🌻স্মৃতিময় 🍂 সারাদিন🌻
🌻স্মৃতিময় 🍂 সারাদিন🌻
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।♥♥
🌻স্মৃতিময় 🍂 সারাদিন🌻
বন্ধুরা, সময়টা ছিল করোনা কালীন সময়। লকডাউনে থাকতে থাকতে আমরা যখন বোর হয়ে যাচ্ছিলাম।ঠিক সেই সময় মাঝে মাঝে বিকেল বেলা আমরা বেড়াতে যেতাম। শহর থেকে একটু দূরে চারালকাঁটা নদীর ধারে। প্রাইভেট কারে করে।সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ দীর্ঘশ্বাস নিতাম।একটুখানি ছোট ছুটি কিছু সেলফি তোলা।অর্থাৎ একটু রিফ্রেশ হওয়া এই আর কি। সে সময়ের সাথে থাকতো সিয়াম, শিপু, মাশরাফি, অন্তর। সবাই মিলে বেশ মজা করতাম।আজ সারাদিন সেইসব স্মৃতি বারবার মনে পড়ছে।মনের মনিকোঠায় দোলা দিচ্ছে। সিয়াম এবং শিপু দুজনেই আমার থেকে প্রায় অনেক দূরে। তাই মাঝে মাঝে ওদের পুরনো ছবিগুলো বের করে স্মৃতিচারণ করি।নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাই সেই অতীতে।ওরা যখন ছোট ছিল। তখনকার ওদের নিয়ে নানা রকম স্মৃতি আমাকে মুখরিত করে তোলে। ওরা যখন ছোট ছিল তখন ওদের নিয়ে নানা রকম স্মৃতি আমাকে মুখরিত করে তোলে।আজ সারাদিন ওদের অনেক ছবি দেখলাম।এক এক জায়গায় এক এক রকমের স্মৃতি।আসলে আমরা চাইলেও আগের মত আর একসাথে থাকা হবে না এভাবে।কেমন যেন একটা একাকীত্ব একটা শূন্যতা কাজ করে হৃদয়ের গভীরে।আমার পৃথিবী জুড়ে সিয়াম এবং শিপু।
আসলে বাচ্চারা যত বড় হয় পিতা-মাতার কাছ থেকে ততটাই দূরত্ব তৈরি হয়।লেখাপড়া কর্মজীবন সবমিলিয়ে আর একসাথে থাকা হয়ে ওঠেনা।মাঝে মাঝে খুব গভীরভাবে সিয়াম এবং শিপুকে মিস করি।ঠিক তেমনি মিস করি আমার যতগুলো ভাগনা ভাগ্নি এবং ভাইস্তা ভাজতি আছে।একটা সময়কে দুরন্তপনা কি চঞ্চলতা ছিল আমাদের সবার মাঝে।আর এখন সবাই বড় বড় হয়ে যাওয়াতে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে অনেক বেশি।আমার বড় বোনের বড় মেয়ে। যাকে আমি নিজের মেয়ে মনে করতাম।ওর জন্মের সময় থেকে শুরু করে বিয়ে দেওয়া অব্দি নিবিড় ভাব্বে মিশে ছিলাম ওর সাথে।স্কুলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে চুল বেঁধে দেয়া খাইয়ে দেয়া সবকিছু করেছি ওর জন্য।আজ সেই সব স্মৃতি মনে দাগ কেটে যায়। পরিশেষে একটা সময় আসে আসলে প্রত্যেকেই বড় একা হয়ে যায়।আর ঠিক সেই সময়টাতে বার্ধক্য এসে বাসা বাঁধে।বার্ধক্য যেন শেষ সময়ের সঙ্গী হয়ে যায়।
ওদের সবাইকে ছেড়ে থাকতে আমার ভীষণ কষ্ট হয়।।
কিন্তু আমি কোনদিন কখনো কাউকে এই কথাটা বোঝাতে পারিনা।কিংবা বুঝতেও দিতে চাই না।।কারণ সবার একটা নিজস্ব জগত থাকে।এবং নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় ঠিক সেই ভাবে।
যখন আমার শরীর এবং মন দুটোই খুব বেশি খারাপ থাকে,সেই দিন এবং সেই সময়গুলোতে আমি পুরনো দিনের এই ছবিগুলো বের করে করে দেখি।কখনো হাসি কখনো কাঁদি। নানা রকম টেনশনে ইদানিং অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে থাকি। বন্ধুরা আজ সারাদিন নানারকম স্মৃতিবিজড়িত সময় কেটেছে আমার।অনেক পুরনো পুরনো ছবি বের করে দেখছিলাম।আর মনের অজান্তেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময়গুলোতে।বলতে পারেন এটা অন্যরকম এক ভালো লাগার অনুভূতি।যা অনুভবে দোলা দেয়।
