বঙ্গবন্ধুর চত্বরে শোকের কবিতা আবৃত্তি করার অনুভূতি,,
সকলকে শোকাবহ শুভেচ্ছা।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ পহেলা আগস্ট।আর আগস্ট মাসকে বলা হয় বাঙালি জাতির শোকাবহ মাস। আর এই শোকাবহ মাস।নীলফামারী বঙ্গবন্ধুর চত্বরে আজ কবিতা আবৃত্তি,, ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।আপনারা সকলেই জানেন এই আগস্ট মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আরো অনেকেই খুনিরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।তাই বাঙালি জাতির জীবনে, এই আগস্ট মাস টি হচ্ছে কালো অধ্যায়ের মাস।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের 7 ই মার্চের একটি ভাষণ একটি জাতির স্বাধীনতার সূর্য। এ যেন এক আঁধার ভাঙ্গা মুক্তি সুখের তূর্য।তিনি প্রাণের চেয়েও এবাংলা কে বাংলাভাষাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন।তার তেজস্বী ভাষণ শুনে বিশ্ববাসী অবাক হয়েছিলেন।মহান এই নেতার মত এমন ভাষণ বিশ্বে কোথাও পাবে না আর কেউ।এই মহান নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাই শোকাবহ এই মাস উপলক্ষে আজকের কবিতা আবৃত্তিতে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম,,বঙ্গবন্ধুর চত্বর নীলফামারীতে।
আজ এখানে অনেক আবৃত্তিশিল্পীরা ছিলেন।অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগলো।এক এক করে সবাই কবিতা পাঠ করলেন।সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয় কবিতা টি আমি আবৃত্তি করেছি।কালো এবং লাল রঙের শাড়ি পড়েছিলাম আজ।কাল হচ্ছে শোকের প্রতীক আর লাল হচ্ছে রক্তের প্রতীক।এই দুই মিলে শোকের রক্তধারা।অনেকেই আমার কবিতা আবৃত্তি অনেক বেশি পছন্দ করেছেন।নতুন করে আজ আবার অনেকের কাছে বাহবা পেয়েছি।
উক্ত অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।ও পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।এই অনুষ্ঠানে নিলফামারীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।এবং আবৃত্তিশিল্পীরা একে একে সকলেই কবিতা আবৃত্তি করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে আমি কবিতা আবৃত্তি করে নিজেও বেশ গর্ববোধ করি।কারণ যুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি তাই বড় আফসোস করি।এবং প্রায় সময় মনে মনে বলি।তখন কেন হয়নি আমার জন্ম।জন্ম হলে আমিও যুদ্ধে যেতাম।এই আফসোস এখনো কুরে কুরে খায় আমাকে।বন্ধুরা শোকাবহ আগস্ট মাস।জাতের কলঙ্ক এক মাসের নাম।আসুন আমরা সকলে মিলে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তার এবং তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয় কবিতার অংশবিশেষ,,,
পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস।
এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ?যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
সে তো আমরা জানিয় আপনি দুর্দান্ত আবৃত্তি করেন।কিন্তু তারপরেও ওই সময় এর আবৃত্তি টা কেনো জানি শুনতে ইচ্ছে করছে হিহি😍।যাইহোক অনেক শুভকামনা আপু আপনার জন্য।
ওই সময়ের আবৃত্তিটা আমার ভিডিও করা আছে আপনি চাইলে আমি আপনাকে দিতে পারি♥♥
অবশ্যই আপু,অপেক্ষায় রইলাম😍
আমি খুব ভালোভাবেই জানি সেখানে আপনি খুবই চমৎকার ভাবে সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। কিন্তু অনুভূতিটা খুবই ভালো লাগার যে আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চত্বরে দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি করছেন। আপনার অনুভূতি পোস্টটি পড়ে আমার ভালো লাগলো।
আমারও খুব ভালো লাগছে আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
♥♥