꧁ কাব্য কথায় ✍🏻 অনুভূতি প্রকাশ :꧂
☆কাব্য কথায় উপজেলা সাহিত্য -মেলার অনুভূতি ☆
꧁ কাব্য কথায় ✍🏻 অনুভূতি প্রকাশ :꧂
বন্ধুরা আমি নীলাঞ্চলের সেলিনা সাথী বাংলাদেশ থেকে।। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। সুন্দর থাকবেন। সমৃদ্ধ হবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সাহিত্য মেলা। প্রথমে প্রতিটি জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মেলা। পর্যায়ক্রমে শুরু হয়েছে বিভাগীয় সাহিত্য মেলা।বিভাগীয় সাহিত্য মেলার পর প্রতিটি জেলার একটি উপজেলায় সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী জেলায় জলঢাকা উপজেলায় আগামী ২৭ এবং ২৮ তারিখ দুই দিন মেলার আয়োজন করেছেন, জেলা প্রশাসনের অধীনে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা সাহিত্য মেলায় অংশগ্রহণ করবে জেলা সদরেরও কবি সাহিত্যিক গন।
মজার বিষয় হলো অনুষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনায় ঠিক ছিলনা। তেমন কোন শৃঙ্খলা ও ছিল না। দারুণ অব্যবস্থাপনা ছিল। অনেক কবির মন খারাপ, আগে থেকে তালিকায় নাম থাকলেও সেই ফর্মে সাইন করতে পারে নাই অনেকে। কেউ বা আবার একটু দেরিতে আসার কারণে একজনের রেজিষ্ট্রেশন বাগিয়ে নিয়েছে আরেক জন। অথচ ১০টার প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে ১১ টায়। উপস্থিত থেকেও অনেকের'ই খাবার নেই, ব্যাগ নেই এমন কি আয়োজকদের আচারনগত সমস্যাও ছিল চোখে লাগার মত।। এছাড়াও ককবিদের জজন্য নিম্ন মানের উত্তরীয়, ছাড়াও কবিতা পাঠের আসরে যেন সবাই বক্তা,।কবিতা না পাঠ করে নিজের পরিচয় আর নীতিকথা শুনাতে ব্যস্ত ছিল অনেকেই। মনে হচ্ছিল মঞ্চে যে যায় সে বুজুর্গ আর সবাই মূর্খ। পাঠকৃত প্রবন্ধটিও ঠিক নেই। স্কাউটের বাচ্চাগুলো যারা দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের খাবার প্যাকেট ও দেয়া হয় নাই। তবে আমার কোন সমস্যা হয় নাই, অন্যের সমস্যা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। কয়েকজন স্কুল/কলেজ শিক্ষকও একই বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন এই সাহিত্য মেলায়। আমি একজন কবি, সাহিত্যিক এবং সসমাজকর্মী হিসেবে এটা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার কতৃক এই প্রোগ্রামের বাজেট অনুযায়ী ১৫০- ২০০ জন কবি সাহিত্যিকদের জন্য বরাদ্দ দেয়া আছে। তারপরেও সাহিত্য মেলাটি অনেকের মতে সফল ও সার্থক হয়নি। অর্থাৎ সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। এইসব দুর্নীতি অনিয়ম অন্যায় অবিচার মেনে নিতে আমার ভীষণ কষ্ট হয়। সেই মেলায় আমাকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমার জেলার সদরের অনেক কবি সাহিত্যিকদের সাথেই খুবই নিন্দনীয় আচরণের প্রভাব পড়েছে আমার উপর। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে একটি ছোট্ট কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
"সাহিত্য মেলা
🥀সেলিনা সাথী🥀
দেখে এলাম ভাই,,
এমন মেলা জীবনে তো
আগে দেখি নাই।
নীলফামারী সদর থানার
কবি সাহিত্যিক,
লাঞ্ছনারর"ই শিকার হয়
বড়ই মর্মান্তিক।
উপজেলার ভাব দেখে ভাই
বাঁচা বড় দায়,,
দুইশত জনের বাজেট ওর
সত্তুরজনে খায়।
ব্যাগ খাবারের টানাটানি
কি ভারি মুশকিল
কবিদেরকে ডেকে তারা
মনে দিয়েছে ঢিল।
সাহিত্যকে পাইনি মেলায়
তাই এসেছি ফিরে,
অন্যায় আর অবিচার হল
এই মেলাকে ঘিরে।
সাহিত্য মেলার সার্থকতা
পাইনি আমি খুঁজে
গুটি কয়েক হ্যাডম কেন
আসেনা তাই বুঝে-?
কবি হৃদয় প্রশান্ত হোক
এটাই করি আশা,
সবার প্রতি থাকুক সবার
নিবিড় ভালবাসা।
বন্ধুরা আশা করছি আমার কাব্য-কথায় সাহিত্য মেলার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার পরম পাওয়া।একরাশ মুগ্ধতা জানিয়ে আজকের মত এখানেই ইতি টানছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা সব সময়। আরে হ্যাঁ আমারা সকলে মনে রাখি, নিজের সম্মানীয় হতে চাইলে আগে অন্যকে সম্মান করতে হবে। ♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: কাব্য কথায় অনুভূতি প্রকাশ।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আপু আসলে মেলায় যদি শৃঙ্খলা না থাকে তাহলে কিন্তু ভালোই লাগে না। আরে মেলা কিন্তু সাধারণত এরকম হয়না। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি সম্পূর্ণ পরিস্থিতি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যা পড়ে অনেক কিছুই জানা গেল।
পুরো পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।♥♥