꧁:" কক্সবাজার ঘুরে আসার চমৎকার কিছু অনুভূতি" ꧂☆
꧁:" কক্সবাজার ঘুরে আসার অনুভূতি" ꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনাদের সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সদ্য ঘুরে আসা কক্সবাজারের অনুভূতি প্রথম পর্বশেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। বন্ধুরা আজ প্রায় অনেকদিন ধরেই আমি আমার বাংলা ব্লগ প্রিয় কমিউনিটিতে ঠিক সেভাবে সময় দিতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আজ আমি আপনাদের সামনে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মধ্যবিত্ত পরিবারে আমাদের বসবাস। তাই সীমিত আয় দিয়ে বাচ্চাদের লেখাপড়া করার খরচ চালানো খুবই কষ্টকর ছিল। ছোটবেলা থেকেই চাকুরীর প্রতি আমার কেমন যেন অনীহা ছিল। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ ছিল। নিজেকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য অনেক রকম কাজ করেছি। তবে কেমন করে যেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সঙ্গে জড়িয়ে গেলাম একটি সময়। এবং দেখলাম মার্কেটিং আমি বেশ ভালোই করতে পারছি।যেহেতু দীর্ঘদিন ভলেন্টিয়ার হিসেবে এলাকায় সেবা প্রদান করেছিলাম। সেই সুবাদে অনেকেই আমাকে প্রচন্ড রকমের বিশ্বাস করত।বিশ্বাস আর পরিচিতি দুটোকে কাজে লাগিয়ে, শুরু করেছিলাম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং।মানুষকে সেবা প্রধানের মাধ্যমে এত চমৎকার আয় করার সুযোগ আমাকে মুগ্ধ করে তুলেছিল। মুগ্ধতা ভালোবাসা আর কনফিডেন্সকে সামনে রেখে ফোকাস করি এবং আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখার মত দুঃসাহস করি। ধৈর্য সততা এবং নিষ্ঠার সাথে।এই প্লাটফর্মে কাজ করতে গিয়ে, যতটা ক্ষতবিক্ষত হয়েছি তার চেয়েও শতগুণ বেশি সম্মান মর্যাদা এবং ভালোবাসা পেয়েছি।
আমি মনেপ্রাণে কাজ করেছিলাম নিউট্রিক গ্রুপ ইন্টার্নেশনাল মালয়েশিয়া। এই কোম্পানিতে একটি মাত্র হেলথ পণ্য নিয়ে কাজ করেছিলাম। এবং সেখানে যথেষ্ট সফলতার সাথে এগিয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু মাঝখানে করোনা মহামারীর কারণে, পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ না থাকায় কাজটা থেকে বিরত হয়েছিলাম।তাছাড়া শীপুর পড়াশোনার দিকে নজর দিতে গিয়ে,বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করার প্রতি আকর্ষণটা কমে গিয়েছিল।ঠিক সেই সময় জড়িয়ে গেলাম আমার বাংলা ব্লগে।এখানেও বেশ সম্মানের সাথে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।কিন্তু বাচ্চাদের লেখাপড়া আর ফ্যামিলি খরচ সব মিলিয়ে প্রায় হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি আমি। এমন সময় এক ভাই এর মাধ্যমে নতুন আরেকটি কোম্পানির ইনভাইট পাই।কোম্পানির নাম HZS. এটি মূলত চায়না কোম্পানি।তবে পণ্য আছে ১ শত প্লাস।তার মধ্য থেকে বাংলাদেশে ইন করেছে প্রায় ২৫টিরও বেশি পণ্য।পণ্যগুলোর গুণগত মান যাচাই করার জন্য আমি নিজে ব্যবহার করছি বেশ কিছুদিন ধরে।তবে এদের মার্কেটিং প্লানটির স্বচ্ছ ধারণা নেয়ার জন্যই কোম্পানির অফারে কক্সবাজার ট্যুরে যাই।আমরা ৪০ সিটের একটি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় গাড়ি তে বেশ আনন্দ করেছি।নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হতে পেরে এত বেশি ভালো লাগছিল।এত দ্রুত সবাই সবার আপন হয়ে গিয়েছিলাম যে মনে হয়েছিল শত যুগ আগের পরিচিতজন আমরা।
