꧁:শিপুর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ꧂☆
꧁:শিপুর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনাদের সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা বন্ধুরা গতকাল আমি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় গিয়েছিলাম বিশেষ কাজে।সেখানে কাজ শেষ করে ফিরে আসতে আসতে, রাত প্রায় এগারোটা পেরিয়ে গেছে।এর মধ্যে সিয়াম এবং শিপুর সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে।
শিপু প্রতিদিন বিকেলবেলা নীলফামারী বড় মাঠে খেলতে যায়। বরাবরের মতো কালকে বিকেলেও সে খেলতে গিয়েছিল।কিন্তু ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠ পিছলা হওয়ার কারণে, তার একটি বন্ধুর বাহুতে লেগে সে ছিটকে পড়ে যায়।এবং হাতে ও বুকে প্রচণ্ড রকমের ব্যাথা পায়।এবং মাঠে অনেকক্ষণ শুয়ে ছিল।এরপর ওর বন্ধুরা ওকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছে।হাসপাতালে এমার্জেন্সিতে ডক্টর দেখে তেমন কোন মেডিসিন লিখে নাই।শুধুমাত্র একটা এক্সরে লিখে দিয়েছে।এবং এক্সরে রিপোর্ট দেখে এর পরে যথাযথ চিকিৎসা দেবে বলেছে। এমতাবস্থায় সে বাসায় এসে শুয়েছিল।একটিবারও আমাকে বুঝতেও দেয়নি।
আমি যখন বাসায় এসে দেখি ও ব্যথায় কাতরাচ্ছে তখন আমার কলিজাটা মুহূর্তের মধ্যেই উড়ে গেল মনে হচ্ছে।কি করবো না করবো দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম।যাইহোক প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং ব্যথা নাশক জেল তার ব্যথার জায়গা গুলোতে লাগিয়ে দেয়া হলো।এবং হালকা গরম শেক দিতে দিতে সে একসময় ঘুমিয়ে পড়ল।এবার আমি আমার রুমে এসে তারপর পোস্ট লিখে পোস্ট করি।পোস্ট লিখতে এবং করতে প্রায় সাড়ে তিনটা বেজে গিয়েছিল।
পর্যায়ক্রমে আজ আবারও ওকে ডাক্তার দেখালাম।আজকে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী এক্স-রে করা হলো।এবং এক্সরে রিপোর্টে ধরা পরল তার বাম হাতের সোল্ডারের হাড় ফ্যাকচার হয়ে গেছে।আর সে কারণেই তার তীব্রতর ব্যথা হচ্ছে।পরবর্তীতে ডাক্তার ১ মাস ফুল রেস্টে থাকতে বলেছে।এবং ১৪ দিন পর আবারো এই এক্সরেটা করে দেখতে বলেছে।একদিকে ওর ভার্সিটি ভর্তি নিয়ে আমি ভীষণ টেনশনে আছি।অপরদিকে শারীরিক এই অবস্থা দেখে আমি আরো বেশি মর্মাহত।তারপরেও মুখে হাসি নিয়ে ওকে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছি।ঠিক মায়েরা যেমনটি হয় আর কি।পরিশেষে আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাইবো।আপনারা সকলেই শিপুর জন্য দোয়া করবেন ও যেন দ্রুত সুস্থ হতে পারে।
এবং খুব দ্রুত ওকে ঢাকায় যেকোনো একটি ভালো ভার্সিটিতে যেন আমি এডমিশন করাতে পারি।ওর খুব ইচ্ছা টপ টেনে যেসব ভার্সিটি আছে, সেই ভার্সিটিগুলোতে সে পড়তে চায়।এটাই তার ইচ্ছে।টাকা কোথা থেকে আসবে কেমনে আসবে এই নিয়ে তার বিন্দু পরিমান চিন্তাও টেনশন নেই।
তবে আমি এটা বিশ্বাস করি চাওয়াটা নিখুঁত হলে পাওয়াটা সুনিশ্চিত হয়।আমি আমার প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাব।দুই ছেলের ইচ্ছে গুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার।বাকিটা মহান আল্লাহতালার ইচ্ছে এবং অশেষ রহমতে।তাই আমিও নিয়ত করলাম ওকে ভালো কোনো ভার্সিটিতেই ভর্তি করিয়ে দেব।কিন্তু ওর এই হাড় ভাঙ্গাটা এই সময় আমার কাছে খুব বেশি বেদনাদায়ক।
আদর্শবান সন্তান তৈরির জন্য আদর্শবান মা হওয়া খুবই জরুরী।তাইতো সেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি আদর্শ মা হওয়ার লড়াই করছি।এ লড়াই সংগ্রামী মায়েদের লড়াই।পৃথিবীর সকল সংগ্রামী মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা, আর সন্তানদের প্রতি ভালো মানুষ হওয়ার অর্থাৎ আদর্শ সন্তান হওয়ার আহ্বান রেখে আজ এ পর্যন্তই।।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
শিপুর জন্য দোয়া করছি, উপর ওয়ালা তাকে যেন সুস্থতা দান করেন।
এই সময়ে এধরনের দূর্ঘটনায় পরা সত্যিই বেদনাদায়ক। একজন মা হিসেবে আপনি কতটা কষ্টে আছেন বুঝতে পারছি। ধৈর্য্য ধারণ করুন, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন ওকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
♥♥
