"ব্রিগেড মাছের মজাদার রেসিপি"||~~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও অনেক ভালো আছি। আর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা ।
বন্ধুরা,, আজ আবারো খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি সেলিনা সাথী। একটা সময় ছিল যখন আমি সবসময় রান্না করতাম। এবং রান্না শেখার প্রতি আমার ছিল তীব্র আকাঙ্ক্ষা।তখন রেসিপি'র বই দেখে দেখে রান্না শিখতাম কিংবা টেলিভিশনে রেসিপির ভিডিও গুলো দেখতাম।এবং সেই অনুযায়ী রান্না করতাম। এভাবে আমি অনেক রান্না শিখেছিলাম। এবং আমার রান্নার ভক্ত ছিল বিশেষ করে আমার বাবা। বাবা আমার রান্না খুবই পছন্দ করতেন এবং খুব মজা করে খেতেন।শুধু বাবা না যারা আমার রান্না খেতেন সবাই বেশ প্রশংসা করতেন।তবে মাঝখানে প্রায় তিন বছর আমি সেভাবে রান্না ঘরে ঢোকার সময় পায়নি।সারাক্ষণ শুধু দৌড়ের উপরে ছিলাম কাজ আর কাজ।এই ফাঁকে রান্না প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।মা যেভাবে রান্না করে দিক না কেন খুব মজা লাগতো।আর আমি রান্না করলে তেমন একটা ভালো হতো না।তবে ইদানিং আবার যাই রান্না করি না কেন? অনেক বেশি মজা হয়।বন্ধুরা আমার জীবনে আমি শুধু ইলিশ মাছ ছাড়া আর কোন মাছই তেমন খাই না।মাছ দেখলে আমার কেমন যেন লাগে তা ভাষায় বোঝাতে পারব না।তাই আজ বাজার থেকে ব্রিগেড মাছ কিনে আনা হয়েছে।সেই ব্রিগেড মাছের রেসিপি আপনাদের সামনে আজ আমি শেয়ার করব।
কিভাবে আমি ব্রিকেট মাছ রান্না করলাম সেই পদ্ধতিতেই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।তবে এটা সত্যি কথা যে আমি খুব কম মাছ রান্না করি।আমার রেসিপি কি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার অনেক ভালো লাগবে।
♦ব্রিগেড মাছ
♦পেঁয়াজ
♦কাঁচামরিচ
♦লাল মরিচের গুঁড়া
♦লবণ
♦হলুদ
♦জিরা বাটা
♦জিরা গুড়া
♦ তেল
♦প্রথমে মাছগুলো খুব ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
♦এবার লবণ হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
♦লবণ, হলুদ, লাল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মাছগুলো খুব ভালো করে মেখে নিলাম।
♦এবার একটি কড়াই চুলার মধ্যে দিয়ে, তাতে তেল গরম করে নিয়ে, এরপর মাছগুলো ভাল ভাবে ভেজে নেব।
♦ঠিক এভাবে লাল লাল করে মাছগুলো ভেজে নিলাম।
♦এরপর পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ খুব ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
♦এবার লবণ, হলুদ, জিরা বাটা, জিরা গুড়া, লাল মরিচের গুড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম সেই সাথে সামান্য একটু পানি দিয়ে দিলাম।
♦এবার সব মসলার উপকরণ গুলো খুব ভাল করে ভেজে নিব।
♦বন্ধুরা লক্ষ্য করে দেখুন আমার মসলাগুলো একদম পারফেক্ট ভাজা হয়ে গেছে।
♦এবার মসলা গুলোর মধ্যে ভাজা মাছ গুলো ঢেলে দিয়ে আলতো করে একটু ভেজে নেব।
♦এবার সামান্য একটু পানি দিয়ে উপর থেকে ভাজা জিরার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে, ভালোভাবে ঢেকে দেবে।
এরপর 5 থেকে 7 মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে নেব।
♦রান্না করা হয়ে গেল ব্রিগেড মাছ।মজাদার এই মাছের রেসিপি দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে
।খেতেও কিন্তু তেমনি সুস্বাদু হয়েছে
আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যারা খেয়েছে সবাই বলেছে অনেক মজা হয়েছে।
বন্ধুরা জানিনা আমার রেসিপি আপনাদের কেমন লাগলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার সার্থকতা।
♦বন্ধুরা আমার কাছে মনে হয় পরিবেশনের আগে আমরা যদি খুবই চমৎকার করে রেসিপিটি ডেকোরেশন করে নেই। তাহলে কিন্তু দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর ডেকোরেশন টা আমার কাছে একটা শিল্পের মতো।আজকের মত এখানেই। যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না আবার ফিরে আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
একটা সময় আমিও রান্নার রেসিপি গুলা দেখতাম এবং লোভনীয় চোখে তাকিয়ে থাকতাম।ভয় লাগতো অবশ্যই।আর আজকের রেসিপিটি কিন্তু দারুন হয়েছে।আর হ্যা একদিন দাওয়াত দিয়েন দেখব আপনার রান্নার হাত কেমন হিহি😍।
