রেসিপিঃ মিষ্টি কুমড়োর পাতার বড়া।
আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে শুভেচ্ছা।
উপকরণ সমুহঃ
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মিষ্টি কুমড়োর পাতা | ৪-৫টি |
২ | মুসুরেরডাল | ৫০ গ্রাম |
৩ | চালের গুড়া | ৩ টেবিল চামচ |
৪ | আদা বাটা | ১ চামচ |
৫ | রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
৬ | কাচা মরিচ বাটা | পরিমাণ মতো |
৭ | হ্লুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
৮ | ধনে গুড়া | ১ চা চামচ |
৯ | লবন | পরিমাণ মতো |
১০ | জিরা গুড়া | আধা চা চামচ |
১১ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
১ম ধাপঃ
প্রথমে মুসুরের ডাল আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরই মাঝে মিষ্টি কুমড়োর পাতাগুলোকে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। এবং পাতাগুলোকে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তাতে সামান্য লবন মিশিয়ে পাতাগুলো ১০-১৫ মিনিত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২য় ধাপঃ
এরপর ডাল গুলোকে ভালভাবে ধুয়ে বেটে নিতে হবে। পিয়াজুর জন্য যেভাবে ডাল বাটা হয় সেভাবে। এরপর তেল বাদে সকল মশলা ও চালের গুড়া বেটে নেয়া ডালের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। পিয়াজু তৈরির জন্য যেভাবে ডাল মাখা হয় তার থেকে একটু পাতলা করে মেখে নিতে হবে।
৩য় ধাপঃ
এরপর নিচের ছবির মতো করে প্রতিটি পাতায় মুসুরের ডালের মিশ্রণটি লাগিয়ে ভাজ করে নিতে হবে। এভাবে প্রতিটি পাতায় ডালের মিশ্রণটি লাগিয়ে ভাজ করে তৈরি করে নিতে হবে।
৪র্থ ধাপঃ
এরপর চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিতে হবে। তাওয়া গরম হল তাতে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে তৈরি করে রাখা মিস্টি কুমড়ো পাতার বড়াগুলো দিয়ে দিতে হবে। তাওয়াটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে পাতা সিদ্ধ হওয়ার জন্য। পাতার একপিঠ ভাজা হয়ে গেলে উল্টিয়ে দিতে হবে। পাতার দুপিঠ ভালোভাবে ভাজা ও মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে।
শেষ ধাপঃ
মিষ্টি কুমড়োর পাতার বড়া ভাজা হয়ে গেলে ,একটি প্লেটে তুলে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশ করলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মিস্টি কুমড়ো পাতার বড়া। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লেগেছে।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোবাইল ফটোগ্রাফিঃ স্যামসাং-এ১০
আসলে আমাদের মা-বোনেরা আগে এ ধরনের বড়া তৈরি করতো। তবে সময়ের পরিক্রমায় এ ধরনের বড়া দেখা যায় না। আপনার বড়া দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গরম গরম মিষ্টি কুমড়োর পাতার বড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ ধরনের রেসিপি আমার বেশ ভাল লাগে। তাই যেখানে এ ধরনের রেসিপি দেখি শেখার চেস্টা করি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ!আপু দেখে তো জিবে জল এসে গেল আপনার মিষ্টি কুমড়ার পাতা দিয়ে তৈরি করা বড়া।আপনি আপনার মামির থেকে বেশ মজার এবং ইউনিক একটি রেসিপি শিখে নিয়েছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।এভাবে এগিয়ে জান আপু একদিন সফল হবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি কুমড়ার পাতা দিয়ে বড়া বানানো যায় জানা ছিল না। আমি এই প্রথম এমন রেসিপির নাম শুনলাম। আমার কাছে আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও জানতাম না। বড় মামীর কাছে জেনেছি এবং শিখে নিয়েছি। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।
আপনার বানানো মিষ্টি কুমড়ার পাতার বড়া রেসিপিটি দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কালারটাও খুব চমৎকার লাগছে। কিন্তু আমি আগে কখনও এ বড়া খাওয়া হয়নি। বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবো। এত সুস্বাদু একটি বড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
একদিন ট্রাই করেন । আশা করি ভাল লাগবে।