প্রথমেই শিপুর জন্য অনেক দোয়া রইল, যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।আসলে আপু বিপদ কার কখন কিভাবে আসে বুঝা মুশকিল। আর ইচ্ছে করলে উপায় অবশ্যই হয়। চেষ্টা চালিয়ে যান অবশ্যই সফল হবেন।আর সন্তানের কষ্টে মায়ের কি অবস্থা হয়, সেটা শুধু একজন মা জানে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই সময়টায় শিপুর সুস্থ থাকা খুব জরুরি ছিল।যাইহোক সন্তানদের ব্যাথায় মায়েরা অধিকতর ব্যথিত হয়।♥♥
ইস! শুনে কিন্তু খুব কষ্ট লাগছে আপু। দীপু অনেক ব্যথাই পেয়েছে কিন্তু প্রকাশ করছে না। কি অবস্থা দেখেন তো একদিকে পরীক্ষা, তার উপর আবার সিক। যাইহোক দোয়া রইল শীপুর প্রতি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
তাই যেন হয় আপু। ও যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
♥♥
শিপু ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল। আসলে বিপদ কখন আসে বলে আসে না। ভালো মানুষ গেল খেলাধুলা করতে হঠাৎ করে বিপদ এসে গেল। আসলে মায়ের মন যখন ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয় তখন মায়ের টেনশন অনেক বেড়ে যায়। দোয়া করি সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। এবং ডাক্তারি পরামর্শে রেস্ট নেওয়া দরকার।
ঠিক বলেছেন আপু। টেনশন না নিলেও টেনশন চলে আসে। আশাকরি শিপু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে, দোয়া করবেন।
শিপু ভাইয়ার জন্য রইলো অনেক দোয়া।আল্লাহ তার সুস্থতা দান করুন।আসলে বিপদ বলে কয়ে আসেনা।হঠাৎ করেই হয়।আপনি ধৈর্য ধারন করুন।ইনশা আল্লাহ বিপদ কেটে যাবে,আমিন।
জ্বী আপু, ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করছি। শিপুর দোয়া করবেন, ধন্যবাদ।
শিপু ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল যেন সেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়। শিপু ভাই খেলাধুলা অনেক পছন্দ করে তার পোস্টের মধ্যে দেখতে পাই। তবে মায়ের মন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মায়াবি হয় ছেলে মেয়ের জন্য। তবে ফুটবল খেলে আমার জীবনে অনেক বড় একটি এক্সিডেন্ট হয়েছে। সেই এক্সিডেন্ট নিয়ে আমি এখনো কষ্ট করতেছি। যাইহোক ডাক্তারি পরামর্শ এবং ভালো চিকিৎসা করানো দরকার সিপু ভাইকে।
শিপু অনেক বেশি খেলাধুলা পছন্দ করে এবং প্রতিনিয়তই খেলাধুলা করে। হঠাৎ করে যে এরকম হয়ে যাবে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি।।
প্রথমেই শিপু ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ফুটবল খেলতে গিয়ে আমিও অনেক আগে পায়ে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছিলাম। বেশ কয়েকদিন খুব কষ্ট করতে হয়েছিল। পৃথিবীতে মায়ের কোনো তুলনা হয় না। আমি মনে করি আপনি অবশ্যই একজন আদর্শ মা। কারণ সন্তানদের ব্যাপারে আপনি খুবই সেনসেটিভ। যাইহোক শিপু ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ঢাকার ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিতে পারে সেই কামনা করছি।
যখন এই খেলাধুলা করতে যায় তখনই আমি বারবার তাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু তারপরও এরকমটা কেন হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম।
শিপুর জন্য অনেক দোয়া রইল আপু।দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক তিনি।যেহেতু হাড় ফ্র্যাকচার হয়েছে কিছুটা সময় লাগবে।টপ টেনের মধ্যে যেসকল ভার্সিটি আসে,সেগুলোর একটাতে ভর্তি হতে চায় শিপু। শুভকামনা রইল।আর আপনি সবসময় সাপোর্ট করছেন আপনার দুই সন্তানকে।সৃষ্টিকর্তা ওনাদের দুজনের মনের আশা পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এখন ভার্সিটিতে এডমিশনের সময়। আর এই সময়ে এসে হাড় ভেঙে বাসায় বসে আছে! বলুন তো, কার ভালো লাগে। কত টেনশন মাথায় চলে আসে যা বলে বোঝানো যাবে না।।
দোয়া করি আপু আপনার ছোট ছেলের জন্য, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো আমাদের মাঝে ঠিকঠাক ভাবে চলতে পারে এবং তার লেখাপড়ার লাইফটা যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে। কিছুদিন আগে আমি জেনারেল চ্যাটে সাবধান করে দিয়েছিলাম,তবে সেখানে বেশি বারণ করেছিলাম যেন বড়দের সাথে খেলাধুলা না করে। তবুও এক্সিডেন্ট কখন কার কিভাবে হয় কে জানে। যাই হোক এখন প্রতিটা দিন যেন রেস্টে থেকে সুস্থ হয়, আপনি সেভাবে দেখাশোনা করবেন।
মোটামুটি সে প্রতিদিনই রেস্টে আছে দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।♥♥