জীবন থেকে নেয়া সেরা গল্প,,,"কবিতার ভক্ত পাঠক"শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)


♥আসসালামুয়ালাইকুম/ আদাব♥


সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা,, আমার জীবন থেকে নেয়া "কবিতার ভক্ত পাঠক" গল্পে আবারো ফিরে আসলাম।বেশ কিছুদিন আগে,এই গল্পের প্রথম পর্ব লিখেছিলাম।আজ দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


dropshadow_1655957504112.jpg



♥ কবিতার ভক্ত পাঠক♥

শাহিন সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার দুই মাস পর আবারও আমার কাছে কল দিলো।অন্য নাম্বার থেকে বিদেশ থেকে কল এসেছে দেখে অনেকটা বিস্মিত হলাম।যাইহোক দুইবার রিং হওয়ার পর ফোনটা রিসিভ করলাম।ওই প্রান্ত থেকে খুবই চমৎকার সাবলীল কন্ঠে ভেসে আসলো সাথী কেমন আছো । আমি অবাক হলাম! আমার নাম ধরে কেউ এভাবে বলছে কন্ঠটা অনেক চেনা কিন্তু চিনতে পারছিনা।তাছাড়া শাহিন কখনো আমার নাম কিংবা তুমি করে সম্মোধন করে নি।তাই কিছুটা অবাক হলাম।এরপর সে আবারো বলল আপনি কি অবাক হচ্ছেন?আমাকে চিনতে পারছেন না নিশ্চয়ই।আমি বেশ থতমত হয়ে বললাম কে বলছেন আপনি।আপনার কবিতার ভক্ত পাঠক বলছি, আমি শাহিন।আপনি কি জানেন আপনার কবিতার বইয়ের প্রতিটা কবিতা অসংখ্যবার করে পড়েছি আমি। কিন্তু সত্য কথা বলতে আজ পর্যন্ত আমি আমার মন ভরাতে পারেনি। আপনার নতুন নতুন কবিতা পড়ার আগ্রহ আরো বেড়ে যাচ্ছে।প্লীজ ম্যাম আজকে যদি আপনার কন্ঠে একটি নতুন কবিতা শুনতে পেতাম,, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। দেখুন এই বিদেশের মাটিতে প্রিয় জন আপনজন মা-বাবা সবাইকে ছেড়ে এসেছি।আমার আবদার বলুন অনুরোধ বলুন রাখলে আমি খুব খুশি হব। কিন্তু আমি কেন যেন ওর প্রতি সদয় হতে পারলাম না।চটপট বলে দিলাম কবিতা শোনানোর মত সময় আমার হাতে নেই।তাছাড়া আমি আপনাকে অনুরোধ করবো আপনি কোনদিন কখনোই আমাকে কল দিয়ে বিরক্ত করবেন না । আমাকে কল না দিলে আমি অনেক বেশি খুশি হব। প্লিজ আপনি আমার এই অনুরোধটি রাখবেন।শাহিন প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল আপনি এভাবে বলতে পারলেন।দেখুন সাথী একজন ভক্ত পাঠক কে এভাবে আঘাত করা কি আপনার উচিত হল।?? সত্যিই অনেক বেশি কষ্ট পেলাম। আমার মা-বাবার পরে সবচেয়ে বেশি আপন আপনার লেখাকে আমি মনে করি।যাইহোক আমি আবারো আপনাকে কল দিব শুধু আপনার কবিতা শোনার জন্য।


