অভিমানী কন্যার অনুভূতি কবিতায়,,,,,
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি আর আপনারা প্রত্যেককেই খুব ভালো থাকুন এটাই আমার প্রত্যাশা.♥♥
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই অবগত আছেন যে, আমি কল্পনার চেয়ে বাস্তবভিত্তিক লেখালিখি বেশি।কারন আমার চোখের সামনে যা ঘটে যায় তা নিয়ে লিখতে আমার কাছে অনেক সহজ তর হয়।ঠিক তেমনি আজ,,একটি মেয়ের অনুভূতি শেয়ার করব আমার আজকের কবিতায়।একটি মেয়ে সকালবেলা উঠে তাড়াহুড়া করে রান্না করল তার মায়ের জন্য।কারণ মা অসুস্থ তাই মায়ের জন্য দুপুরের খাবার পাঠিয়ে দেবে।খুব যত্নসহকারে সকালবেলা উঠে দেশি মুরগির মাংস খুব সুন্দর করে রান্না করলো।আনুষঙ্গিক আরো অনেক কিছু রান্না করলো।রান্না শেষ করেই টিফিন বাটিতে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে,,মায়ের জন্য পাঠিয়ে দিল।পরদিন মায়ের ওষুধপত্র নিয়ে মেয়েটি নিজেই মাকে দেখতে গেলেন।মেয়েকে দেখে মা বললেন কালকে কি তরকারি রান্না করেছিস এগুলো কোন তরকারি হলো।এদিকে মেয়েটির ছোট ভাবি একইরকম ভাবে বলতে লাগলো।ছি ছি কালকে এগুলো কি রান্না করছিস।তোর ভাইকে একপিস খাওয়াই দিয়েছে তোর ভাই ছিছি বলে ফেলে দিয়েছে মুখ থেকে।কোন ধান্দায় ছিলি রান্না করার সময়।নাকি খুব তাড়া ছিল।তরকারিতে ঝাল নেই লবণ নেই তেল নেই মসলা নেই এগুলো কোন তরকারি হলো।তোর সব তরকারি কাল ফেলে দিয়েছি।আসলে ঠিক সেই মুহূর্তে মেয়েটির বুকে বড় ধরনের একটি ঘূর্ণি ঝড় বয়ে গেল।চোখের রেটিনার ছিড়ে কান্নার প্রলেপ,,ঠোঁটের হাসি দিয়ে তাৎক্ষণিক ম্লান করে দিল।মেয়েটি বাড়ি ফিরে এসে চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো।সেদিন মেয়েটার বাসায় সবাই মিলে সেই দরকার এগুলো খেয়ে ছিল ওই ততত খারাপ হয়নি।বরং সবাই বলছিল বেশ মজা হয়েছে।আজকের এই দিনে অনেকের ভাগ্যে এক টুকরো মাংস জোটে না।আর মেয়েটির ভাবি সেই মাংস তরকারি গুলো নাকি ফেলে দিয়েছে।একবার ভাবুন মেয়েটির মনের অবস্থা।মানলাম না হয় ফেলে দিয়েছে তাই বলে মেয়েটিকে বলতে হবে।মেয়েটির কাছে যখন এই গল্প শুনছিলাম তখন মনে হচ্ছিল এটি আমার নিজের গল্প।তাই মেয়েটির গল্প নিয়ে লিখে ফেললাম একটি কবিতা।চলুন তবে সেই কবিতাটি পড়ে আসি।
সেলিনা সাথী
৬/১০/২০২২
কষ্ট পেলাম মায়ের কথায়
ভাবির আচরণে,,
তীব্র থেকে তীব্রতর
ব্যথা পেলাম মনে।
কষ্ট করে রান্না করে
দিলাম মায়ের জন্য,,
তরকারিটা ফেলে দিয়ে
করেছে আমায় ধন্য।।
তাদের কাছে তরকারিটা
মজা হয় নাই,,
মুখে নিয়ে ছিছি করে
ফেলে দিয়েছেন তাই।।
চুলার কাছে ঘাম ঝরিয়ে
মাংস রান্না করে,,
টিফিন বাটিতে সাজিয়ে দিয়ে
পাঠিয়ে দিলাম পরে।
মায়ের কাছেও লাগেনি মজা
খায়নি পেটপুরে,,
ছোট ভাই মুখে দিয়ে
ফেলে দিয়েছে ছুড়ে।
রান্না নাকি বেজায় খারাপ
মুখে দেবার নয়,,,
এই জায়গাটা কেমন করে
মনে আমার সয়।
তাইতো ভাবি মাংসগুলো
দিয়েছে নাকি ফেলে,,
শোনার পরে দুচোখ ভরে
অশ্রু ডানা মেলে।
আমার বাসায় খেলাম যারা
সবার লেগেছে ভাল,,
বুঝলামনা তাদের মুখে
এমন কেন হল।
ফেলে দিয়েছেন ভালো করেছেন,,
জানালেন কেন আমায়,,
কি আনন্দ পেলেন তারা
আমাকে কাদায়।
আর কোনদিন কখনো তো
দিব না আর কিছু,,
আজকে থেকে মাগো আমি
সরে গেলাম পিছু।
ছেলে বাউদের মজার রান্না
মজা করে খাও,,
ছোট্ট মেয়ে আমি তোমার
যাও ভুলে যাও।
দায়িত্বটা নিবিড় ভাবে
পালন করেছি,,
