স্বপ্নপুরীর একমুঠো ফটোগ্রাফি |||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি।আর আপনারা সবসময় সকলেই ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আপনাদের জন্য এক মুঠো স্বপ্নপুরীর ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি।সুন্দর সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো নিশ্চয়ই আপনাদের মন কেড়ে নেবে।আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে আমরা গত শুক্রবার প্রতিবেশী বনভোজন 2023 স্বপ্নপুরীতে গিয়েছিলাম।সেখানে সবাই মিলে খুব মজা করেছি হৈ-হুল্লোড় করেছি।বেশ আনন্দঘন মুহুর্তটি ছিল।আর সেই সাথে স্বপ্নপুরীর নান্দনিক সব মনকাড়া দৃশ্যগুলো হৃদয় মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিচ্ছিলো।তখনই মাথায় এলো কিছু ফটোগ্রাফি করি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাবে।খুব বেশি ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পাইনি। তাইতো একমুঠো স্বপ্নপুরীর ফটোগ্রাফি নিয়ে এলাম।চলুন তাহলে সেগুলো উপভোগ করি।
বন্ধুরা শুরুতেই স্বপ্নপুরীর প্রধান কার্যালয়ের ফটোগ্রাফি দিয়ে শুরু করলাম।প্রধান কার্যালয়টি আমার কাছে বেশ নান্দনিক মনে হয়েছে।প্রধান কার্যালয়ের সামনে রয়েছে বিশাল বড় একটি পুকুর।এবং পুকুরের সামনে রয়েছে খুবই চমৎকার শহীদ স্মরণে শহীদ মিনার।স্বপ্নপুরী আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। যতবারই যায় না কেন আমার কাছে কেন যেন নতুনত্ব ই মনে হয়।
কি চমৎকার সবুজের সমারোহ।দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।ঠিক যেন পদ্মপাতা। নিখুঁত কারুকাজ।স্বপ্নপুরীতে পদ্মপাতা যেন স্বপ্নের পাতায়।এঁকে নিলাম হৃদয় আঙ্গিনায়।
স্বপ্নপুরীতে নানা রকমের তারকা।নানা রঙের নানা স্টাইলের এসব স্টার সবার দৃষ্টি কে করেছে পুলকিত।
সত্যি বলতে এসব স্টার আমার কাছে দারুন লাগছিল দেখতে।এ যেন তারার মেলা।
এখানে দেখে আসলাম আদিম যুগের আজব জাদুঘর। যাদু ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে আলাদা টিকিট করতে হয়। আবার কি সুন্দর খোদাই করে লেখা থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে।যতই দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছি।
স্বপ্নপুরী ঘুরে ঘুরে যতই দেখবেন ততই চোখদুটো মুগ্ধ হয়ে যাবে। স্বপ্নপুরীর দৃশ্যগুলো স্বপ্নের মতই সুন্দর।অপরূপ এই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো নতুন নতুন কাব্য সৃষ্টি করে।কবিতায় কাব্য স্বপ্নপুরীর সৌন্দর্য।
মায়ের কোলে শিশুর হাসি দেখতে ভীষণ ভালোবাসি।মুগ্ধতা রাশি রাশি এ যেন অদ্ভুত এক দৃশ্য।আত্মার মাঝে আত্মা।প্রাণের স্পন্দন।মায়ের মমতায় শিশুর নির্ভরতা।আসলে এই দৃশ্য কোন সিনেমার নয়। মা ও সন্তানের নিবিড় ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।
বন্ধুরা আজকের মত এখানেই। আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো যদি আপনাদের এতোটুকু ভালো লেগে থাকে, তবে আমার সার্থকতা। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
লোকেশনঃhttps://w3w.co/debates.multipart.herewith
ডিভাইসঃ OPPO A5
২০ জানুয়ারি২০২৩
স্বপ্নপুরী, বাংলাদেশ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
স্বপ্নপুরী এর নাম খুব ভাল লেগেছে। সেখানকার ছবি দেখে খুব ভাল লেছে। ভিতরের পরিবেশ সুন্দর। ছবিগুলোও সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে গিয়েছিলেন আমরা সকলেই জানি। আজকে সেই ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে তো দারুন লাগছে দেখতে। স্বপ্নপুরীর মাঝে আপনাকে পরীর মত লাগছে। চারপাশের সৌন্দর্য যেন আপনার ছোঁয়ায় আরো বেড়ে গেছে।😍😍
হাহাহা আপু একটু বেশি বলে ফেললেন না? আসলেই স্বপ্নপুরী দেখতে অনেক সুন্দর। মনমুগ্ধকর পরিবেশ।
আর আপনার দৃষ্টি সুন্দর তাই সুন্দর দেখাচ্ছে,,,,♥♥
আপু আপনি স্বপ্নপুরীতে খুব মজা করেছেন। ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে দিনটি আপনার খুব আনন্দে কেটেছে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সেই জায়গাটি ছিল খুবই মনো মুগ্ধকর। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে। মন ও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ঘোরাঘুরি করা খুব প্রয়োজন। আমার কাছে ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
সত্যি সত্যি সেদিন আমরা স্বপ্নপুরীতে খুবই মজা করেছিলাম। প্রতিবেশীরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম তো। তাই মজাটা একটু বেশি হয়েছিল।।♥
আপু আপনি স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো । দু বছর আগে আমিও একবার গিয়েছিলাম পরিবারের সবাই মিলে। স্বপ্নপুরীতে অনেক দেখার মত জায়গা রয়েছে। স্বপ্নপুরীর প্রতিটি স্থান দেখলে মন ভরে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে যাওয়ার সুন্দর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু দু'বছর আগে আমিও গিয়েছিলাম স্বপ্নপুরীতে। আবারো সেদিন গেলাম পিকনিকে। বেশ ভালই লাগলো।♥♥
স্বপ্নপুরী আমাদের এখান থেকে খুব একটা দূরে নয়। তবে আমি মনে হয় যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন গিয়েছিলাম। তারপর আর যাওয়া হয়নি। এ ধরনের কাঠের ওপর নাম লেখাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আমার ঘরে এখনও আছে। ধন্যবাদ আপু আপনার ভ্রমনের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ক্লাস নাইনে গিয়েছিলেন স্বপ্নপুরীতে। সে তো অনেক দিন আগের কথা। এখন গেলে আরো বেশী ভালো লাগবে আপু।কাঠের ওই বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা লেখাগুলো আমারও খুব পছন্দ।♥♥
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দিয়ে স্বপ্নপুরী তে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন।বছর দুয়েক আগে স্বপ্নপুরীতে গিয়েছিলাম কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে পিকনিক স্পটটি অনেক উন্নত হয়েছে।
আসলেই আপু ঠিক ধরেছেন। পিকনিক স্পটটি এখন আরো বেশি উন্নত, আরো বেশি নান্দনিক হয়েছে।আবারও ঘুরে যাওয়ার জন্য আহবান করলাম ভালো থাকবেন আপু।♥♥
হুম এর আগেও আপনার পোষ্টে দেখেছি প্রতিবেশি সবাই মিলে গিয়েছেন স্বপ্নপুরি ৷ যা হোক সেখানে কাটানো মুহূর্ত গুলো আর ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগছিল ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল ৷ আসলে এসব জায়গায় গেলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায় ৷