রেসিপিঃ আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। বসন্ত ছুয়ে যাচ্ছে সবার মনে-প্রাণে। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগে আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রান্নার রেসিপি নিয়ে। বাংলাদেশ-ভারত দু"দেশেই জনপ্রিয় একটি আমিষ খাবারের রেসিপি উপস্থাপন করবো আজ। বিশেষ করে ,নিরামিষ ভোজিদের প্রিয় খাবার সয়াবিন বড়ি আমার আজকের রান্নার বিষয়। আর তা হচ্ছে আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা।
সয়াবিন বড়ির গুণাগুন বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। স্বাস্থ্য সচেতন মাত্রই আমরা কমবেশি সয়াবিনের গুণাগুন সম্পর্কে অবহিত। বর্তমান সময় প্রাণীজ আমিষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়। সেই তুলনায় উদ্ভিজ্জ আমিষে স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারেই কম বা নেই বললেই চলে। তাই প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবে অনায়েসেই আপনি খেতে পারেন উদ্ভিজ্জ আমিষ সয়াবিন। আর স্বাস্থ্যের সুস্থতার জন্য আমিষ কতটা দরকারি তা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। প্রিয় বন্ধুরা, অনেক কথা হলো ,আর কথা নয়, চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেয়া যাক,কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রান্নার রেসিপি আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা।
সয়াবিন বড়ির গুণাগুন বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। স্বাস্থ্য সচেতন মাত্রই আমরা কমবেশি সয়াবিনের গুণাগুন সম্পর্কে অবহিত। বর্তমান সময় প্রাণীজ আমিষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়। সেই তুলনায় উদ্ভিজ্জ আমিষে স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারেই কম বা নেই বললেই চলে। তাই প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবে অনায়েসেই আপনি খেতে পারেন উদ্ভিজ্জ আমিষ সয়াবিন। আর স্বাস্থ্যের সুস্থতার জন্য আমিষ কতটা দরকারি তা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। প্রিয় বন্ধুরা, অনেক কথা হলো ,আর কথা নয়, চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেয়া যাক,কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রান্নার রেসিপি আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
স্যয়াবিন বড়ি | ২০০ গ্রাম |
আলু | ২০০ গ্রাম |
পিয়াজ কুচি | আধা কাপ |
কাচা মরিচ | ২ টি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
গোটা জিরা | ১ চা চামচ |
ট্মেটো | ২টি |
লবন | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া | ১ চা চামচ |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
ধনে পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে আলু ছিলে কিউব করে টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবং টমেটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। কয়েক কোয়া রসুন ও কয়েকটি কাচা মরিচ দিয়ে টুকরো করা টমেটো ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
ধাপ-২
এরপর একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে, চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তাতে স্যয়াবিন বড়ি দিয়ে, ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পানি থেকে স্যয়াবিন বড়ি হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দিতে হবে।
ধাপ-৩
আবার চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিতে হবে। হাড়ি গরম হয়ে এলে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
ধাপ-৪
তেল গরম হয়ে এলে তাতে ১ চামচ গোটা জিরা ফোড়ন দিতে হবে।
ধাপ-৫
এরপর পিয়াজ কুচি দিতে হবে।
ধাপ-৬
পিয়াজ ভাজা হয়ে এলে একে একে হলুদ গুড়া,ধনে গুড়া,জিরা গুড়া,মরিচ গুড়া,গরম মশলা গুড়া,লবন ও আগে থেকে তৈরি করে রাখা টমেটো পেস্ট দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৭
ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তাতে কিউব করে কাটা আলু দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৮
আলু ভালভাবে কষানো হলে তাতে আগে থেকে সিদ্ধ করা স্যয়াবিন বড়ি দিয়ে দিতে হবে। আলু ও সয়াবরি কষানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মত পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
শেষ ধাপ
ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে আলু দিয়ে সয়াবিন কষা রেসিপি। ধনেপাতা কুচি দেয়ার ছবি তুলতে ভুলে যাওয়ার কারনে ছবি দেয়া সম্ভব হল না।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের আলু দিয়ে স্যয়াবিন বড়ি কষা রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
খুবই ইউনিক একটি রেসিপি পাশাপাশি খুবই সুন্দর কিছু কথা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যে কথাগুলো সত্যিই অনেকের অনেক বেশি উপকারে আসবে। আমি মূলত এরকম কথা জানতামই না আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে নতুন কিছু জানতে পারলাম যেটা সত্যিই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সয়াবিন বিজ থেকে সয়াবিন তেল ছাড়াও তৈরি হয় দুধ,সয়াসস ও আরও অনেক খাবার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন প্রানিজ আমিষের তুলনায় উদ্ভিজ্য আমিষের ঝুকি নেই বললেই চলে। সয়াবিনের বড়ি আমি এ পর্যন্ত যে কয়বার খেয়েছি দারুন লেগেছে। তবে আমাদের এদিকে এ খাবারটা খুব একটা প্রচলিত নয়। যাইহোক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই উদ্ভিদ আমিষে স্বাস্থ্য ঝুকি কম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে টমেটো আলু ও সয়াবিন বড়িতে চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে সয়াবিনে বড়ি আমি কখনো খাইনি। আপনার রান্নার প্রক্রিয়াটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের কে দেখিয়েছেন এবং সুন্দর বর্ণনাও করেছেন। এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদিন খেয়ে দেখবেন। আশাকরি ভাল লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে অনেক নতুন এবং ইউনিক পোস্ট দেখতে পাই। আমি এই প্রথম সয়াবিন বড়ি দেখেছি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আমাদের এদিকে বড়ির রেসিপি তেমন একটা খাওয়া হয় না। তবে খাওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু বড়ি কিভাবে বানাবো তা তো জানিনা। আপনার সয়াবিন বড়ির রেসিপি দেখে মনে হইছে অনেক সুস্বাদু হবে রান্না। আপনি ঠিক বলছেন আসলে প্রাণিজ খাবার গুলোর চেয়ে উদ্ভিজ খাবার গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
এ সয়াবিন বড়ি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যে কোন সুপার শপে পাওয়া যায়। খেতে বেশ মজা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা খাওয়ার অনুভূতি খুবই অন্যরকম। আপনার রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত অসাধারণ। সকল উপাদান সুন্দরভাবে প্রয়োগ করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে আলু দিয়ে সয়াবিন বড়ি কষা নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেতে বেশ মজা হয়েছিল ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল, আসলে সয়াবিন আমি কখনো খায়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খেতে অনেক ইচ্ছে করছে। একদিন কিনে এনে অবশ্যই তৈরি করবো। আসলে আপু শীতের তরকারিতে ধনের পাতা না দিলে মনে হয় না যে মজা হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতের তরকারি ধনেপাতা ছাড়া ভালই লাগে না। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সয়াবিন আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে মন্দ হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা। একদিন ট্রাই করতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক মজাদার একটি খাবার প্রস্তুত করেছেন এ ধরনের খাবার আমার খুবই ফেভারিট। বিশেষ করে চাল কুমড়া এবং কালার ডালের তৈরি বড়ি।। যেকোনো রেসিপির মধ্যে দিলে খেতে অনেক অনেক মজা হয়ে থাকে।।
ঠিক বলেছেন ভাই শীতকালে বড়ি খেতে বেশ ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
সয়াবিন বড়ি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আর আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। সাথে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
খেতে বেশ মজা। আমার অনেক পছন্দ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু সয়াবিন বড়ি সুপার শপে পাওয়া যায় কিন্তু আমার কখনও খাওয়া হয়নি। আপনি খুব মজা করে রান্না করলেন।খেতে বেশ স্বাদের হয়েছে বুঝতে পারছি। আপনি আলু দিয়ে রান্না করলেন। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে।রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।