"সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ"|| কবিতা টির আবৃত্তি||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।আর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
বন্ধুরা আজ কঠিন বাস্তব ভিত্তিক একটি কবিতা আবৃত্তি করেছি।। আমরা যদি আমাদের পারিপার্শ্বিকতার দিকে একটু ভালোভাবে দৃষ্টি দেই।। তাহলেই দেখতে পাবো যে আমরা বাবা-মায়েরা কত কষ্ট করে সন্তানদের লালন-পালন করে,, মানুষের মত মানুষ গড়ার চেষ্টা করি অথচ সেই সন্তানেরা যখন মানুষ হয়,, তখন মা-বাবাদের কিভাবে ভুলে থাকে। তারি চরম দৃষ্টান্ত হতে পারে এই কবিতাটি। একটি মায়ের আকুল আবেদন মুখ ফুটে উঠেছে সন্তানকে দেখার প্রত্যাশায়।।ইউটিউবে হঠাৎ করে আজ এই কবিতাটি পেলাম। এর আগে কোনদিন কখনোই এই কবিতাটি আমার শোনা হয়নি। তার পরেও আবৃত্তি করার চেষ্টা করলাম। কারণ কবিতার কথাগুলো আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। আমি বেশ কিছুক্ষণ নির্বাক হয়ে ছিলাম। ভাবলাম আপনাদের সাথে কবিতাটি শেয়ার করে নেই।তথাপি চেষ্টা করলাম আবৃত্তি করার।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনদের প্রতি আমার আকুল আবেদন এই যে,, আমরা কোনদিন কখনোই যেন আমাদের বাবা-মা কে কোন অবস্থাতে অবহেলা না করি।।কারণ পিতা-মাতারা কোন সন্তানের প্রতি অসন্তুষ্ট হলে সেই সন্তান কখনোই বেহেশতে যেতে পারে না।এবং আমরা নিজেরাও কোনো না কোনো সময়,, বাবা-মা হবো। আমাদের নিজেদের সন্তান দাঁড়া আমরাও ঠিক একইভাবে অবহেলিত হব। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যেমন কর্ম তেমন ফল। তাই আসুন আমরা প্রত্যেকেই বাবা-মায়ের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল হই।বাবা-মায়ের অনুগত হই।বাবা-মাকে কখনোই বোঝনা ভাবি।আজকের কবিতায় একটি বৃদ্ধ মা আকুল আর্তনাদ করে বলছে সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ।কখন কোন অবস্থায় কোন পরিস্থিতিতে একজন মা কিংবা একজন বাবার এই অনুভূতিটা প্রকাশ পায়। আশা করি আমাদের সকলের উপলব্ধি করার ক্ষমতা হবে।। চলুন কবিতা আবৃত্তি শুনে আসি।ত্রুটি মার্জনীয়।
ভিডিও লিংক
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ??
চাকুরি পাওয়ার পর
তারা আর বাড়িতে ফেরেনি।
লোকমুখে শুনেছি, বৌমাদের নিয়ে
তারা ভালই আছে।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে, ওষুধ?
লোকমুখে শুনেছি নাতিপুতিরা নাকি
ইংরেজি স্কুলে পড়ে,
বিশাল ফ্লাট,, দু-চারটি কুত্তা আছে।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ?
আমার পাঁচ-পাঁচটা সন্তান
একজন ডাক্তার একজন মাস্টার
একজন উকিল একজন ব্যারিস্টার
আরেকজন অকালে চলে গেল।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ
মাটির কৌটা আয় ছুটে বেড়ায় জানালায়
দিনগুনি পথ চেয়ে বসে বসে
দিন যায়, মাস যায়,
এমনকি বছরের পর বছর চলে যায়
তবুও চোখ রাখি জানলায়।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ
আমার নাভির কুসুম আজ
সমাজের কুসুম
ওরা মহাসুখে বেঁচে-বর্তে থাক
সলতে নেভার আগে,,
ওদের কি একবারও দেখতে পাবো না?
ওদের সবকিছুতেই সাঁতার কাটা
শিখিয়েছিলাম, ওরা কেবল সামনের
দিকেই সাঁতার কাটা শিখল।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে, ওষুধ?
আমার পাঁজর থেকে ফুসফুস
বেরিয়ে এলেও তবুও প্রার্থনা করি,
ওরা সারা পৃথিবীর রোদ্দুর মাখুক,
জোসনা মাখুক।
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে, ওষুধ?