dropshadow_1655957596430.jpg



আমার এই রূঢ় আচরণ এ শাহিনের মনে ঝড় উঠে গেল।সে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করতে লাগলো একজন কবি একজন সাহিত্যিক এরকম হতে পারে? এরা সত্যিই কি করে এত নিষ্ঠুর হয়। বোঝাতে পারলাম না। আমি ওনার কবিতা কত পছন্দ করি।উনি কেন যে আমাকে ভুল ভাবতেছে সেটাই বুঝতে পারছি না। এরকম ভাবতে ভাবতে সাতদিন পর আবারও একটি এসএমএস, সে আমাকে দিলো।এসএমএস, সে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল আমি কি আপনার সাথে অশালীন কোন ব্যবহার করেছি ? আমার অপরাধ কি? আপনার লেখা আমার এত বেশি পছন্দ সেটাই কি আমার বড় অপরাধ? কেন আপনি আমার সাথে দু'এক মিনিট ভালোভাবে কথা বলতে পারেননা। সত্যিই আমার অপরাধ কি আজ আপনাকে বলতেই হবে?
এসএমএসটি দিয়েছে সকালে সে রাত্রে আমাকে আবারো ফোন দিল।ফোন দিয়ে একটি কথা বলল আমি কি আপনার অনিচ্ছুক মনটাকে বারবার বিরক্ত করছি।যদি তাই হয়ে থাকে,,তাহলে আজকের পর আপনাকে কল দিব না শুধু আজ আমার কিছু কথা থাকে শুনতে হবে এটা আমার একান্ত অনুরোধ।দেখুন আপনাকে অনেক সম্মান অনেক শ্রদ্ধা করি।আমার চোখে মুখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমি আজ বিদেশের মাটিতে প্রবাসী হয়ে আছি।এবং বিদেশে আসার জন্য আমার বড় দুলাভাইয়ের অনেক অবদান আছে।আমি আমার মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।আর তাই আজ আমি প্রবাসে।আরো অনেকগুলো স্বপ্নের কথা শেয়ার করলো শাহীন আমার সাথে। আমি নিশ্চুপ হয়ে সব শুনে গেলাম ওর প্রতি উত্তর না করে।শাহিন পরিশেষে আমাকে একটি ধন্যবাদ দিয়ে বলল আমার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আপনি যদি আপনার লেখা নতুন কোন কবিতা আমাকে শোনাতে না চান তবে প্লিজ এসএমএস আকারে দিয়েন আমি পড়ে আমার মনটাকে শান্ত করব। আপনি এত সুন্দর কবিতা লিখেন কেন নিশ্চয়ই আপনার পাঠকরা পড়বে। বিনোদন পাবে। এই জন্যই তো। আমি আপনার একজন কবিতার ভক্ত পাঠক।। আমাকে এতটা অবহেলা করছেন কেন বুঝতে পারছি না। আমি সেদিন শাহীনকে একটি কবিতা শুনিয়ে ছিলাম। জীবনের প্রথম।সে আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছিল।এবং অতি উৎসাহী হয়ে বলল এতদিন শুধুমাত্র আপনার লেখা কবিতার ভক্ত ছিলাম আর আজ থেকে আপনার কবিতা আবৃত্তির ও ভক্ত হয়ে উঠলাম।সত্যিই আপনি যেমন সুন্দর লেখেন ঠিক তেমনি সুন্দর আবৃত্তি করতে পারেন। অসাধারণ।। আমার মনটা সত্যিই আজ ভরে গেছে। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই খুশিতে আমি আপনাকে একটি উপহার দিতে চাই,, আপনি গ্রহণ করলে নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করতাম।।আমি বললাম সরি,, আপনার কোনো উপহার আমি নিতে পারবো না। এভাবেই মাঝে মাঝে সে ফোন দিয়ে আমার কাছে কবিতা চাইতা।একদিন ভীষণ রেগে গেলাম আপনি আর কোনদিন কখনো আমাকে কল দেবেন না।আমি জানিনা কেন যেন ওর কথা আমার একদম ভালো লাগতো না।ও যে আমার কবিতার এতটাই ভক্ত এই ফিলিংসটা আমার ভিতরে কাজেই করতোনা।সেদিন থেকে ও মন খারাপ করে আমাকে আর কখনোই কল দিত না। প্রায় তিন বছর। তিন বছর পর হঠাৎ করে আবারো আমার ফোনে কল আসলো।একটি গ্রামীণ নাম্বার দিয়ে।ফোনটা ধরে সালাম দিলাম।এবং জিজ্ঞেস করলাম কে বলছেন।অপরপ্রান্ত থেকে বলছে আমি শাহিন। গতকাল বাংলাদেশে এসেছি।প্লিজ আমার একটি অনুরোধ আছে এই অনুরোধটি আপনার রাখতেই হবে। আমি বললাম কি? সে বলল আগামীকাল আপনার সাথে একটু দেখা করতে চাই। জাস্ট এক মিনিট এর জন্য। আমি বললাম কেন??