কক্সবাজারে এর আগেও বহুবার গিয়েছিলাম।কিন্তু এবারের ভ্রমণটা ছিল অন্যরকম।মনের দাগ কাটার মত।পুরো কক্সবাজার জুড়ে নানা রকম স্মৃতি বিজড়িত হয়েছে এবারে।স্মৃতির অন্তরালের স্মৃতিগুলো দোলা দিচ্ছিল বারবার।নানা রকমের অতীত বর্তমান স্মৃতিগুলো আমাকে কখনো আনমনা করে তুলছিল আবার কখনো আনন্দে মুখরিত করে তুলছিল।তবে এই ট্যুরে গিয়ে বোন দুলাভাই দাদা বৌদি, বন্ধু, সন্তান এবং মামা কাকার মত অসংখ্য সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।যার সীমাহীন আনন্দের মতো উপভোগ্য।সকলে মিলে সমুদ্র সৈকতে দারুন মজা করেছিলাম। ঝিরঝির বৃষ্টি আর সমুদ্রের ঢেউ হৃদয়কে এতটাই আন্দোলিত করেছিল যে, সেখান থেকে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিল না।এই প্রথমবার মনে হয়েছিল আরো কিছুক্ষণ থেকে যাই।কিন্তু সময়ের কাছে আমরা সকলেই বাঁধা। যাইহোক একরাশ চমৎকার অনুভূতি নিয়ে, এবং কিছু বিষাদের ছোঁয়া নিয়ে, ফিরে এলাম সেই নীলাঞ্চলের কন্যা, নিলের দেশে নীলফামারী শহরে।কক্সবাজার ট্যুর ২০২৩,এর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি।সিয়াম এবং শিপুকে ভালো মানুষে রূপান্তরিত করতে আমার প্রচেষ্টা যেন থমকে না যায়।
আদর্শবান সন্তান তৈরির জন্য আদর্শবান মা হওয়া খুবই জরুরী।তাইতো সেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি আদর্শ মা হওয়ার লড়াই করছি।এ লড়াই সংগ্রামী মায়েদের লড়াই।পৃথিবীর সকল সংগ্রামী মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা, আর সন্তানদের প্রতি ভালো মানুষ হওয়ার অর্থাৎ আদর্শ সন্তান হওয়ার আহ্বান রেখে আজ এ পর্যন্তই।।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপনার যাত্রা শুভ হোক এ প্রত্যাশা করি। কারণ একজন মায়ের কাছে সন্তানকে আদর্শবান করে গড়ে তোলার স্বপ্ন হচ্ছে অনেক বড় ধরনের স্বপ্ন। আপনি কক্সবাজারে আসলেন ঘোরাফেরা করলেন এবং আমাদের সাথে খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি পড়ে। তবে এগিয়ে যান চলতি পথে মাঝে মধ্যে থমকে দাঁড়াতে হয়। আবার মাঝে মধ্যে সে চলার গতি বাড়াতে হয় এই হচ্ছে জীবনের গতি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
♥♥
বাইরের পরিবেশে ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় কক্সবাজার তাহলে তো কোন কথাই নেই। কারণ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য স্থানের মধ্যে এটা,শুধু বাংলাদেশ বললেও কিন্তু ভুল হয় যেহেতু বিশ্বের বুকে শত শত সৌন্দর্য স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি। এটা আশা করা যায় আপনজনদের সাথে একসাথে এখানে ঘুরতে গিয়ে খুবই আনন্দ উল্লাস করেছেন এবং ইনজয় করেছেন, আর সেই আনন্দ অনুভূতিটা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাই বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্ট।
আসলে মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া, অন্যরকম একটা বিনোদন অন্যরকম একটা প্রশান্তি এনে দেয় আমাদের মনে।তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সময়টা খুব ভালো কেটেছিল।♥♥
একটা সময় আপনি হেলথ পণ্য নিয়ে কাজ করতেন, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আসলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই পরিচিতি এবং বিশ্বস্ততা বিরাট বড় ব্যাপার। যাইহোক আপনি আসলেই খুব পরিশ্রমী। সেজন্যই একসাথে এতকিছু সামলাতে পারেন। সবার সাথে কক্সবাজারে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
সেই ছোট থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এখনো চেষ্টা করে যাবো। দেখি ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে! আপনাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই...