কক্সবাজার ভ্রমণের প্রথম পর্ব||~~
|
|--|traveling
🇧🇩সকলকে শুভেচ্ছা🇧🇩
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। অনেকদিন পর আবারো হাজির হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গত সাত ফেব্রুয়ারি গর্জিয়াস গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা।প্রায় ৬০ জনের একটি টিম স্লিপার কোচে করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। অনেকের কাছে স্লিপার কোচচে যাত্রা এটাই প্রথম।
বাসের মধ্যেই শুয়ে শুয়ে এত আরামদায়ক ভ্রমণ যেন অন্যরকম একটা প্রশান্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়।আপনি চাইলে বসতে পারেন।শুইতে পারেন।দারুন একটা ভ্রমণ।দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে যে ক্লান্তি বোধ হয়।স্লিপার কোচে সেটা বোঝাই যায় না!
বন্ধুরা, আমার জীবনে বহুবার কক্সবাজার ভ্রমণ গিয়েছি। তবে এবারের ভ্রমণটা মনে দাগ কেটে যাওয়ার মত।এত বেশি মজা করেছি যা বলে বোঝানো যাবে না।প্রচুর আনন্দ করেছি আমরা সবাই মিলে। আসলে ভ্রমণ মানুষকে অনেকটা রিফ্রেস করে।
এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে। তাইতো আমি সুযোগ পেলেই ভ্রমন করি। যদিও এবার ভ্রমণে যাওয়ার তেমন কোন ইচ্ছাই আমার ছিল না।তারপরেও গর্জিয়াস গ্রুপের এমডি সহ অনেকেই আমাকে খুব রিকোয়েস্ট করে।এবং সিয়াম শিপু ও খুব যাওয়ার জন্য আমাকে রিকোয়েস্ট করে।যদিও আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নেই।যাইহোক সবদিক বিবেচনা করে অবশেষে যাওয়া হলো।সাত ঘন্টার জার্নিতে তেমন কোনো কষ্ট অনুভব করি নাই।আমার পাশে হাফসা নামে একজন নারী ছিলেন।পূর্বে তেমন পরিচয় ছিল না তার সাথে।ভাগ্যক্রমে হোটেলের সিটও করে তার সাথে।মেয়েটি আমাকে নানাভাবে হেল্প করে।এবং ওর সাথে আমার অনেক ফটোগ্রাফি রয়েছে।সব সময় আমার পাশে লেগেছিল আঠার মত।
যাইহোক যে টিমটা গিয়েছিল তাদের অনেকের সাথে আমার কোন পরিচয় ছিল না।আস্তে আস্তে তাদের সাথে পরিচিত হতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগলো।এবং মনের অগোচরে সকলের মধ্যমণি হয়ে উঠলাম। সবার এত বেশি ভালোবাসা পেয়েছি যা বলে বোঝানোর মত নয়। শুধুই কি ভালোবাসা শ্রদ্ধা সম্মান স্নেহ সবকিছুই পেয়েছি। সাত ঘন্টা জার্নি শেষে যখন আমরা গিয়ে হোটেলে পৌঁছলাম তখন প্রায় দশটা বেজে গেছে।বর্তমান বর্তমান সময় কক্সবাজারে অনেক ভিড়। কোন হোটেলই রুম ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছিল না।অনেক পর্যটক কে দেখেছি রাস্তায় থাকতে।আমরা যে বিচেে গেছি না কেন -শুধু মানুষ আর মানুষ।যাইহোক হোটেলে ঢুকে আমরা ফ্রেশ হয়ে এরপর নাস্তা খেতে যাই।সবাই মিলে মজা করে নাস্তা খেয়ে নিলাম।এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা গোসল করে নিলাম,এবং একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। বিশ্রাম শেষের লাঞ্চ পর্ব সেরে,এরপর আমরা সুগন্ধা বিচে চলে যাই হাঁটতে হাঁটতে।সুগন্ধা বীচের পাশেই ছিল আমাদের হোটেল।সেখান থেকে আমরা সমুদ্র দেখি।সমুদ্রের ঢেউ দেখি।কিন্তু তখন আর পানিতে গা ভেজালাম না।এরপর আমরা সবাই যে যার মত টুকটাক শপিং করে নিলাম।শপিং শেষে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে, আমরা সবাই আবারোবীচেচলে যাই। সেখানে শুয়ে শুয়ে গান শুনে আর সমুদ্রের ঢেউ দেখি।বাদাম বুট,ঝাল মাখাসহ অনেক কিছু খেতে থাকি সাথে সাথে।প্রায় রাত ১১ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত আমরা সেখানেই অবস্থান করি।সাথে নানা রকম ফটোগ্রাফিও করি।রাতের সমুদ্র সৈকতের এরপর আমরা যথারীতি আবার হোটেল রুমে চলে আসি।এবং রুমে এসো রুমমেট এর সাথে বেশ গল্পগুজব করে ফেলি।একটি সময়ে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি তার নিজেও বুঝতে পারি নাই চমৎকার একটা ঘুম হয়ে গেল।
বন্ধুরা আজ আমি কক্সবাজার ভ্রমণের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আগামীতে পর্যায়ক্রমে আমি আরো বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।সকলে ভালো থাকবেন অনেক বেশি ভালো থাকবেন আর আমি সব সময় আপনাদের সবাইকে খুব বেশি মিস করি।কারন আমি সব সময় মনে করি আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার।আর পরিবারে ঠিকমতো আসা-যাওয়া না থাকলে স্বভাবতই মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে।সেই ব্যাকুলতা থেকেই ফিরে এলাম আবারও।এবং সব সময় সাথে থাকতে চাই এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত বিদায়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: চমৎকার অনুভূতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
অনেক সুন্দর করে কক্সবাজারে ভ্রমনের প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার প্রথম পর্বের পোস্ট পড়েই বুঝা যাচেছ যে বেশ আনন্দ করেছেন টিম এর সাথে। দারুন ছিল আপনার আজকের ভ্রমন পোস্ট। আপনার আনন্দ দেখে তো আমারও খুব মনে চাইছে কক্সবাজার ঘুরে আসতে। ধন্যবাদ আপু আনন্দ ঘন সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি। আজকে আপনি কক্সবাজার ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। আশা করি বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনার ওই মুহূর্তটা। পর্যায়ক্রমে একাধিক পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরার আশা ব্যক্ত করেছেন অবশ্যই দেখার অপেক্ষায় থাকবো। তবে এভাবে বিভিন্ন জায়গার ভ্রমণ পোস্ট দেখলে অনেক কিছু ধারণা পাওয়া যায়। আর একে অপরের অচেনা জায়গা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে কিন্তু আমাদের সুন্দর এই পরিবার। যেখানে আপনি আমার দ্বারা আমি আপনার দ্বারা অজানা অচেনা জিনিস সম্পর্কে অবগত হয়।