স্বরচিত কবিতা "তাদের করি ভক্তি"||~~
কুয়াশা ভেজা স্নিগ্ধ দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে।আশা নয় বিশ্বাস করি সকলেই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি।আর আপনারা সকলেই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারো স্বরচিত আরেকটি পদ্য কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।কবিতাটি লিখেছি গতকাল রাত 2 টা 30 মিনিটে। এবং খুবই চমৎকার একটি অনুভুতির নিয়ে লেখা আজকে এই কবিতাটি।আমরা প্রত্যেকেই জানি আমরা সৃষ্টির সেরা জীব।তারপরও আমরা এমন অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো সহ্য করতে পারিনা।কিংবা কেউ ভালো কাজ করলে সেটাকে আলোচনার চেয়ে সমালোচিত করতেই আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।পাশাপাশি আবার অনেক ভালো মানুষ আছে।যারা আপনার জীবনে উৎসাহ এবং অনুপ্রেণার শীর্ষে। যারা চাইবে আপনার বিকশিত হওয়ার মাধ্যমে হাজারো মানুষ বিকশিত হোক হাজারো মানুষ সভ্যতার ফুল ফোটাক। তবে, সমাজে নিন্দাকারী আছে বলেই,, আমরা হই জেদি, আমরা হই সাহসী, আমরা হই আরো বেশি অগ্রগামী।কারন মানুষ আঘাত না পেলে, তার সঠিক প্রতিভার বিকশিত হয় না। আর তাইতো আপনার অগ্রযাত্রায় অবশ্যই সমালোচনাকারী প্রয়োজন।যারা আমার নিন্দা করে আমাকে ঈর্ষা করে সত্যি মন থেকে হৃদয় থেকে তাদের আমি ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি সালাম জানাই।কারণ একমাত্র নিন্দুকরা আমাকে খুব ভালো করে লক্ষ্য করে।নিন্দুকেরা আছে বলেই মনে একটু স্বস্তি পাই। কারণ তারা আমার ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেয়। এবং আমাকে আরো বেশি সমৃদ্ধিশালী করার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়। আমি নিজেকে সংশোধন করতে পারি।একমাত্র নিন্দুকরা ই
আমার প্রতিটি খবর সে রাখার চেষ্টা করে।এবং আমাকে করে তোলে মহিয়ান।সেই নিন্দুদক সমালোচনাকারীদের উৎসর্গ করেই আমার আজকের এই কবিতা।আশাকরি আপনাদের মনের মনিকোঠায় কবিতাটি যথাযথ স্থান পাবে। আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে।তো চলুন এবার কবিতাটি পড়ে আসি।
কিংবা বল মন্দ,,
তাদের প্রতি নেই তো কোন
আমার দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
তোমরা যখন গালি দাও
মারো ছুঁড়ে ঢিল,,
তখন আমি দেখতে পাই
সম্ভাবনার বিল।
অপবাদ দাও তোমরা যারা
করো সম্মানহানি,,
তারাই যেন পথপ্রদর্শক
হৃদয় থেকে মানি।
কিংবা যারা যাত্রা পথে
পথে দাও কাঁটা,,
কাঁটা তুলে হাসিমুখে
বলব তাদের টা টা,,
নারী বলে যারা আমায়
তুচ্ছ করে দেখো,,
নারীর গর্ভেই জন্ম নিয়ে
পথ চলা শেখো।
তোমাদের কাছে প্রেরণা পাই
মনে পাই শক্তি,
যারা আমার নিন্দা করে
তাদের করি ভক্তি।
♥♥
১৮জানুয়ারি২০২৩
সময় রাত ০২.১২ মিনিট
কবিতা কুটির, নীলফামারী। |
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
সত্যি আপু সমাজে নিন্দাকারী আছে বলেই আমরা নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগ পাই। কিংবা নিজের ভিতর জেদ জাগ্রত হয়। আসলে সব শ্রেণীর মানুষ সমাজে বসবাস করে। অনেক রাতে এই দারুন কবিতাটি লিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপনার লেখা কবিতা সব সময় অসাধারণ হয়। কারণ আপনি তো আমাদের প্রিয় কবি আপু। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।♥️♥️
আসলে সবার জ্ঞানের পরিধি টা যদি এক হতো তাহলে আমাদের সমাজটা আরো সুন্দর হতো।
♥♥
সমালোচনাকারীদের নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল। নিন্দুক না থাকলে নিজের ভালটা বোঝা যায় না। নিন্দুক সমালোচনা করলেই সামনে এগুতে সহজ হয়। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার কবিতা। ধন্যবাদ আপু।
বরাবরের মতো আপনার কবিতা সুন্দর হয়েছে। ঠিক কথা নিন্দুক আছে বলেই আমরা পরিবর্তন হতে পারি। নিন্দুক আছে বলেই ভুল ত্রুটিগুলা ধরা যায়। আপনি তো অনেক রাত জেগে কবিতা লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কবিতা সবসময় আমার ভালো লাগে। তবে আজকের কবিতাটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে কারন এখানে নারীকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি কবিতা এবং সুন্দরভাবে প্রতিবাদ করেছেন।
আমি নারীদেরকে নিয়ে বরাবরই ভাল লিখতাম। এটা সবাই বলতো। মাঝখানে একটু সবার চাহিদা অনুযায়ী ব্যতিক্রমধর্মী লেখার চেষ্টা করেছি।♥♥