হয়তো আমার মত এরকম পাগলামি আরো অনেকেই করে থাকেন।আসলে ছবি আমাদের সময় গুলোকে ধরে রাখে।আর সেজন্যই আমি প্রতিটি সময়ে একটি করে ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করি।সময় গুলোকে ধরে রাখার জন্য।তো বন্ধুরা আজ সারাদিন স্মৃতিময় কেটেছে আমার সারা বেলা।আংশিক আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।আপনার সকলে ভালো থাকবেন। এই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: স্মৃতিচারণ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ করা হয় আমারও, বিষয়টির আমি উপলব্ধি করতে পারছি, এখন খুব বেশি মন খারাপ হয় তখন কিন্তু অতীতের কিছু জিনিস দেখতে খুব ভালো লাগে। সত্যি কখনো জিনিসগুলো আমাদেরকে হাসায় কখনো বা কাঁদায়।
আমি তো ইদানিং প্রায় সময় এরকম অতিতের স্মৃতিচারণ করি। কারণ বাসায় থাকলে বেশিরভাগ সময় একাই থাকতে হয়।আর একা থাকলে অতীত খুব বেশি মনে পড়ে।♥♥
প্রতিটি ব্যক্তি আসলে দিন শেষে একা। কিছুটা সময় সে সন্তানদের ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঘিরে থাকে। সময়ের সাথে সাথে সবাই যার যার নিজের একটা জগত তৈরি করে নেয় । জীবনের তাগিদে চাইলেও কেউ পারে না একসাথে থাকতে। এটাই জীবন।একে মেনে নিয়েই চলতে হবে। ভালো থাকবেন সবসময়।
এটা ঠিক বলেছেন আপু দিনশেষে আমরা প্রত্যেককেই একা।আর এটা জীবনের এক চরম অধ্যায়।।না মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।♥♥
আসলে ঘোরাঘুরি করলে মন মাইন্ড সব ফ্রেশ হয়ে যায় ৷ এজন্য ঘোরাঘুরি প্রয়োজন আছে ৷ সেটা যদি পরিবারের সবাই মিলে হয় , তাহলে সেটা আরো বেশি ভালোলাগার এবং আনন্দের হয় ৷ যাই হোক , সবাই মিলে করোনা কালীন সময় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করেছে জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে একদমই ঠিক বলেছেন , সন্তানেরা বড় হওয়ার সাথে সাথে পিতা-মাতার আর সন্তানের মাঝে একটা দুরত্ব তৈরি হয় ৷ যেটা আসলে দিন দিন বেড়েই যায়...
আপু কেন জানি আপনার আজকের পোস্ট পড়ে আমার চোখে পানি চলে আসলো। জানিনা কেন এমন হলো। তবে আপনার অনুভূতির কথা গুলো আমার মনের মাঝে নাড়া দিল। সত্যি প্রিয় মানুষ গুলোকে ছেড়ে থাকতে আমাদের সবার অনেক কষ্ট হয়। আর সেই কষ্টগুলো কে ভুলে থাকার জন্য আপনি মাঝে মাঝে পুরানো ছবি দেখেন। তবে আপু আপনার কষ্ট গুলো আমি অনুভব করতে পারছি। যাক আপু আপনি সব সময় ভালো থাকেন এই কামনাই করি।
আপু মনে আছে তুমি আমাকে আপু বলে ডেকেছিলে তাই তো বোনের জন্য বোনের খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।আমার ব্লগ পড়ে তোমার চোখে পানি এসেছে জেনে খুব কষ্ট পেলাম।আবার খুব ভালো লাগলো মনে হল তুমি আমার চির আপন।♥♥