"জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস" //2022 উদযাপনে// সঞ্চালনায় আমি//১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।।
সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার, ডিজিটাল গ্রন্থাগার। এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে 5 ফেব্রুয়ারি 2022 গ্রন্থাগার দিবস পালিত হল।বই পড়ি, পাঠাগার গড়ি। মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার,, ঘরে ঘরে পাঠাগার।।বই হল আলোকিত মানুষ গড়ার প্রথম এবং প্রধান হাতিয়ার।তাই আসুন বেশি বেশি বই পড়ি,,, ঘরে ঘরে পাঠাগার গড়ি।।
5 ফেব্রুয়ারি 2022 জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। সারাদেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী জেলায় ও ছোট পরিসরে অনুষ্ঠিত হলো এই গ্রন্থাগার দিবস। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- জনাব মোঃ আজহারুল ইসলাম।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) নীলফামারী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনাব খন্দকার ইয়াসির আরেফিন। জেলা প্রশাসক নীলফামারী।সঞ্চালনায় ছিলাম আমি সেলিনা সাথী ও মহসেনা চৌধুরী মনি।উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল আলোচনা সভা,,বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও রাফেল ড্র।।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি গ্রন্থাগারের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।বন্ধুরা আপনারা অবগত আছেন যে "সাথী পাঠাগার" নীলফামারী এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমি সেলিনা সাথী।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এই রকম সামাজিক কর্মকাণ্ড যেন আমি আরো ব্যাপকভাবে করতে পারি।
আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে লেখকের সুলিখনি হোক সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার।
তাই সাহিত্যচর্চার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বইপড়া।আর বই পড়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে গ্রন্থাগার বা পাঠাগার।আমাদের বর্তমান সমাজে গ্রন্থাগার বা পাঠাগারে বই পর্যাপ্ত থাকলেও পর্যাপ্ত পাঠকের বড়ই অভাব।আমি সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই বই হচ্ছে সবার চেয়ে প্রিয় বন্ধু।তাই আসুন বইকে ভালোবাসি বেশি বেশি বই পড়ি।ভালো এবং আলোকিত মানুষ গড়তে নিজেকে আরো সমৃদ্ধিশালী করি।
বই মনকে প্রফুল্ল করে
ছড়ায় সজীবতা
ঠোঁটে আনে হাসির ঝিলিক
বাড়ায় ব্যাকুলতা।
বইয়ের মতো ভালো বন্ধু
আর তো কেহ নাই
বুকের মাঝে ধারণ করি
বইকে আমি তাই।
গতকাল থেকে প্রায় সারা দেশেই চলছে বৈরী আবহাওয়া।শীতের প্রকোপ বেড়েছে ব্যাপক।করণা ধারণ করেছে নতুন রূপে।তাই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পালিত হল আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ার কারণে প্রোগ্রামে যেতে আমার একটু দেরি হয়ে যায়। আজ সকাল বেলা দুটো প্রোগ্রাম ছিল এক আমরা কিছু হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে এরপর এসেছি এই অনুষ্ঠানে।যেহেতু আমার দায়িত্ব ছিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা।আমি অন্য প্রোগ্রামটিতে ব্যস্ত থাকার কারণে শ্রদ্ধাভাজন মনি আপু আমার পারমিশন নিয়ে প্রোগ্রাম শুরু করে দেন।কিন্তু যখন আমি অনুষ্ঠানে চলে আসি এরপর থেকে আমি প্রোগ্রামটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করি।বরাবরই এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।সকলের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে।পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে অনেকেই বক্তব্য রাখেন তার মধ্য থেকে কয়েকজনের চিত্র আমি তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে।
জনাব মোঃ আজহারুল ইসলাম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) লফামারী
জনাব মোঃ আজহারুল ইসলাম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) লফামারী
জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম সভাপতি বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী
জনাব মোঃ আহসান রহিম মঞ্জিল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গণগ্রন্থাগার নীলফামারী।
আলোচনা সভা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও লটারি এর রেফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। রেফেল ড্রতে ছিল মোট 40 টি আকর্ষণীয় পুরস্কার লটারি সব টিকিট গুলোর একটি ঝুড়িতে নিয়ে একটি সোনামনির হাত দিয়ে এক এক করে চল্লিশটি টিকিট তুলে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়।আমি কিনেছিলাম প্রায় পাঁচটি লটারি টিকিট তার মধ্যে একটিতে পেয়ে যাই একটি আকর্ষণীয় উপহার।
এবারের জাতীয় গ্রন্থ দিবসে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করা হয়েছিল।আমাদের কোমলমতি শিশুদের সাহিত্য চর্চায় আরো বেশি উজ্জীবিত করার জন্য,,, দেয়ালিকার লিখার আয়োজন করা হয়। এবং অনেক গ্রন্থাগারে খুবই চমৎকার চমৎকার দেয়ালিকা করে নিয়ে এসেছেন।যেগুলো বিচারকার্য করা আমার পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল।উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেয়ালিকা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আপনারা বেশি বেশি উজ্জীবিত হয়ে এরকম দেয়ালিকা করে নিজের সাহিত্যকর্মকে আরও ত্বরান্বিত করবেন এটাই প্রত্যাশা।