সে বলল কিছু মনে করবেন না সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে আমি আপনার কাছে একটি বই নিয়ে গিয়েছিলাম এবং সেটির শুভেচ্ছা মূল্য আমি আপনাকে দেইনি। তাই সেই শুভেচ্ছা মূল্য স্বরূপ আপনার জন্য কিছু গিফট এনেছি প্লিজ এগুলো আপনাকে নিতেই হবে।আমি বললাম সরি।সে অনেক বেশি অনুরোধ করল।ঠিক আছে আমার উপহার গুলো আপনার নিতে হবেনা কিন্তু একটা মিনিট আমি আপনার সামনে আসতে চাই।আমি বললাম পারব না।একটা পর্যায়ে ও উত্তেজিত হয়ে খুব রাগান্বিত ভাবে আমাকে বলল আপনার মতো এত অহংকারী মানুষ আমি আমার জীবনে আর একটিও দেখিনি।ঠিক আছে আজকের পর থেকে আমি আর কোনদিন কখনই আপনাকে কল দিব না। আপনাকে বিরক্ত করব না। এবং আমার জীবনের শেষ কল টি যেন আজকেই হয়ে থাকে। এরপর আর কোনদিন কখনোই আমি শাহিন আপনাকে বিরক্ত করবো না। কথা দিচ্ছি। তার সাথে আমার কথা হলো সকালে।আশ্চর্যজনকভাবে সন্ধ্যেবেলা,, একটা অন্য নাম্বার থেকে কল আসল। এবং খুব বিমর্ষ ভাবে বলছিল আপনি কি সাথী আপু বলছেন,, কাইন্ডলি এক্ষুনি নীলফামারী সদর হাসপাতালে আসুন।শাহিন ভাই মারা গেছেন ওর লাশ এখন হাসপাতালে।ছেলেটি এমন ভাবে বলে ফোনটা রেখে দিল। আমি মুহূর্তেই অসাড় হয়ে গেলাম।এটা কি করে সম্ভব সকালে ওর সাথে কথা হল।আমি নির্বাক ভাবে কিছুক্ষণ থাকলাম,,জ্যান্ত লাশ এর মত।এরপর জানি না আমার কি হলো আমি যে অবস্থায় ছিলাম সেই অবস্থায় বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে সোজা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ছুটে যাই।গিয়ে দেখি শত শত মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমেছে।আমাকে দেখে একটি ছেলে আমার দিকে এগিয়ে আসলো।ছেলেটি বলল আপু আমি ওর সাথে বাইকের পিছনে ছিলাম আর ও বাইক চালাচ্ছিল।হঠাৎ একটা বৃদ্ধ লোক সাইকেল নিয়ে সামনে ঢুলাঢুলি করছিল তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই road-accident এবং সাইকেলের স্পোক ঢুকে যায় শাহিনের মাথার ভেতরে।তখনো শাহিন একটি কথাই আমাকে বলেছিল যে সাথী আপুকে বলবি আমার লাশটা একবার হলে ও যেন দেখে যায়।এবং বলছিল ওর ফোনের ডায়াল এ আপনার নাম্বার আছে।হাসপাতাল নিয়ে এসে 5 মিনিটের মধ্যেই শাহিন মারা যায়।আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।আমি বরাবরই লাশ দেখলে ভয় পাই। লাশ দেখতে পারিনা।কিন্তু সেদিন আমার মন কোন ভাবেই মনে হচ্ছেনা। শাহিন মারা যেতে পারে। বিশ্বাস করার জন্য আমি ওদেরকে বলছিলাম আমি ওকে একটু দেখতে চাই।হাসপাতালে যে রুমে লাশটা রাখা ছিল সেই রুমের জানালা দিয়ে আমি ওর লাশটা একনজর দেখে নিলাম।।ও যেন ঠিক আমাকেই দেখছে।ওর চোখ দুটো খোলা ছিল।ওর লাশ দেখার পর ,, আমি মুহূর্তেই অচেতন হয়ে পড়ে গেলাম।বুকের ভেতর কেমন যেন একটা যন্ত্রনা উঁকি দিচ্ছে।আর ওর শেষ কথাটা বারবার মনে পড়ছে এটাই যেন আপনার সাথে আমার শেষ কথা হয়। আর কোনদিন কখনো আপনাকে বিরক্ত করবো না। বারবার মনে পড়তে ছিল।নিজের প্রতি নিজের রাগ ক্ষোভ এমনভাবে যন্ত্রণা দিচ্ছে যে, আমি আজ পর্যন্ত সেই বিষয়টি নিয়ে নিজেকে ক্ষমা করতে পারছিনা।কেন যেন নিজের কাছে নিজেই অপরাধী হয়ে গেছি।কারা যেন আমাকে আমার বাসায় রেখে গেলো।বোধ আসার পর আমি আবারও মোবাইলটা হাতে নিয়ে সেই নাম্বারে জীবনে প্রথমবারের মতো ফোন দিলাম।কারণ আমি কিছুতেই মানতে পারছিলাম না শাহিন আর নেই।ওর ফোনটি রিসিভ করলো ওর একজন চাচতো ভাই।হুবাহু শাহিনের মত কন্ঠ।আমি নিজের অজান্তেই বলে উঠলাম শাহিন কেমন আছো।ওই প্রান্ত থেকে উত্তর আসলো আপু আপনি মনে হয় ভুল করছেন।। আমি শাহিন নই,, আমি শাহিনের চাচতো ভাই।আপনি হয়তো জানেন না শাহিন আর আমাদের মাঝে নেই।ওই দিনই ছিল জীবনের প্রথম শাহিনের নাম্বারে কল দিয়েছিলাম এবং জীবনের শেষবারের মতো।

