꧁সাথী কাব্যে নতুন কবিতা ✍🏻"করতে পারে জয়"꧂
☆꧁:স্বরচিত কবিতা :꧂☆
꧁সাথী কাব্যে নতুন কবিতা ✍🏻"করতে পারে জয়"꧂
কবি আমি ছবি আমি
আমি সেলিনা সাথী
আঁধার ঘরে জ্বলে ওঠা
নিয়ন আলোর বাতি।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারো স্বরচিত একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। বন্ধুরা আমার আজকের কবিতায় সমাজের আরো কিছু বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে সমাজে বসবাস করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য একটি বিষয়।আপনি একটা জিনিস খুব ভালো করে লক্ষ্য করবেন আপনি বাসায় না খেয়ে থাকলেও কিন্তু সহজে কেউ খোঁজ খবর নিতে আসে না।আপনি অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকেন তখনও কিন্তু খুব বেশি মানুষ আপনার খোঁজখবর নেয়ার জন্য আসে না।কিন্তু আপনি যেই ব্যতিক্রম কিছু করে আয় করার চেষ্টা করবেন কিংবা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করবেন তখনই একশ্রেণীর মানুষের নজরে পড়ে যান।যারা আপনাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করবে।কিংবা আপনার কর্মজীবনে বাধা গ্রস্ত করবে।এই ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনে অহরহ ঘটছে প্রতিদিন প্রত্যহ।আর তাই মনের অজান্তেই এই কবিতাটি সৃষ্টি হয়ে গেল।আশা করি কবিতা প্রেমি বন্ধুদের কাছে আমার আজকের এই কবিতাটি ও ভালো লাগবে। আমি প্রত্যাশা করি সব সময় সকলে মিলে ভাল কিছু করার
।আর সেই মানসিকতা নিয়ে আজকের এই আয়োজন।আপনাদের ভালো লাগলে সেটাই হবে আমার পরম পাওয়া এবং পরম সার্থকতা।বন্ধুরা চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে কবিতায় ফিরে যাই।
🥀সেলিনা সাথী🥀
আমার চারিধারে,
হাত বাড়িয়ে খবর নিতে
কেউ তো আসে না রে।
রোগ বিছানায় শুয়ে শুয়ে
যন্ত্রণা পাই যখন,,
সুসময়ের বন্ধুরা সব
গা ঢাকা দেয় তখন।
অনাহারে অর্ধাহারে
যখন কাটে বেলা
এই সমাজের সবাই তখন
করে অবহেলা।
হাজার দুঃখ কষ্ট ভুলে
যখন করি কাজ,
প্রতিবেশী প্রিয়জনদের
লাগে তখন লাজ।
প্রাণনাশের হুমকি যে দেয়
সন্ত্রাসী যারা,
আমার মত হাজার মানুষ
তাইতো দিশেহারা।
সত্য ন্যায়ের পক্ষে থাকি
তাই করি না ভয়,
শক্তিশালী নমরুদেরও
হয়েছিল ক্ষয়।
যারা আমার মুখের খাবার
কেড়ে নিতে চায়,
তারা যেন সুস্বাদু আর
ভাল খাবার পায়।
তাদের প্রতি সহায় হও
প্রভু দয়াময়,
সবাই যেন ভালো থেকে
করতে পারে জয়।
.......................................
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
সসয় রাত-১:১৫
কবিতা কুটির-নীলফামারী
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: (স্বরচিত কবিতা)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আসলেই মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন একশ্রেণীর মানুষ সেটার সুবিধা নিতে চায়। আবার একশ্রেণীর মানুষ আছে যখন স্বাভাবিক থাকে তখন বন্ধুত্ব করে আর যখন বিপদে পড়ে তখন বন্ধুত্ব ভুলে যায় আজকের কবিতার ভাষায় সেই টপিকটাই তুলে ধরেছেন।
আপনি এই কবিতার মূল অর্থ বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালোবাসা অবিরাম♥♥
একদম বাস্তবতাকে ঘিরে সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কথায় আছে সুসময় বন্ধু ফোটে অসময়ে হায় হায়। তবুও এর মধ্যে দিয়ে চলতে হবে আপু কিছু করার নেই মানুষ বড় স্বার্থপর নিজের স্বার্থ যখন যেখানে সেখানেই উপস্থিত থাকে। দোয়া করি সর্বদা আপনার জন্য আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ সবল অবস্থায় আমাদের মাঝে রাখেন। আপনার কবিতাগুলো আমাকে কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা জাগায়। আগে প্রেম বিরহ নিয়ে কবিতা লিখতাম এখন বিভিন্ন বিষয়ে কবিতা লেখার অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে এই সমস্ত কবিতাগুলোর মধ্য দিয়ে।
এটা ঠিক যে সুসময়ে অনেকেই বন্ধু হয় আর অসময়ে এসে তারা মুখ ফিরে চলে যায় এটা বাস্তবতা।এমন বাস্তবতার মুখোমুখি বহুবার হয়েছি।♥♥
আপু আপনার কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো কারণ আপনি বাস্তবতা নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন। অভাবের সময় আর অসুস্থতার সময় কেউ কারো খবর রাখে না।
কিন্তু যখন সুখের সময় হয় তখন সবাই আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এটাই আজকাল সমাজের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই স্বার্থপরতা কাজ করা আসলেই ঠিক না। অন্যের দুঃখে ও কষ্টে যারা সহানুভূতি দেখাবে, তারাই তো প্রকৃত মানুষ। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার কবিতাটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাস্তবতা নিয়ে কবিতা লিখতে আমার বেশ ভালো লাগে। এবং আমি খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।♥♥