুভুতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......