ডাই প্রজেক্টঃ কাগজের হাত পাখা তৈরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন? সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি।আজ ২৫শে বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল,১৪৩১বঙ্গাব্দ। ৮ই মে,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মদিন। কবির জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ।বন্ধুরা, নিয়মিত ব্লগিং এ আজ একটি ডাই ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আর তা হচ্ছে কাগজ দিয়ে হাত পাখা তৈরি।এই গরমে আমাদের একমাত্র সঙ্গী। বিভিন্ন ডিজাইন এর হাত পাখা দেখা যায়।আজকাল আবার ঘরের ডেকোরেশনেও হাত পাখার ব্যবহার দেখা যায়।আমার বানানো কাগজের হাত পাখাটি ডেকোরেশন পিস হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে পাখাটি।যদিও সময় নিয়ে বানাতে হয়েছে। আজকের রঙ্গিন কাগজের হাত পাখা তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি,রঙ্গিন কাগজ। এছাড়া আনুসঙ্গিক অন্যান্য উপকরণ কি ব্যবহার করেছি এবং কিভাবে তৈরি করেছি ,তা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করেছি। আশাকরি, আজকের ডাই প্রজেক্টটি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১।লাল ও টিয়া রং এর কাগজ
২। গ্লু
৩। কাঁচি
৪।এন্টিকাটার
৫।হলুদ রং এর টিসু কাগজ
৬।পাট কাঠি
৭।পেন্সিল
কাগজের হাত পাখা তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে লাল ও টিয়া রং এর কাগজ ১ সেঃমিঃ চওড়া করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
কেটে নেয়া লাল রং কাগজ পরপর সাজিয়ে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৩
এরপর কেটে নেয়া টিয়া রং এর কাগজ লাল রং এর কাগজের মধ্যে একটি বাদে একটিতে ঢুকিয়ে নিয়েছি। একইভাবে ২৪ সেঃমিঃ পর্যন্ত গেঁধে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর টিয়া রং এর কাগজ রিং করে কেটে নিয়েছি। হাত পাখার চারপাশে লাগানোর জন্য।
ধাপ-৫
এবার হলুদ রং এর টিসু কাগজ ৫ সেঃ মিঃ চওড়া করে কেটে নিয়েছি। কেটে নেয়া টিসু কাগজটি রিং করে কাটা টিয়া রং এর কাগজের চার পাশে কুচি করে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
গেঁথে নেয়া কাগজ গোল করে কেটে নিয়েছি হাত পাখা বানানোর জন্য।
ধাপ-৭
এবার রিং করা কাটা কাগজটি গাম দিয়ে গোল করে কাটা কাগজের উপর লাগিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার এক টুকরো পাটের কাঠি মাঝখানে চিড়ে নিয়েছি কিছু অংশ। চিড়ে নেয়া পাট কাঠির মধ্যে তৈরি করা পাখাটি ঢুকিয়ে দিয়েছি। এবং কাঠিটি যাতে সুন্দর লাগে সেজন্য কাঠিতে কিছু লাল ও টিয়া রং এর কাগজ গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই তৈরি করে নিলাম কাগজের হাত পাখাটি।
উপস্থাপন
বন্ধুরা,আশাকরি, আজ আমার ডাই প্রজেক্টঃ রঙ্গিন কাগজের হাত পাখা আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি নিত্য নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে।এই পরিবর্তিত আবহাওয়ায় সবাই নিজের যত্ন নিন। সেই সাথে পরিবারের সকল খেয়াল রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আমার আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ|
পোস্ট | ডাই পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ৮ই মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনি বেশ চমৎকার ভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে হাত পাখা তৈরি করছেন। আসলে প্রথমে যে কেউ দেখলে বলবে না যে এটা রঙিন কাগজের হাত পাখা। আপনি অসাধারণ ভাবে রঙিন কাগজ ব্যবহার করে হাত পাখাটি তৈরি করছেন। হাত পাখা টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1788223540573163705
কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর একটা হাত পাখা তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র আবারো অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সত্য কথা এমন জিনিস তুমি করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়।
জি ভাইয়া বেশ সময় লেগেছে পাখাটি বানাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর পাখা তৈরি করেছেন।এই হাত পাখাটি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর পাখা মনে হচ্ছে হুবহু অরজিনাল পাখা। আর আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ও সময় নিয়ে তৈরি করলেন, দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আমি চেস্টা করেছি যাতে পাখাটি দেখতে সত্যিকারের পাখার মতো হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি পাখা তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পাখা তৈরিতে লাল ও হলুদ রঙের রঙিন কাগজ সুন্দরভাবে কেটে নিয়ে দুই রকম কাগজ গেথে দেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অসাধারণ সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পাখাটি আপনার ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ, বেশ উপযুক্ত একটা জিনিস তৈরি করেছেন আপু। আসলে এই গরমে বাতাস ছাড়া একদম অস্থির হয়ে যায় যদিও এই কয়দিন বৃষ্টি হচ্ছে তবে যখন রাতের বেলায় বিদ্যুৎ চলে যায় তখন এই পাখাটার খুবই প্রয়োজন হবে আমার মনে হয়। এবার পাখাটার ডিজাইন টা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে ধন্যবাদ আপনাকে এটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন গরমের জন্য উপযুক্ত জিনিস।তবে আমার পাখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও আপু খুবই সুন্দর একটি হাত পাখা তৈরি করেছেন কাগজ দিয়ে। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করা যায় আর জিনিসগুলো তৈরি করতেও খুব ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা হাতপাখাটা দেখে সত্যি কারের হাত পাখার মত হচ্ছে দেখে কেউ বুঝতে পারবে না যে এটা কাগজ দিয়ে তৈরি করা। আপনার কাজের প্রশংসা করতে হয় ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি চমৎকার পাখা তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অনেক কিছুই বানানো যায়। এবং সেগুলো দেখতেও সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথম দেখাতে আমি ভেবেছিলাম যে এটি কাপড় দিয়ে তৈরি একটি হাতপাখা। কারণ আপনি কাগজ দিয়ে এত সুন্দর একটা হাত পাখা তৈরি করেছেন যেটি দেখে বোঝার উপায় নেই। অনেকে কাপড় দিয়ে হাতপাখা তৈরি করে এবং সেই কাপড়ের মাঝে বিভিন্ন ধরনের আলপনা আঁকে। আসলে এসব ধরনের আলপনার পাখা এখন আর পাওয়া যায় না। আসলে আজকের আপনি আপনার পাখা তৈরীর প্রতিটা ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার বানানো পাখটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার তৈরি রঙিন কাগজের হাত পাখা দেখতে অসাধারন হয়েছে। এখন যে গরম পরেছে এই গরমে এমন একটা হাত পাখা খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া কারেন্ট চলে গেলে এই পাখা ভীষণ কাজে দিবে। বিশেষ করে বিভিন্ন কালারের কাগজ ব্যবহার করার জন্য দেখতে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি খুব সুন্দর করে একটি কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি করেছেন।
খুবই সুন্দর লাগছে আপনার তৈরি হাতপাখাটি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি হাতপাখা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ আপু।