dropshadow_1655957504112.jpg

ওর মৃত্যুর তিন দিন পর ওর বড় বোন আমার বাসায় আসে।এবং আমার হাত দুটো ধরে বলে আপু মনি শাহিন যদি আপনাকে বিরক্ত করে থাকে তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি।কারণ শাহিন আমার একমাত্র ভাই ছিল।এবং ও আপনার লেখা কবিতার বড় ভক্ত ছিল। প্রতিদিন ফোন দিয়ে আপনার কথাই আমার সাথে হত ঘন্টার পর ঘন্টা।ওর 5 বছর পর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল।কিন্তু শুধুমাত্র আপনার কবিতা পড়বে বলে ও আবার বাংলাদেশে আসে কারন ওর খুব ইচ্ছে ছিল আপনার আরো কিছু কবিতা নিয়ে এরপর সে আবার সিঙ্গাপুরে ফিরে যাবে।কিন্তু আপু আপনি ওকে বারবার ভুল বুঝেছেন।ও সত্যিই আপনার কবিতার পরম ভক্ত পাঠক ছিল।ও আপনার জন্য ডাইরি কলম আরো কিছু গিফট এনেছে এগুলো যদি আপনি নিতেন আমি খুশি হতাাম। এটা ওর জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিল।প্লিজ আপু আপনি আমাকে আজ ফেরাবেন না।আমি কেঁদে কেঁদে বললাম আপু আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি এগুলো নিতে পারব না। কারণ ও জীবনে বেঁচে থাকতেই ওর কথা আমি রাখতে পারিনি।আর এগুলো নিয়ে এখন আমার ঘরে রাখলে আমি বাকি জীবনটা অশান্তিতে কুরে-কুরে মরবো।ওর এই স্মৃতিগুলো আমাকে প্রতিনিয়ত আরো বেশি যন্ত্রণা দেবে।তখন ওর বোন একটা চিরকুট আমার হাতে দেয়।যেখানে লেখা ছিল সাথী আপু আমার মত এত কবিতাপ্রেমী পাঠক আপনার জীবনে আর নাও আসতে পারে।তবে যদি কেউ আসে প্লিজ তার সাথে আমার মত ব্যবহার করবেন না এটা আমার শেষ অনুরোধ।ইতি আপনার কবিতার ভক্ত পাঠক,,,,,,,

dropshadow_1655957548528.jpg

dropshadow_1629707620635.jpg

আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।




3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpq77jw4XPQMecE5Rz5bgPEz1Z1oZLbNW5N67oF5YfojwgQAL2FYSdD4RtUiqqjd7JEiagRSFFDh1UcFPpKDSFF7LXFTUzQazXN5piXY.png


🌼ধন্যবাদ🌼

Sort:  

আপনার কবিতার ভক্ত পাঠক গল্পটি‌ পড়ে বেশ ভালই লাগলো। আসলো পুরো পোস্টটি না পড়লে কেউ বুঝতে পারবে না। সত্যি আপনার সেই মানুষটি আপনার কবিতা একজন বড় ভক্ত পাঠক ছিল। সেই মানুষটি তার মৃত্যুর সময় বলে গেছে। আপনি যেন তাকে শেষ বারের মতো দেখতে যান। মানে একজন আরেক জনকে কতটা আপন ভাবলে।এই রকম কথা বলতে পারে। সত্যি যখন আপনার কবিতা ভক্ত পাঠক গল্পের প্রতিটি লাইন। পড়তে ছিলাম তখন বেশ ভালো লাগতে ছিলো। যখন পড়তে পড়তে শেষের লাইন গুলো পড়তে শুরু করলাম। তখন কেনো জানি অন্য রকম লাগতে ছিলো। যাই হোক পুরো বিষয়টি না পড়লে কেউ বুঝতে পারবে না। সে কতো বড় একজন আপনার কবিতা ভক্ত পাঠক ছিলো। মনে রাখবেন সেই রকম আমি ও আপনার কবিতার একজন বড় ভক্ত পাঠক। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল। ❤️❤️❤️

 2 years ago 

আসলে এই গল্পটিতো শুধু গল্প নয়, এটি হচ্ছে বাস্তবতা।এখনো শাহিনের কথা মনে হলে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম♥♥

 2 years ago 

আপনার স্টোরিটা পড়ে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। শাহিন আপনার একজন কবিতার ভক্ত পাঠক ছিল। যে মৃত্যুর আগেও আপনার কবিতার পাগল ছিল। ওনার শেষ অনুরোধ টা রাখিয়েন। আমিও আপনার কবিতার ভক্ত পাঠক।

 2 years ago 

তবে শাহিনের মত এতটা অন্ধ ভক্ত পাগল হলে চলবে না।ও কবিতার প্রেমে এতটাই পাগল ছিল যে সিঙ্গাপুরে গিয়েও বেশিদিন থাকতে পারেনি।কারণ তখন আমি ফেসবুক ইউজ করতাম না।যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা♥♥

 2 years ago 

আপু শাহিনের মত অনেক পাঠক আছে যারা সব সময় কবিতাগুলো ভালোভাবে পাঠ করে থাকে । এছাড়া পাঠক আপনার কবিতার এতটাই ভক্ত যে আপনার কিছু কবিতা নিয়ে সে সিঙ্গাপুরে যেতে চেয়েছে। অসাধারণ লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার জীবন থেকে নেওয়া গল্পটি অনেক মুভির গল্পকেও হার মানাবে। পর্বটি পড়ে একটু খারাপ লাগলো শাহিনের জন্যে। এত এত সুন্দর কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61129.70
ETH 2660.38
USDT 1.00
SBD 2.55