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কতিতাটি অসাধারণ। সত্যি আপু একজন বাবা মা কতোই না কষ্ট পেলে এমন কথা বলে হয়তো শুধু তারাই বুঝে।আপনি কবিতাটি চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করেছেন। আসলে কবিতাটি পড়তে গিয়ে আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। শত কষ্টে বাবা মা কখনো সন্তানকে ভুলে না। আসলে আপু কবিতাটি অনেক কষ্টের। ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন আপু। কবিতাটি এতটাই কষ্টের যে আমিও পড়ার সময় কেঁদে ফেলেছিলাম।এখনকার পৃথিবীতে এরকম কুসন্তান এর প্রভাব অনেক বেশি। দেখতে পাওয়া যায়। আল্লাহ যেন প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে নেক সন্তান দেন সকল বাবা-মাকে।♥♥
আমাদের সমাজে চোখ দিয়ে ভালোভাবে চারি দিকে তাকালে, দেখা যায়। অসংখ্য বৃদ্ধ বাবা-মা আজ অনেক অবহেলিত। এবং শুধুমাত্র সন্তানদেরকে একটু দেখার জন্য কত বিনয় করে। এই কবিতাটি বাস্তব একটি উদাহরণ স্বরূপ।♥♥
আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনে অনেক ভালো লাগে আমার । আপনার মুখে সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে কবিতাটির আবৃত্তি শুনে অনেক
ক্ষন ভাবলাম যে মা কখনো সন্তানকে ভুলে যেতে পারে না কিন্তু কিছু কিছু সন্তান আছে অতি সহজেই মা কে ভুলে য়ায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপু বাস্তবতা এতটাই নিষ্ঠুর, এতটাই কঠিন, কেন হয় বুঝিনা। কেন এত নির্দয় হয় মানুষের মন।কঠিন এই বাস্তবতা আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।♥♥
প্রিয় আন্টি ৷
আপনি সত্যি এক বাস্তব কবিতা তুলে ধরেছেন ৷ আমাদের আশের পাশের এখন প্রায় এসব ঘটনা ঘটেছে ৷ যে বাবা মা কতো কষ্টে সন্তানকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে ৷ আর একটা পর্যায়ে সেই সন্তান সবকিছু ভুলে ৷ স্ত্রী সহ বেশ সুখে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে ৷ আর অথচ সেই বাবা মার কোনো খোজ রাখে না ৷ আমরা সন্তানেরা কেন এমন বুঝি না ৷ আমিও কমেন্টের মাধ্যমে সকলকে জানাতে চাই ৷ এই ভুলটি যেনো কোনো সন্তান না করে ৷ ৷
সত্যি আপু ইউটিউবে কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা এমন কিছু খবর জানতে পারি যেগুলো শুনেই হৃদয় কেঁদে ওঠে। যারা আমাদেরকে মানুষ করেছে তাদেরকে আমরা একসময় ভুলে যাই। কিন্তু কোন বাবা মা তার নিজের সন্তানকে ভুলে যেতে পারে না। আপনার কবিতা আবৃতি শুনে খুবই ভালো লাগলো আপু।
দিদি, এটা একদম ঠিকি যে অনেক সন্তান আছে যে ঘটমান বর্তমান জীবনে থেকে অতীতে মা বাবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাকে মানুষ করার সে কষ্টটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রবলতার কারণে সহজেই ভুলে যায়।আর আপনার কন্ঠে সেই রোদনের নাদ শুনে বিশ্বাস করুন আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। হয়তো আপনি মা বলেই সেই কষ্টটা আরো অনুভব করতে পেরেছিলেন। তা আপনার স্বরে প্রকাশ পেয়েছে।
এই প্রশ্নের উত্তর যদি কোন ছেলের থেকে জানতে চায় তার মা, তাহলে কিছু ছেলে-মেয়ে আছে তারা অনায়াসে উত্তর দিবে যে তারা পরিস্থিতির শিকার। তবে ব্যক্তিগতভাবে এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে জানা নেই। আর আমি তো সব সময় চাইবো আমার পরিবারের সাথে একসাথে থাকার। বেশ কিছুদিন পর আবার আপনার আবৃত্তি শুনলাম। খুব সুন্দর হয়েছে আপু। 😊
সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে, ওষুধ?
লোকমুখে শুনেছি নাতিপুতিরা নাকি
ইংরেজি স্কুলে পড়ে,
বিশাল ফ্লাট,, দু-চারটি কুত্তা আছে।
আপনি খুব সুন্দর করে সন্তানকে ভুলে থাকার ওষুধ পাওয়া যাবে ওষুধ কবিতাটি লিখেছেন। আপনার মুখে কবিতা আবৃতিও শুনতে পারলাম খুব ভালো লাগলো। সত্যি বাস্তব ঘটনা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন। সন্তান যখন অনেক বড় শিক্ষিত হয়ে দূরে গিয়ে থাকে তখন মা-বাবাকে ভুলে যায়। আমাদের সমাজে এরকম অনেক শিক্ষিত মানুষ এবং সন্তান আছে। তবে আপনি খুব সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।