এছাড়াও আমাদের নীলফামারীতে বই পড়ার জন্য আরও বেশি আগ্রহী করে তোলার জন্য ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার রয়েছে। ভ্রাম্যমান এই লাইব্রেরী প্রতিটা পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে মানুষকে বই পড়ার জন্য আরো বেশি বেশি উজ্জীবিত করে।।আলোকিত মানুষ হতে বইয়ের বিকল্প নেই।
বন্ধুরা এই ছিল আজ 5 ফেব্রুয়ারি 2022 এ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন নীলফামারী জেলা।আমার এই ছোট্ট আয়োজনটি হয়তো অনেক বড় প্রয়াস হতে পারে।আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।আর যদি ভালো লেগে থাকে তবে চলুন--
বই পড়ি বেশি বেশি করি অঙ্গীকার
আলোকিত মানুষ হতে করবোনা অবিচার
মানুষ থেকে মানুষ হব এটাই করি আশা
রিক্ত আমি সিক্ত আমি পেয়ে ভালোবাসা
অনেক অনেক শুভকামনা
জানিয়ে নিলাম বিদায়
আশাকরি ভরিয়ে দিয়েছি
তোমাদেরই হৃদয়
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু,খুবই সুন্দরভাবে আপনারা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করেছেন,আকর্ষণীয় উপহার দেওয়ার মাধ্যমে।আমার ও বই পড়তে খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে গল্পের বই।ধন্যবাদ আপু💝
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপুমনি চমৎকার মন্তব্য করার জন্য♥♥
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস যে আছে আপু সেটা জানতামইনা 😑 । খুব সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু । একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই আমাদের আমরা জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তরে যেতে পারবো । খুব সুন্দর আয়োজন সেই সাথে সুন্দর কিছু গিফট খুবই ভালো ছিল আপনাদের অনুষ্ঠান।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
♥♥
অনেক ভালো লাগছে আপনার এই উপস্থাপনাটি। বইপড়া প্রবন্ধে পড়েছিলাম লাইব্রেরির গুরুত্ব সম্পর্কে। আমিও বগুড়া লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়াশোনা করি খুবই ভালো লাগে। পাঁচই ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কিন্তু এ বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত নই। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
আমি জেনে খুশি হলাম যে আপনি আপনার এলাকায় গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়েন।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।♥♥
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না, আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বই আমার বেশ ভালো লাগে, আপনার ছবিগুলো ছিল অসাধারণ, তাছাড়া বইয়ের ছবিগুলো আমার বেশ ভাল লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি দিন সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।
আপু প্রথমে জানাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস এর শুভেচ্ছা। সত্যি আপু অসাধারণ ছিল, কি সুন্দর ভাবে কত সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আপনার আজকের কার্যপ্রণালী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ঠিকই বলেছেন বই মানুষের আত্মতৃপ্তি জোগায়, তাই সবারই বই পড়া উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা দোয়া ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। প্রত্যাশা করছি বই হোক সকলের নিত্যসঙ্গী।আসুন বেশি বেশি বই পড়ি প্রয়োজনে পাঠাগার গড়ি♥♥
মারাত্মক একটি বিষয় শেয়ার করলেন। খুবি দায়িত্বের সাথে পালন করেছেন। প্রতিটি পদক্ষেপ এবং কার্যাবলী সুন্দর ভাবে লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ। আপু।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা দোয়া ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য প্রত্যাশা করছি বই হোক সকলের নিত্যসঙ্গী♥♥
এটা একদম ঠিক বলেছেন আমরা আমাদের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস টা কেউ মনে রাখার সময় এখন আর নেই।তাইতো বর্তমানে আমরা আবারও বর্বরতার মত যদি ফিরে যাচ্ছি ধন্যবাদ ভাইয়া খুবই চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য♥♥
প্রথমে জানাই গ্রন্থগার দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনদের গ্রন্থগার দিবসের আয়োজনটা বেশ পরিপাটি করে সাজানো হয়েছিল। লটারির মাধ্যমে ৪০ টি উপহার দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। সবকিছু মিলে দিন টি খুব সুন্দর উদযাপন করেছেন। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল আপু মনি তোমার জন্য। ভালো থেকো।♥♥
এই উদ্যোগটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেয়ালিকাগুলোর ছবি দেখলাম আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগলো। আসলে এই দেয়ালিকাগুলো পূর্বের কিছু স্মৃতিময় সময়ের কথা মনে করিয়ে দিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাস খুব সুন্দর দিনের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে এত চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য সেইসাথে প্রত্যাশা রেখে যাচ্ছি বই হোক সকলের নিত্যসঙ্গী♥♥