দিনের-পর-দিন তাই
আঘাত পেয়েছি।
মাগো তুমি থেকেও ভালো
দেখব দূর থেকে,,
নিয়ে যাব না খাবার আর
গিয়েছে পথ বেঁকে।
মনের ভিতর কষ্ট গুলো
করছে ছারখার,,
জমাটবাঁধা আঘাতগুলো
হয়ে আছে ভার।
সত্যি করে বলছি মাগো
পেয়েছি অনেক কষ্ট,
সারারাত কান্না করে
মাথা হয়েছে নষ্ট।
♥
ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলাম।আমার কলমে।।আসলে বাস্তবতা গুলো অনেক কঠিন।। উপলব্ধিগুলো আরো জটিল।। চারিদিকে চোখের সামনে যা দেখি,,তার কিছু অংশ নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করি।)
♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
ভালো হয়েছে কবিতাটা। নিজের মনের অনুভূতি তুলে ধরেছেন। পড়ে ভালো লাগল।
আপু দুনিয়ায় কিছু মানুষ এমন থাকেই যারা অন্যের চেষ্টাটাকে সঠিক মূল্যয়ন করতে পারে না।তারা ভাবে মানুষকে কথা শুনাতে পারলেই বড় হওয়া যায়।কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে সমাজের একটি অসঙ্গতি শেয়ার করার জন্য।
আসলে একমাত্র মানুষ। আমরা যারা কখন, কোথায়, কিভাবে, কার সাথে, কি কথা, বলতে হয়, তা শিখতে আমাদের সারাজীবন লেগে যায়।আফসোস তবুও শিখে উঠতে পারিনা।আর তাইতো উপলব্ধিতে আসেনা আমার কোন কথা কাকে কিভাবে আঘাত করবে।♥♥
তাদের কাছে তরকারিটা
মজা হয় নাই,,
মুখে নিয়ে ছিছি করে
ফেলে দিয়েছেন তাই।
ওয়াও খুবই অসাধারণ আপনি এত সুন্দর কবিতা লিখেছেন। পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আপনার কবিতাগুলো আমি সবসময় পড়ে থাকে আমার কাছে খুব ভালো লাগে কবিতাগুলো। আজকের কবিতাটি অসাধারণ লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি খুব ভালো করে জানি প্রিয় আপু মনি। আপনি আমার কবিতা এবং আমার লেখায় নিয়মিত পাঠক এবং সুন্দর মন্তব্যকারী।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা আপনার জন্য♥
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন অভিমানী কন্যার অনুভূতি। সত্যিই অসাধারণ আপনার কবিতা পরে আমার কাছে এত ভালো লাগলো। প্রতিটি কবিতা লাইন অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার লেখার সহজ সরল ভাষার কবিতা আপনার কাছে ভাল লেগেছে। জেনে খুব খুশি হলাম।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।♥♥
অভিমানী কন্যার অনুভূতি কবিতাটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি বলতে আপু আপনার কবিতাটি অনেক সহজ সরল ভাষায় আপনি লেখা ছিলো। তরকারি মুখে নিয়ে ছিছি করে ফেলে দিয়েছেন এই বিষয় টা আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে আপু।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমি খুব সহজ-সরল ভাষায় কবিতা লেখি। যেন আমার কবিতার ভাষা, অর্থ প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ বুঝতে সহজ হয়।♥♥
আমার কবিতা পড়ে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হয়েছি। এভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ♥♥
প্রথমেই বলতে হচ্ছে আপু আপনি অনেক সুন্দর। আপনার ছবিটি তার প্রমান । আপনাকে যতই দেখছি আমি অবাক হচ্ছি আসলে একটি কথা আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে এই কথাটি আসলেই আপনার জন্যই প্রযোজ্য। কারণ আপনি অল স্কয়ার।বাস্তবতা নিয়ে আমাদের মাঝে সুন্দর একটি কবিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপুমণি।♥♥