কলকাতার অভিভাবক স্বরূপ ||প্রিয় শুভ্রা দিদিকে উৎসর্গ করে|| স্বরচিত কবিতা||~
স্বরচিত কবিতা
বন্ধুরা সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আবারো আপনাদের জন্য স্বরচিত আরেকটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম।
কলকাতায় গিয়ে আমরা যে কবি দিদির বাসায় উঠেছিলাম,সেই দিদিকে নিয়ে আজকের আমার এই ছোট্ট আয়োজন আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।। শুভ্র দিদি অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল মানুষ। খুবই কর্মঠ এবং তারুণ্য দীপ্তিত। নানা রকম গুণের অধিকারী এই দিদিমণি। দিদির বাসায় চুঁচুড়া তে। অর্থাৎ আমরা দিদির বাসায় উঠেছিলাম। এবং দিদির বাসা থেকে এই সব জায়গায় মুভমেন্ট করেছি। দিদির মধ্যে যে আন্তরিকতা পেয়েছি তা আসলে অসাধারণ। আমরা কখন কি খাবো কখন গোসল করব কখন কি করব সবকিছুর খেয়াল রাখতেন দিদি। আমাদের জন্য ব্রাশ পেস্ট সাবান তোয়ালে সব সময় রেডি করে রেখেছেন। এবং নিজের হাতের রান্না করে খাইয়েছেন আমাদেরকে পরম যত্নে। দিদির লেখা এবং সুরকররা অসামান্য গানগুলো আমাদেরকে নিজে গলায় গেয়ে শুনিয়েছেন। প্রতিদিন রাত দুটো থেকে তিনটা অবধি আমরা আড্ডা দিতাম।
নানা রকমের গান কবিতা গল্পে মেতে উঠতাম।
দিদির পরিবারের ছিলেন তার হাস্যজ্জল কন্যা এবং মেয়ে জামাই সে সাথে ছোট্ট একটি
নাতি সেই সাথে জামাইবাবু।
সব মিলিয়ে সুখী একটি পরিবার। খুবই চমৎকারভাবে দিদি আমাদেরকে গাইড করেছিলেন। অভিভাবকের মত। এবং সব সময় সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন কোথায় কখন কিভাবে যেতে হবে, প্রতিটি বিষয়ে। তাদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব বেশি মিস করছি। আর তাই দিদিকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লিখে ফেললাম। আশা করছি আমার আজকের এই কবিতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।।তো ঠিক আছে বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়ি এবার কবিতাটি পড়ে আসা যাক।
কবিতার শিরোনাম -"শুভ্রা দিদি"
কলমে- সেলিনা সাথী
উৎসর্গ- শুভ্রা দিদি (ভারত)
তারিখ -২১/৫/২০২৪
স্নেহ ভালোবাসায়,
মধুর মধুর কথোপকথন
স্মৃতির ভেলায় ভাসায়।
মায়ের মতন দিদি যখন
নিতো মোদের খোঁজ,
কখন কোথায় কেমন আছি
থাকত পাশে রোজ।
শাসন করতো,বারণ করত
আগলে রেখে বুকে,
ওপার বাংলায় দিদির সাথে
ছিলেম মহাসুখে।
দিদির হাতের রান্না সে তো
অন্যরকম স্বাদ,
মজায় মজায় খেতাম সবাই
সকাল দুপুর রাত।
মিষ্টি মধুর কন্ঠে যখন
গান শুনাতেন রাতে
সুরেলা সেই কন্ঠ দিদির
নিয়ে এসেছি সাথে।
সেই দিদিকে ছেড়ে আসতে
কষ্ট পেলাম মনে,
ইচ্ছে করে সারা জীবন
থাকি দিদির সনে।
ভালো থেকো দিদি মনি
এসো বাংলাদেশে,
বরণ করে নেব তোমায়
গভীর ভালোবেসে।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: কবিতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
শুভ্রা দিদি কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনার কবিতা মানেই শব্দের দারুণ গাঁথুনি। ছন্দের কি অপূর্ব মিল।একজন মানুষের স্নেহ-ভালোভাষা নিয়ে এরচেয়ে ভালো লিখুনি আর হয়না! আপনি মনের মাধুরি মিশিয়ে শুভ্রাদিকে উৎসর্গ করে কবিতাটি লিখেছেন। খুব ভালো লেগেছে আমার। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভ কামনা। কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু। মনের মাধুরী মিশিয়ে শুভ্রা দিদিকে এই কবিতাটি উৎসর্গ করেছিলাম।কারণ তার ভালোবাসায় আমি সিক্ত। কি দারুন ভাবে অভিভাবকের মত খেয়াল রেখেছেন আমাদের প্রতিটি মুহূর্তের। 🌹🌹
আপু আপনার কবিতা গুলো এমনিতেই খুবই ভালো লাগে। তবে আপনি দেখছি শুভ্রা দিদিকে উৎসর্গ করে আজকের কবিতাটি লিখেছেন। আসলে শুভ্রা দিদি আপনাদের এত বেশি খেয়াল রেখেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। আবার দেখছি আপনারা রাত দুটো পর্যন্ত আড্ডা দিতেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। এমনকি শুভ্রা দিদির সম্পর্কে শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট।
শুভ্রা দিদি খুবই সরলমনা এবং ভালো মনের একজন মানুষ। তিনি নিজ হাতে রান্না করে আমাদের সকলকে খাইয়েছেন। গান শুনিয়েছেন আড্ডা দিয়েছেন আরো কত কি। 🌹
শুভ্রা দিদির বিষয় যা কিছু বলেছেন সবটা পড়ে মনে হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন অমায়িক মানুষ। একজন মানুষ এতটা কেয়ারিং হতে পারে আপনার পোস্ট না পড়লে বোঝা যেত না। পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে তিনি আপনার গভীর সম্পর্কের কোন আত্মীয়। শুভ্রা দিদিকে নিয়ে তার মহিমা কীর্তন সম্বন্ধে অসম্ভব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপনি। কবিতাটি ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে। এরকম মানুষ গুলো চিরজীবী হোক চিরস্থায়ী হোক স্মরণীয় হয়ে থাকুক এটাই কামনা করছি।
আসলেই তিনি অমায়িক একজন মানুষ। আমরা তার ভালোবাসায় সিক্ত। সে কারণেই আমি শুভ্রা দিদিকে এই কবিতাটি উৎসর্গ করেছি। খুব ভালো থাকবেন সব সময়। 🌹🌹