বাসায় নিজে হাতে তৈরি করা কিছু ইফতার//10%লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ শত ব্যস্ততার মধ্যেও ভালো আছি।
বন্ধুরা পবিত্র মাহে রমজান মাস দেখতে দেখতে প্রায় শেষের দিকে। রমজান মাসে বাসায় তৈরি রকমারি ইফতার সত্যিই অনেক মুখোরোচক।প্রতিদিনের মুখোরোচক এই ইফতার গুলো তৈরি করি মহানন্দে।মুখোরোচক এইসব ইফতার বাসায় তৈরি করে প্রতিবেশী, গরিব-দুঃখী, এবং আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় বিতরণ করতে অনেক মজা লাগে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাসায় তৈরি কিছু ইফতার আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
মজাদার তেল পিঠা।খুব তুলতুলে নরম, আসলে গরম গরম তেল পিঠার মজাই অন্যরকম।তাই নরম গরম তেল পিঠা ইফতারের আগে আগে ভেজে নেই।পিঠাটি খেতে সত্যিই অনেক মজাদার।
ছোলা বা বুট,,,,, হচ্ছে ইফতারের মূল উপাদান।ছোলা বা বুট ছাড়া ইফতার কল্পনা করা যায় না। ইফতার মানেই ছোলা থাকতেই হবে। ছোলার সঠিক স্বাদটা পাওয়ার জন্য আমি নিয়মিত বাসায় এটি তৈরি করি। কারণ বাইরের কেনা ছোলা গুলো তেমমন সুস্বাদু লাগেনা।
পিয়াজু,,, পিয়াজু পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম।আর ইফতারে পিয়াজু থাকবে না, এটা ভাবাই যায় না।মুখরোচক এবং আমাদের বাসার সবার খুবই প্রিয় এই পেঁয়াজু। তাই প্রতিদিনই নিজের হাতে পিয়াজু তৈরি করতে হয় ইফতারের জন্য। এবং পরিবারের সবাই তৃপ্তি সহকারে ইফতার করে।
আলুর চপ,,,,বেসন দিয়ে আলুর চপ বাসায় তৈরি করে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম।আমাদের শিপু সোনামনির খুব পছন্দ আলুর চপ। তাইতো প্রতিদিন বাসায় আলুর চপ তৈরি করে ইফতারের স্বাদ আরও দ্বিগুন করি।এবং শিপুর মুখে আলাদা একটা মিষ্টি হাসি লক্ষ্য করি।এবং পরিতৃপ্তি লক্ষ্য করা যায় শিপুকে দেখে।
চিড়ার বিরানি,,, চিড়ার বিরানি খেতে অনেক টেস্টি ও মজাদার।এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।হালকা ঝাল হালকা মিষ্টি এ যেন অমৃতের স্বাদ। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে।তাইতো আমার বাসায় ইফতারিতে চিড়ার বিরানি আমি নিজে হাতে করে থাকি।
বুন্দিয়া,,,, বুন্দিয়া ছাড়া ইফতার কল্পনা করাই মুশকিল।প্রতিদিনের ইফতারে বুন্দিয়া থাকা অতীব জরুরি। বিশেষ করে আমার খুবই পছন্দ। তাই ইফতারে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই বুন্দিয়া।আবার সেটি যদি তৈরি করা হয় বাসায়।তবে তো কথাই নেই।আমি প্রতিদিনই বাসায় নিজের হাতে ইফতারি তৈরি করি।
গুলগুল্লা,,,
গুলগুল্লা ইফতারে যেন এক নতুন আমেজ।আমাদের বাসায় সবারই খুবই প্রিয় গুলগুল্লা।এগুলো আকারে ছোট হয় এবং অনেক নরম হয়ে থাকে।তাই খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু। আমাদের বাসায় নিয়মিত ইফতারে গুলগুল্লা থাকে।
পায়েস,,,
মজাদার সুস্বাদু পায়েস,,,আমার খুবই প্রিয় তাছাড়া সিয়াম খুব পছন্দ করে এই পায়েস। তাই এই পবিত্র রমজান মাসে সিয়ামের খুব প্রিয় পায়েস তৈরি করে তাকে খাওয়ানোর ইচ্ছেটা পূরণ করলাম।
ঝাল- লবণ পিঠা। এই পিঠাটি অনেক মুখরোচক। এবং সুস্বাদু একটি পিঠা। আমাদের বাসায় সবাই খুবই পছন্দ করে এই পিঠা।ইফতারে এনে দেয় এক অন্যরকম স্বাদ।আমার কাছে খুবই মজা লাগে এই পিঠাটি।
বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস,,,, বাসায় তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের জিনিস যা এই,,প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটায়। রমজান মাসে ইফতারে প্রশান্তি এনে দেয় ফলের জুস।তাই ফলের জুস ছাড়া ইফতার কল্পনা করা যায় না প্রচন্ড এই গরমে।
বন্ধুরা আমার নিজের হাতে তৈরি করা বেশ কয়েকটি ইফতার আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।তবে আমার খুব ভালো লাগতো যদি আপনাদের সবাইকে আমি আমার নিজের হাতে তৈরি করা ইফতার খাওয়াতে পারতাম।তবে আমাদের এখানে অনেক প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন এবং অনেক গরীব দুঃখীদের ইফতার দিয়েছি।এবং রমজান মাসে ইফতার তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।বেশি ভালো লাগে যখন পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতার করি।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে আগামীতে। নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোন রূপে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ইফতার আয়োজনে মুখরোচক খাবার গুলো দেখে খুব লোভ হচ্ছে ইফতারের সময় খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন খাবারগুলোকে সব গুলো খাবারেই প্রায় পুষ্টিসমৃদ্ধ
