টিকাঃ ৪র্থ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি কুশলে আছেন সবাই! আমিও ভালো আছি। আজ ৩০শে মাঘ। শীত কালের শেষ দিন। আগামিকাল আগুন ঝরা বসন্তের শুরু। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা ও শুভ পহেলা ফাল্গুণ। বন্ধুরা,আজ আমার ব্লগ বসন্ত বা ফাল্গুণ নিয়ে নয়। একটি টিকা নিয়ে। আপনারা সবাই জানেন অজানা-অচেনা একটি ভাইরাসের কারণে থমকে গিয়েছিল সারা পৃথিবী। বিশেষ করে ২০২০-২১ সালের কথা আমরা কেউ ভুলবনা। ভয়াল করোনা ভাইরাসের থাবায় স্থবির হয়ে গিয়েছিল সারা বিশ্ব। যা কোভিড-১৯ নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশে একটি নতুন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সনাক্ত করা হয়েছিল। এটি একটি নতুন করোনা ভাইরাস যা আগে কখনো মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি।
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্ব অচল হয়ে গিয়েছিল। মানুষের চলাচল হয়ে গিয়েছিল সীমিত। ব্যবসা বানিজ্য ,যানবাহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সরকার লকডাউনের মাধ্যমে কার্যত অচল করে দিয়েছিল দেশকে। এত ভয়ঙ্কর ছিল যে, করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ছিলনা কেউ। আক্রান্ত পরিবার একঘরে হয়ে যেত। খাদ্যের অভাব, চিকিতসার অভার -হাসপাতালে ঠাই নেই- অক্সিজেনের অভাব,সে এক অমানবিক পরিস্থিতি! টিভি চ্যানেল-পত্রিকা গুলো আক্রান্ত ও মৃত্যুর আলাদা নিউজ আইটেম করেছিল-যা এখনও চলমান।
বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে বাঁচতে-মানুষকে বাঁচতে বিজ্ঞানিরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণা চালিয়ে আবিস্কার করেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন গুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েই সারা বিশ্বেই মানুষের উপর প্রয়োগ শুরু করে।
বাংলাদেশে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতে বয়স্ক ও চাকুরিজীবিদের অগ্রাধিকার থাকলেও পরে তা নিবন্ধনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। সরকার দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সরকারের সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করে আমি সবগুলো টিকা গ্রহণ করি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমি কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ বা ৪র্থ ডোজ গ্রহণ করি। সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে এই টিকা কার্যক্রম চলমান। আমার টিকা কেন্দ্র ছিল ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল,শ্যামলি,ঢাকা-১২০৭। ৪র্থ ডোজ নিতে যেয়ে তেমন ভীড় লক্ষ্য করিনি। ১ম,২য় ও ৩য় ডোজ নিতে যেয়ে লাইনে বেশ কিছু সময় দাড়াতে হলেও এবার তা হয়নি। আমার যেহেতু নিবন্ধন ছিল,তাই মোবাইলে এসএম এস এর মাধ্যমে কেন্দ্র ও তারিখ জানিয়ে দিত। এবারো ৫ ফেব্রুয়ারি এসএম এস এর মাধ্যমে জানলাম ৬ ফেব্রুয়ারি আমার টিকা দেয়ার তারিখ। সরকারের ভালো কাজের অন্যতম এই টিকাদান কার্যক্রম।
বন্ধুরা,করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে আমরা কিন্তু এখনও মুক্ত না। প্রতিদিন সারা বিশ্বে হাজারও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। বলা যায় নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। আর এই নিয়ন্ত্রণকে আরো শক্তিশালি করতে আমাদের সবার উচিত যথাসময়ে টিকা গ্রহণ করা। যারা এখনও টিকা নেননি তাড়াতাড়ি টিকা নিন। নিজে টিকা নিন-পরিবারের সবার টীকা নেয়া নিশ্চিত করুণ। আমি মনেকরি টিকা নেয়া আমার নাগরিক দায়িত্ব।
সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন।
যদিও অনেকদিন আগেই তৃতীয় ডোজ পর্যন্ত দেওয়া শেষ হয়ে গেছে। তবে চতুর্থ ডোজ আমাদের এদিকে হয়তো দেওয়া শুরু হয়নি। যাই হোক আপনার সবগুলো ডোজ দেওয়া শেষ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। এখন করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। তাইতো সব জায়গাতে ভিড়ের পরিমান কমে গেছে। তবুও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রত্যেকটি ডোজ সময়মতো কমপ্লিট করতে হবে।
জি আপু নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং আশেপাশের মানুষকে সুস্থ্য রাখতে সবার টীকা নেয়া জ্রুরী। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি সব গুলো টিকা নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চতুর্দিকের আবহাওয়া খুব খারাপ। আমি ৩য় ডোজ পর্যন্ত নিয়েছি। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি ৩য় ডোজ নিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো।
আমি নিজেও করোনার ৩য় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দিয়েছি। তবে ৪র্থ ডোজ সম্পর্কে জানতাম না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যাইহোক ধন্যবাদ আপু টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
৪র্থ ডোজের জন্য ম্যাসেজ পাবেন। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমার চতুর্থ ডোজ টিকার এখনো এস এম এস আসেনি। এসে যাবে হয়ত। অনেক ভাল লাগলো আপনি ৬ তারিখ চতুর্থ ডোজ টিকা দিয়েছেন। অনুভুতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের সকলের আসলে এই টিকার ডোজ কমপ্লিট করা উচিত।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,কোভিড-১৯ টিকার ডোজ আমাদের সবার কমপ্লিট করা উচিত। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কোভিড-১৯ সবগুলো টিকা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। সবগুলো টিকে দেওয়া সম্পূর্ণ করেছেন জেনে অনেক অনেক ভালো লাগলো। আপনি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলা যেতে পারে। আমি কয়দিন আগে কোভিড-১৯ তৃতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছি। আমাদের উচিত নিজের সুরক্ষার জন্য সবগুলো টিকে গ্রহণ করা। এত সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য সবগুলো টিকে গ্রহণ করা উচিত। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার তো এখনো তৃতীয় ডোজই নেয়া হয়নি। আপনি ইতিমধ্যে চতুর্থ ডোজ কমপ্লিট করে ফেলেছেন। বেশ ভালো একটি কাজ করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে বুস্টার ডোজটা নেয়া খুবই জরুরী। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই,,বুস্টার ডোজটি তাড়াতাড়ি নিয়ে নিন। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।