চলে আসেন নীলফামারী। যে কোনো সময়।। এ সময় আমি বাড়িতেই আছি। আসলে আমি নিজেই রান্না করে খাওয়াবো। আর তখন বুঝবেন কতটা রান্না করতে পারি। হা হা হা,,,
♥♥
ব্রিগেড মাছের মজাদার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। ব্রিগেড মাছ অনেক দিন হলো খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।♥♥
ব্রিগেড মাছের রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা হয়েছে। ব্রিগেড মাছে রান্নায় ট্মেটো ব্যবহার করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। ব্রিগেড মাছ আজ প্রথম রান্না করলাম।♥♥
আপু আপনার রান্না খেয়ে যেহেতু সবাই প্রশংসা করে আমাদের কেউ একদিন দাওয়াত করে খাওয়ান তাহলে আমরাও আপনার প্রশংসা করব ।কারণ আপনার রান্না দেখেই বোঝা যাচ্ছে দারুন মজা হবে। আসলে অনেকদিন রান্না না করলে তখন মানুষ রান্নার তাল ভুলে যায় আর তাই রান্না হয়তো খুব মজা হয়ে ওঠে না এখন যেহেতু আপনি আবার রান্না করেন তাই রান্না মজা হচ্ছে। আমি আজকেও ব্রিগেড মাছ দিয়ে টক পাতা রান্না করেছি। আসলেই আপু ব্রিগেড মাছ একটি মজার মাছ দারুন রান্না করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় আপু
।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। তবে এটা ঠিক রান্না নিয়মিত করলে অবশ্যই রান্না মজা হয়। তার জ্বলন্ত উদাহরণ আমি।♥♥
রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে সেই কারণে আপনার বাবা সম্ভবত আপনার রেসিপির অনেক বড় বেশি ফ্যান ছিল। যদিও আপনার রেসিপি খেয়ে দেখার সুযোগ নেই তারপরও দেখে যেটা বুঝতে পারছি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমিও আপনার রেসিপির ফ্যান হয়ে গেলাম। এত চমৎকার ও সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার বাবা আমার হাতের পোলাও-মাংস এগুলো খুব বেশি পছন্দ করতেন। যাইহোক আজ থেকে আপনি আমার রেসিপির ফ্যান হয়ে গেলেন। জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
যত যাই বলুন না কেন আপু শত কর্ম ব্যস্ততা থাকলেও রান্না করেই যেতেই হয় নারীদের। তবে হ্যাঁ আপনি কর্মব্যস্ত মানুষ তার মাঝেও দারুন দারুন রেসিপি করেন। আজকে বিগ্রেড মাছের সুস্বাদু রেসিপি উপহার দিয়েছেন। তবে বিগ্ৰেড মাছের স্বাদ কেমন সেটা আমি জানিনা। কারন এই মাছ আমি একেবারেই পছন্দ করি না। আমিও আপনার মত ইলিশ প্রেমি। মনের ভাবগুলো গুছিয়ে লিখার সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমি ইলিশ মাছ ব্যতীত অন্য কোন মাছের স্বাদ জানিনা। তবে, আজ প্রথম ব্রিগেড মাছ রান্না করলাম।
♥♥
ব্রিগেড মাছের রেসিপিটি এত সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন যেটা আসলে অনেক মজার এবং টেস্টি হওয়ার কথা। আর আপনার রেসিপির কালার টি দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটি অনেক মজার এবং টেস্টি ছিল।
ব্রিগেড মাছকে আমরা সিলভার কার্প মাছ বলি।যাইহোক রান্না শিখতে আমার ও বেশ ভালো লাগে।তবে এটা ঠিক, যেকোনো জিনিস চর্চা না থাকলে ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক।আবার চর্চা করতে করতে ঠিক হয়ে যায় যেমন আপনার রান্নার ক্ষেত্রে ।সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে আবার রান্না শুরু করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আমিও আপু সুযোগ পেলে রান্না দেখি আমার ও ভালো লাগে রান্না করতে।তবে সব সময় তো আর ভালো হয় না আমার রান্না, মাঝে মাঝে কি বাজে স্বাদ হয় আপু😂।যাই হোক বিগ্রেড মাছের রেসিপির কালারটা বেশ দারুন হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপু আপনার ব্রিগেড মাছের মজাদার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। এভাবে যেকোনো মাছ ভুনা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। যেহেতু কালার এত সুন্দর হয়েছে তার মানে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু মনি আপনি একদম ঠিক বলেছেন। যারা মাছের এই রেসিপিটি খেয়েছে। তারা প্রত্যেকে বলেছে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।♥♥