প্রতিদিন ইফতারে বিভিন্ন রকমের ইফতারি আয়োজন করা হয়। আর এই ইফতারের আয়োজন আপনি বাসায় খুবই সুন্দরভাবে করেছেন। সত্যিই আপনার আয়োজন গুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো বাজার থেকে কিনে আনা। সত্যি আপনার দক্ষতা দেখে মুগ্ধ। আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ভাইয়া আমরা বাজার থেকে কিনে আনা তেমন কোনো ইফতারি খাই না। রোজা মাসে প্রতিদিনই আমি বাসায় ইফতার তৈরি করি। শুধু ফলমূল গুলো বাইরে থেকে কিনে আনি।♥♥
আপু আপনার হাতে তৈরি ইফতারির কিছু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার জিভে পানি চলে আসছে। সুন্দর সুন্দর মুখরোচর আইটেম গুলো ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সারাদিন রোজা থাকার পর শরীরে অনেক ঘাটতি থাকে। আপনার শরবত বানানোর আইটেম গুলো দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল
খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া♥♥
ওয়াও! ইফতারিতে এত আয়োজন দেখে লোভে পড়ে গেলাম। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর আইটেম তৈরি করেছেন। অনেক হলো তেল পিঠা খাই না। আপনার তৈরি করা তেল পিঠা দেখে খুব খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। প্রতিটি আইটেমই আমার টেস্ট করতে মন চাচ্ছে।
তাই বুঝি!! রোজার মধ্যে আসলে নিশ্চয়ই সবগুলো আইটেম ই করে খাওয়াতাম।তবে এই তেল পিঠা টা অনেক নরম এবং খেতে অনেক সুস্বাদু।মনের মাধুরী মিশিয়ে করেছি।♥♥
প্রতিটি রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল আপু। তবে চিড়ার বিরানি রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। এতসব রেসিপির সমাহার দেখে নিজেকে সামলানো দায়। ধন্যবাদ আপু।
চিড়ার বিরানি খেতে কিন্তু অসাধারণ লাগে কোন একদিন খেয়ে দেখবেন জাস্ট ওয়াও জিভে লেগে থাকার মত।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ♥♥
আপু আপনি আজকে চমৎকার ভাবে বাসায় নিজে হাতে তৈরি করা কিছু ইফতার এর আয়োজন করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।♥♥
আপু আপনি আপনি বাসায় খুবই মজার মজার ইফতারি শেয়ার করেছেন। আসলে আমি মনে করি বাহির থেকে ইফতার কিনে না খেয়ে ঘরে তৈরি করে খেলে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার হাতে তৈরি কিছু ইফতার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাইরে কিনে খেতে টাকা লাগে বেশি। তাছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়।এবং আমার কাছে তেমন সুস্বাদু লাগেনা♥♥।
এটাই তো আমাদের ধর্মের শিক্ষা। আমরা নিজে যা খাব প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজন সবাইকে সেটাই দেব। ইফতারে মুখরোচক খাবার একটু বেশি খেয়ে থাকি আমরা। তেলভাজা ঐ পিঠা টাকে আমরা পাকোয়ান পিঠা বলি ইফতারে আমি মিষ্টি জাতীয় কোনো জিনিস সেইরকম খাই না।
চিড়ার বিরিয়ানি টা ইউনিক ছিল এটা আমি কখনো খাইনি। ওটা দেখতেও বেশ চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল ফাইনাল লুক টা আপু।।
আপনার ইফতার আয়োজনের যে রেসিপিগুলো আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন সবগুলো রেসিপি চমৎকারভাবে পরিবেশন করেছেন। একটা জিনিস আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে, আপনার পরিবেশনের বাটির পাসে সে ছায়া রয়েছে সেটি খুব চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু রেসিপি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
আপু আপনার তৈরি ইফতারের মুখরোচক খাবার গুলো দেখে জিভে প্রায় জল চলে এলো। আপনার তৈরি সবগুলো খাবার অনেক লোভনীয় তবে আমার কাছে তেলে ভাজা পিঠা ও শেষের নাম-না-জানা পিঠাটি অনেক ভালো লেগেছে। তেলে ভাজা পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা। গ্রাম বাংলার এদিকে এই পিঠাগুলো অনেক প্রচলিত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে মুখোরোচক এত সুন্দর খাবার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপু মনি এত চমৎকার ভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্য♥♥