জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে কিছু সময়।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি ভালো আছেন সকলেই। আমিও ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ আপনাদের সামনে একটি যাদুঘর দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো। আর জাদুঘরটি হচ্ছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। যে কোন জাদুঘর সে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। তার অতীত-বিজ্ঞান- ঐতিহ্য-সংস্কৃতি তুলে ধরে। নতুন প্রজন্ম জাদুঘর ঘুরে ঘুরে তার তার অতীত দেখে নেয়। শেকড়ের সন্ধ্যান করে। বন্ধুরা, সম্ভবত গত বছরের শেষের দিক বা এই বছরের শুরুর দিকে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে গিয়েছিয়াম। সেখানে ভর্তি এক আত্মীয়কে দেখতে। যাওয়ার সময় খেয়াল করেছি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাইনবোর্ড। তখনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সময় থাকলে জাদুঘরে ঢু মারবো।

p1.jpg

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে দেখি হাতে বেশ কিছু সময় আছে। হাসপাতালের একদম কাছেই জাদুঘরটি। রাস্তা পার হয়ে ৩/৪ মিনিট হাটতেই জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরেরগেটে এসে পৌছলাম। টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি বিশাল ক্যাম্পাস। প্রচুর দর্শনার্থী। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছে। ভিতরে ঢুকে আমি অবিভূত। বিজ্ঞানের রাজ্যে যেন প্রবেশ আমার। বিজ্ঞান বিষয়ে যেহেতু আমার জানাশোনা কম তাই বিজ্ঞানের এন্টিক কিছু যন্ত্রপাতির দিকেই আমার নজর। কারণ এগুলোর আমাদের কাজে এখনও লাগে এবং ভবিষ্যতেও লাগবে। তবে তখনকার আর এখনকার কত পার্থক্য।

p3.jpgফটোকপি মেশিন।

ফটোকপি মেশিন আমরা সবাই চিনি। কিন্তু তখনকার মেশিনের সাথে এখনকার মেশিনের কোন মিল নেই।

p4.jpg টাইপ
রাইটার মেশিন।

এই মেশিনটা অনেকেই চিনেন। আগেই এই মেশিনেই জরুরি চিঠিপত্র-অফিসের দরকারি কাজ করা হতো। এখনও কোথাও কোথাও টাইপরাইটার মেশিন দেখতে পাওয়া যায়।

p2.jpg মুদ্রণ যন্ত্র।

এটি একটি সুপ্রাচীন মুদ্রণ যন্ত্র। এই যন্ত্র আবিস্কার করেন একজন জার্মান বিজ্ঞানী জোহান গুটেনবার্গ।তিনি ছিলেন একজন শিল্পী।তাস খেলার সুবিধার জন্য তিনি কাঠের টুকরার ছবি খোদাই করে কালি মেখে কাগজে ছাপ মেরে তাস বানাতেন।এরপর তিনি বড় বড় কাঠের ব্লকে মহাপুরুষদের ছবি ও জীবনী খোদাই করে কাগজের উপর ছাপ দিলেন। দারুণ ছবি পাওয়া গেল। এভাবে আস্তে আস্তে তিনি ছাপাখানা খুলেন একদিন। তখনকার ছাপাখান আর এখনকার ছাপাখানা কত তফাত।

p9.jpg লাইনো কম্পোজ মেশিন।

এটা হচ্ছে ছাপাখানা রিলেটেড মেশিন।এই মেশিন দিয়ে অক্ষরগুলো পর পর বসিয়ে প্লেট সাজাতে হয়। একে বলে কম্পোজ করা।আগে এই কাজ হাতে করা হত। চিমটি দিয়ে একটি করে অক্ষর বসাতে হত। লেটার প্রেস থেকে অফসেট প্রেসে উত্তরণ ঘটান এই লাইনো কম্পোজ। এই মেশিন ছাপাঘানায় বিল্পব সাধন করেন। যা এখন আরো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে অন্য মাত্রা পেয়েছে।

p5.jpg
কলের গান।

বাপ দাদার কাছে অনেক শুনেছি এই কলের গানের নাম। টমাস আলভা এডিসন এই কলের গান মেশিন আবিস্কার করেন।

p6.jpg ভি সি আর।
ভিসিআর কমবেশি সবাই চিনি। সেই ভিসিআর এখন যাদুঘরে।

p8.jpg

বন্ধুরা,জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর প্রথম বার ঘুরতে যেয়ে আমার বেশ ভালই লেগেছে।স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ শিক্ষনীয় জাদুঘর। বেশি সময় নিয়ে ঘুরতে পারলে ভালো লাগতো। বন্ধুরা, আশাকরি ,জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর নিয়ে আমার আজকের পোস্ট ভাল লেগেছে। সবাই ভালো থাকুন।আনন্দে থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina75
ডিভাইসSamsung A10
তারিখ২৯জুলাই,২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আপনি জাদুঘরে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। যদিও জাদুঘরে খুব একটা যাওয়া হয়না। তবে জাদুঘরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপনার বিজ্ঞান জাদুঘরের ট্রাভেল ব্লগটি অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার কল্যানে আমরাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর দেখে ফেললাম।আপনার লেখা বেশ ভাল হয়েছে, তবে বেশ কয়েকটা বানান একটু ভুল হয়েছে যেমন :জার্মান বিজ্ঞানীর নাম গুটেনবার্গ,আর অনেক জায়গায় ঘ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর ট্রাভেল ব্লগটির জন্য।

 last year 

গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর আলোকচিত্র এবং সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর।
যদিও জায়গাটি ভ্রমণ করেনি তবে ডকুমেন্টারি ভিডিও দেখেছি।
আজ আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পরে খুব ভালো লাগলো।

 last year 

সামনাসামনি দেখতে আর ও বেশি ভালো আগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন মনে হয়। এরকম জায়গা গুলোতে ঘোরাঘুরি করলে খুবই ভালো লাগে। আপনাদের মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কেটেছিল। আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলেন যা দেখে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে হাসপাতাল থেকে জায়গাটাতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লেগেছে।

 last year 

আমার ও ধরনের জায়গায় যেতে বেশ ভলো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

এরকম জায়গায় গেলে প্রাচীন যুগের অনেক কিছুর সাথে পরিচিত হওয়া যায়। আপনারা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে যাওয়ার কারণে প্রাচীন যুগে ব্যবহৃত অনেক কিছুই দেখেছিলেন। আর সেই স্থাপিত জিনিসগুলোর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ শিক্ষনীয় জাদুঘর। সম্পূর্ণটা বেশ ভালোই উপভোগ করে পড়লাম।

 last year 

ঠিক তাই ভাইয়া জাদুঘরে গেলে অনেক কিছুই দেখা যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 56989.27
ETH 2425.90
USDT 1.00
SBD 2.39